৪ দিনের দার্জিলিং-রিশপ-লাভা ট্যুর প্ল্যান

অনেকেই দার্জিলিং ট্যুরের সাথে কালিম্পং – লাভা – রিশপ এর ট্যুর প্ল্যান করতে যেয়ে দ্বিধায় ভুগেন কিভাবে যাবেন বা কিভাবে প্ল্যান করলে সুবিধাজনক হবে। তাই ঢাকা থেকে যাওয়া আর ঢাকায় ফেরার দিন বা সময় বাদ দিয়ে এই ট্যুর পরিকল্পনা, সবার জন্য।

১ম দিনঃ শিলিগুড়ি থেকে যদি দার্জিলিং রিজার্ভ জীপ নিন, তাহলে মিরিক ঘুরে যাওয়া ভালো। আলাদা করে আর একদিন এখানে আসতে হবেনা। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক (Mirik) মাত্র ১:৩০ ঘণ্টা। সেখানে একবেলা থেকে ঘুরে-বেড়িয়ে দার্জিলিং চলে যাওয়া যেতে পারে, বিকেলের মধ্যেই। সেদিন বিকেল-সন্ধ্যা দার্জিলিং শহর হেটেই কাটিয়ে দেয়া যেতে পারে।

২য় দিনঃ পরদিন দার্জিলিং (Darjeeling) এর ভিউ পয়েন্টগুলো, যেমন মল রোড (এই যায়গা শেষ বিকেল থেকে সন্ধার জন্য রেখে দেয়া ভালো) জু, বাতাসিয়া লুপ, টাইগার হিল (রিশপ গেলে এখানে গিয়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে নেই), দুপুরের পরে চা বাগান আর শেষ বিকেলে মল রোড। যতক্ষণ ইচ্ছা।

৩য় দিনঃ খুব ভোরে কালিম্পং (Kalimpong) হয়ে লাভা-রিশপের দিকে চলে যাওয়া। ৪ ঘণ্টা লাগবে যেতে। মাঝে তিস্তা, লাভারস মিট পয়েন্ট, রাফটিং (ইচ্ছা হলে), কালিম্পং এর ডেলো, ক্যাকটাস বাগান এসব দেখে লাভা হয়ে রিশপ পৌছাতে প্রায় বিকেল হবে। আপনি চাইলে এই দিন আপনি লাভাতে (Lava) থেকে যেতে পারেন। রিশপকে রেখে দিলেন পরের দিনের জন্যে।

৪ দিনঃ এই দিনটি শুধু রিশপ (Rishyap) এর। হেটে-বসে-হেলান দিয়ে, কফি নিয়ে দাড়িয়ে থেকে, মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে কাটিয়ে দেয়া বা রিশপের পাহাড়ি নীরব গ্রামের পাথুরে রাস্তায় ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ানো।

কিভাবে গেলে ভালো হয়?

যদি ৬/৮ জনের কোন টিম হয় তবে জীপ রিজার্ভ করা ভালো খরচ একই হবে লোকাল জীপে বা বাসে গেলে যা হত। প্রতিদিন ২২/২৫০০ রুপি।

আর লোকাল ভাড়া?

শিলিগুড়ি থেকে মিরিক ১০০ রুপি, মিরিক থেকে দার্জিলিং ১০০, দার্জিলিং থেকে কালিম্পং ১২০, কালিম্পং থেকে লাভা ৮০ আর লাভা থেকে রিশপ হেটে যাওয়াই সবচেয়ে মজার আর রোমাঞ্চকর মাত্র ৪ কিলোমিটার। জীপে গেলে ওয়েট করতে হবে লোকাল জীপ না আসা পর্যন্ত।

এখন কিভাবে যাবেন আপনার ব্যাপার, লোকাল, রিজার্ভ আর লাভা থেকে রিশপ হেটে? সিদ্ধান্ত আপনার। ভালো থাকুন, ভ্রমন করুন, জীবনকে উপভোগ করুন।

অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি রিশপ-লাভা বেড়ানোর সেরা সময়। 
Leave a Comment
Share