দার্জিলিং এর বাআতাসিয়া লুপে টয়ট্রেনের জয়রাইড
দার্জিলিং টয়ট্রেন (Darjeeling Toytrain), দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা DHR দ্বারা পরিচালিত একটি ট্রেন যা ৮৮ কিলোমিটার দূরত্বের একটি ন্যারোগেজ (২ ফিট) রেলপথ ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নিউ জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ের মধ্যে চলাচল করে। ১৮৭৯ থেকে ১৮৮১ সালের মধ্যে নির্মিত এটি প্রায় ৫৫ মাইল দীর্ঘ। এই টয়ট্রেন রেলপথটি নিউ জলপাইগুড়িতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) থেকে দার্জিলিংয়ে প্রায় ২২০০ মিটার (৭২১৮ ফুট) উপরে উঠে। এই পথ পাড়ি দিতে টয়ট্রেনগুলো ছয়টি জিগ জাগ এবং পাঁচটি লুপ ব্যবহার করে দার্জিলিং পৌঁছায়।
দার্জিলিং এর বাতাসিয়া লুপে টয়ট্রেনের জয়রাইড
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ইউনেস্কো হিমালয়ান রেলওয়েকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করে। বর্তমানে DHR ছাড়াও ভারতীয় রেলের আরো দুটো ন্যারোগেজ টয়ট্রেন লাইন যথাক্রমে চলমান রয়েছে –
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েতে বর্তমানে দুধরনের রাইডের মজা আপনারা নিতে পারবেন।
জয় রাইড হলো দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশনের মধ্যে স্বল্প দূরত্বের একটি ট্রেন জার্নি। এই জার্ণি এর মাঝে পড়বে বাতাসিয়া লুপের মত জায়গা। জয়রাইডের আবার ভাগ আছে একটি স্ট্রীম ইঞ্জিন এবং দুই ডিজেল ইঞ্জিন। বেশিরভাগ পর্যটকেরা দার্জিলিং আসলে এই জয় রাইডকেই বুক করে থাকে। এই রুটের সিনিক বিউটিও দারুণ।
দার্জিলিং টয়ট্রেনের রেগুলার রাইডটি সাধারনত নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং এবং দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি এর মধ্যে চলাচল করে থাকে। পুরো জার্নি সম্পূর্ন হতে সময় লাগে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা। মাঝে পড়ে ৮টি স্টেশন – সুখনা, রংটং, তিনধরিয়া, কার্শিয়াং, টুং, সোনাদা, ঘুম এবং বাতাসিয়া লুপ।
জয়রাইডের ক্ষেত্রে স্ট্রীম ও ডিজেল ইঞ্জিন মিলিয়ে দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। তবে সিজন এবং অফসিজন হিসেবে এর সংখ্যা বৃদ্ধি ও হ্রাসও করা হয়।
রেগুলার রাইডের ক্ষেত্রে সাধারনত দিনে একটি মাত্রই ট্রেন চলাচল করে দুটি স্টেশনের মধ্যে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ১০ টায় ছেড়ে বিকেল ৫.৩০ মিনিটে দার্জিলিং পৌঁছায়। একইরকম ভাবে দার্জিলিং থেকে সকাল ৯ টায় ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছায় বিকাল ৪.৩০ মিনিটে।
এই দার্জিলিং টয়ট্রেনের সমস্ত ট্রেন গুলো আপনারা IRCTC App থেকে বুক করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো স্টেশনের রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকেও অফলাইনে ট্রেনের টিকিট গুলো কেটে ফেলতে পারবেন।
এই দুটো পরিষেবা ছাড়াও আরও বেশ কিছু রাইড ও পরিষেবা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে থেকে দেওয়া হয়ে থাকে।
Leave a Comment