বাংলাদেশ টু ভুটান বাই রোড ভ্রমণ, ৭ দিনের অভিজ্ঞতা (১ম পর্ব)

প্রথমেই ভারতীয় ট্রানজিট ভিসার প্রয়োজন হবে যা ঢাকার শুধুমাত্র গুলশান শাখা থেকে করিয়ে নিতে পারবেন। ট্রানজিট ভিসার বিস্তারিত শেষে দেওয়া হবে।

১৫ই সেপ্টেম্বর’ ২০১৬র রাত ৮:৩০টায় “SR Plus-AC” বাস ছেড়ে গেলো ৩৯৮ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ভারত বর্ডার বুড়িমারি সীমান্তে যাবার উদ্দেশ্যে কল্যাণপুর থেকে। রাত ১১ টায় যমুনা ব্রীজ পার করে এলেংগার ফুড ভিলেজে কিছুক্ষনের যাত্রা বিরতি রাতের খাবারের জন্যে। অতঃপর রাত ১২ টায় আবার রওনা দিয়ে সকাল ৬:৩০ টায় বাংলাদেশ ভারত বর্ডার বুড়িমারিতে।

প্রথম দিন

১৬ই সেপ্টেম্বর’ ২০১৬ সকাল ৬:৩০টায় হাতমুখ ধুয়ে কিছুটা ফ্রেশ হয়ে বাংলাদেশ বর্ডার (বুড়িমারি) এর ইমিগ্রেশনের কাজ কারবার সেড়ে ফেললাম (বলে রাখা ভালো বাংলাদেশের ট্রাভেল ট্যাক্স এবং বাসের কাউন্টারের দালাল মামাদের জন্য (৫৫০ ট্রাভেল টেক্স + ২৫০) = ৮০০ টাকা লাগবে জনপ্রতি)। বাংলাদেশ বর্ডার বুড়িমারির ইমিগ্রেশন অফিসের ভিতরে কারেন্ট থাকেনা প্রায় সময়ই, সাথে আবার জেনারেটরও নাই। আইপিএস এ কিছু কম্পিউটার ও একটি লাইট জ্বলে…ফ্যান ছাড়লে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। তাই অনেক গরম ও দম বন্ধ করা আবহাওয়া সহ্য করার মন মানসিকতা নিয়ে অফিসটায় প্রবেশ করা ভালো। অতঃপর পায়ে হেটে বাংলাদেশ বর্ডার পার হয়ে ভারতের বর্ডার চেংড়াবান্ধায় প্রবেশ করলাম। চেংড়াবান্ধার ইমিগ্রেশনের কাজ সেড়ে নির্ধারিত জীপে চড়ে বসলাম (বলে রাখা ভালো ওইপারের দালাল দাদাদের জন্য ১০০ টাকা যাবার সময় আর ফিরে আসার সময় ১০০টি রুপি বা ১২০টাকা লাগবে জনপ্রতি)। বেলা ১১:৩০টায় চেংড়াবান্ধা থেকে আমাদের দুইটা জীপ রওনা দিল ১০৮ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে ভারত-ভূটান ফ্রেন্ডশিপ বর্ডার জয়গাও এর উদ্দেশ্যে। ঠিক বেলা ১:৩০টায় ভারত-ভূটান ফ্রেন্ডশিপ বর্ডার জয়গাওতে ইন্ডিয়া ইমিগ্রেশন থেকে এক্সিট সিল মেরে (বলে রাখা ভালো এখানে কোন টাকা পয়সা লাগে না) সোজা ভূটান বর্ডার ফুয়েন্টশলিং এ ঢুকে পরলাম। ভূটান-ইন্ডিয়া ওপেন বর্ডার, যখন খুশি যাওয়া ও বের হওয়া যায়। কোন সমস্যা নেই। নির্ধারিত “Central Hotel” এ বেলা ২:৩০টায় ব্যাগ পত্র রেখে ভাত খেতে খেতে বিকাল ৪টা। যেহেতু প্যাকেজে গিয়েছিলাম তাই ভাত খেতে হলো আরেক হোটেলে “Hotel Namgay” তে গিয়ে হালাল এবং বাঙালি ধাচের খাবারের জন্য। খেয়েই ছুটলাম ভুটান ইমিগ্রেশন অফিসে ভূটানের ভিসা লাগানোর উদ্দেশ্যে। আতঃপর ৭ দিনের ভিসা লাগলো পাসপোর্ট এ সন্ধ্যা ৬:৩০ টায়। বলে রাখা ভাল এখানে কোন টাকা পয়সাই লাগে না… না ভূটান ঢুকার সময়… না বের হয়ে যাবার সময়। তারপর রাতের ফুয়েন্টশলিং শহরটা পায়ে হেটে ঘুরে দেখালাম এবং রাতের খাবার শেষে ক্লান্তিময় দিনের পরিসমাপ্তি ঘটলো শান্তিময় রাতের একটি ঘুমে।

২ সীমান্তের বর্ডারের কাজ শেষ করে আপনার জন্য অপেক্ষারত বাসটিতে উঠে পরুন । ভুটানের যাবার জন্য ময়নাগুরি নামক জায়গায় নেমে ১টা লোকাল বাসে উঠে পরুন ভাড়া নিবে ৩০ রুপি। ঐখান থেকে নেমে সাফারি নামের গাড়িতে উঠুন ভাড়া পড়বে ৩০/৩৫ টাকা যা আপনাকে জয়গাও ভূটান-ইন্ডিয়া বর্ডারের কাছাকাছি নিয়া যাবে। এরপর ৭টাকা ভাড়া দিয়ে অটোতে (আমাদের দেশে সিনজি) উঠে চলে যাবেন জয়গাও ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসে এবং এক্সজিট সিল লাগিয়ে সোজা চলে যান ভূটান। মনে রাখবেন ভূটান-ইন্ডিয়া ওপেন বর্ডার, যখন খুশি যাওয়া ও বের হওয়া যায়। কোন সমস্যা নেই। আমার মতে খাওয়া দাওয়ার কাজটা জয়গাও তে সেরে নেয়াই উত্তম হবে।

আমরা Phuntsholing থেকে ১টা ৮ সিটের গাড়ি ভাড়া করি এবং সোজা চলে যাই ওদের রাজধানী থিম্পুতে। ও ভালোকথা, বাংলাদেশ এবং ভুটানের সময় একদম এক (GMT+6 ) । আমরা থিম্পুতে Yoesel Hotel 2 তে ছিলাম যার double Bed রুমের ভাড়া ছিল 700 rupee এবং triple Bed রুমের ভাড়া ছিল 9০০ rupee. গোছান, ছিমছাম হোটেল।

দ্বিতীয় দিন

১৭ই সেপ্টেম্বর’ ২০১৬ সকাল বেলা ফুয়েন্টশলিং থেকে থিম্পু ১৭২ কিমি পথ পাড়ি দেবার জন্য ঘুম থেকে উঠে পরা। রেডি হয়ে ব্যাগপত্র নিয়ে চলে গেলাম হোটেল “Namgay”তে নাস্তার উদ্দেশ্যে। নাস্তা সাড়তেই হোটেলের সামনে আমাদের ৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক, চারজন শিশু যথাক্রমে ৫,৫,৭ বছর ও একজন মাত্র ১৮ মাসের শিশু সবমিলিয়ে টোটাল ১২জনের জন্য একটি হাইএস মাইক্রো এসে হাজির।

এবার আল্লাহর রহমতে যাত্রা শুরুর পালা ভুটানের রাজধানী থিম্পুর উদ্দেশ্যে। থিম্পু পৃথিবীর মাঝে ৩য় উচ্চতম শহর যাকিনা সমুদ্রপিষ্ট থেকে ৭,৩৭৫ থেকে ৮,৬৮৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। হোটেল থেকে রওনা দিবার আগে হোটেলের ঠিক সামনেই Zangtho Pelri Lhakhang- Heaven of Guru Rinpoche বৌদ্ধদের উপাসনার স্থান। সুন্দর নিরিবিলি পরিবেশে রংবেরঙ্গের কারুকাজ করে সাজিয়ে রেখেছে এক একটি দেয়াল। খানিকটা সময় ওখানে ছবি তুলে নিলাম সবাই মিলে।

ঠিক ৯:৩০টায় ফুয়েন্টশলিং থেকে থিম্পুর উদ্দেশ্যে আল্লাহর রহমতে রওনা দিলাম। রাস্তায় দুই জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট, পাসপোর্ট নিয়ে গিয়ে কম্পিউটারে সবার এন্ট্রি করায় নিতে হয়।ফুয়েন্টশলিং থেকে বের হয়ে গেদু নামক জায়গায় প্রথম চেক পোস্ট আর থিম্পুতে ঢুকার আগে আরেকটা চেকপোস্ট। পাসপোর্ট নিয়ে সবার যাওয়ার দরকার হয় না। গ্রুপের একজন সবার পাসপোর্ট নিয়ে গেলেই হয়। ওরা শুধু পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবে যে এই পথ দিয়ে আমরা ফুয়েন্টশলিং থেকে বের হয়েছি আবার ২য় চেকপোস্ট দিয়ে থিম্পুতে এন্ট্রি করেছি। যাতে পাহাড়ি এলাকায় আল্লাহ না করুক আমরা কোন বিপদের সম্মুখিন হলে ওদের ডাটাবেসে আমাদের গতিপথ খুজে পাওয়া যায়। ফুয়েন্টশলিং থেকে থিম্পুর পথের আশে পাশে চোখ ধাঁধানো মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ঠান্ডা হিমেল বাতাসের সাথে পাহাড়ি পথ একে বেকে কখনো উপরের দিকে কখনো বা খানিকটা নিচের দিকে নেমে এগিয়ে চলেছে।

পাহাড়ের গাঁ ঘেসে ছোট বড় ঝরনা আর রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলা সুবিশাল লেক। যাকিনা linear valley of the Raidak River নামে পরিচিত। আবার অনেকে ওটাকে Thimphu River (Thimpu Chuu)ও বলে থাকে। আমরা কিছুদূর পর পর যেখানেই একটু নামতে মন চেয়েছে গাড়ি থামিয়ে নেমেছিলাম। সাথে একটু হাঁটাচলাও হয়েছে, নাহলে পাহাড়ি রাস্তায় একবার ডানে আরেকবার বামে হেলতে হচ্ছিল। কিন্তু মনে রাখা ভালো ফুয়েন্টশলিং থেকে থিম্পু ৬ঘন্টার পাহাড়ি পথ। আপনি পথে যত দেরি করবেন থিম্পু এসে পৌছাতে ও দুপুরের লাঞ্চ করতে ততোটাই দেরি হবে। পথিমধ্যে ভুটানি ছেলেমেয়েদের সুন্দর একটি মেঘে ঢাকা স্কুল (Kamji M.S. School) চোখে পড়লো। খানিকটা সময় স্কুলের ছেলেমেয়েদের সাথে পার করে আবার গাড়িতে চেপে বসলাম। আরও কিছুদূর যেতে ভূটানের সুবিশাল ইউনিভার্সিটি পথের ধারে দেখে এলাম।

মাঝপথ পেড়িয়ে সবাই যখন ঝিমাচ্ছি চোখে পড়লো পথের পাশ দিয়ে বড় একটি ঝরনা বয়ে চলেছে। আমরা সবাই ক্লান্তি ঝেড়ে নেমে পরলাম। ঠান্ডা ঝরনার পানিতে খানিকটা হাত মুখ ভিজিয়ে ছবি তুলে আবার পথ চলা শুরু করলাম। চা পানের বিরতিও নিয়েছিলাম “D2K Hotel”এ। আমরা যেহেতু প্যাকেজে গিয়েছিলাম তাই আমাদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা থিম্পুতেই করা হয়েছিল আগের থেকেই।

৯:৩০ টায় ফুয়েন্টশলিং থেকে রওনা দিয়ে বিকাল ৪:০০ টায় থিম্পু পৌছালাম। থিম্পু শহর দূর থেকেই চোখে পরে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো। সুন্দর একটি শহর। রংবেরঙ্গের বাড়িঘর গুলো মনে হলো কোন শিল্পী রংতুলি দিয়ে একে রেখেছে। আমিও শিল্পীর সাথে একাত্ততা জানিয়ে যতোটা পারলাম ক্যামেরার ফ্রেম বন্দি করে নিলাম। খাবারের ব্যবস্থা ছিল একজন বাংগালি মালিকের হোটেল “Hotel Choephel Norkyi” তে। তিন্ দিনই খাবার খেয়েছি ওই হোটেলেই। ভাত, ঘন সুস্বাদু ডাল, সবজি ও ভাজি কখনোবা বেগুনি, আর দুপুরে মাছ ও রাতে মুরগী সাথে সালাদ। দুপুরের খাবারটা সেড়ে আমাদের থাকার জন্য নির্ধারিত হোটেল “89” এ চলে এলাম। হোটেলটা বেশ ভালো। আমাদের সবগুলা রুম ছিল তিনতলায়। লিফটও ছিল সাথে কিন্তু রুমে কোন ফ্যান বা এসি ছিল না। লাগেও নাই, আবহাওয়া যথেষ্ঠ ঠান্ডা ছিল বলে। খোলামেলা সুন্দর রুমগুলো। সামনেই সুবিশাল জানালা। আর হোটেলের সামনেই থিম্পুর “লা মেরেডিয়ান” ফাইভ স্টার হোটেল। অতঃপর সন্ধ্যার বাকীটা সময় নিজেদের মত করে কাটালাম।

তৃতীয় দিন

১৮ই সেপ্টেম্বর’ ২০১৬ সকাল থিম্পুতে সারাদিন সিটি ট্যুর দিলাম। এর মাঝে Thimphu National Memorial Chorten, Tashichho Dzong (Thimpu Dzong), Dechencholing Palace – King’s House, Buddha Dordenma ছিল মনে রাখার মতন এক একটি জায়গা। হোটেল থেকে কিছুদূর যেতেই পৌঁছে গেলাম Thimphu National Memorial Chorten এ। বড় একটি বৌদ্ধ উপাসনা কেন্দ্র। হাজারো পায়রা কবুতর উড়ে বেড়াছে। আবার কেউ খাওয়া দিলে ঝাকে ঝাকে এসে বসছে। অপরূপ এক দৃশ্য। আমাদের বাচ্চাগুলা সবচেয়ে মজা করেছে এখানে। একজনকেও বকাঝকা দিয়ে দাড়া করাতে পারছিলাম না। পায়রা গুলা বসে আর ওরা ঝেরে দৌড়। যাক তারই মাঝে কিছু ছবি তুলে নিলাম। উপাসনায় আসা বৌদ্ধরা, ভিন দেশী আমাদের দেখে ভালোই আন্তরিকতা দেখাচ্ছিল। কয়েকজন আমাদের সাথে এসে ফোটোও তুলেনিল। আমরা আরোও তাদের উপাসনায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে তাই চেষ্টা করছিলাম। ভূটানের সব জায়গায়ই দেখলাম বৌদ্ধরা উপাসনা কেন্দ্রকে ঘিরে ঘুরতে থাকে আর হাতে তসবির মত জিনিষ নিয়ে ওদের মন্ত্র পড়তে থাকে। আবার কেউ কেউ হাতে এক রকমের চোরকি ঘুরাতে ঘুরাতে ঘুরতে থাকে। ওখানে অনেকটা সময় থেকে রওনা দিলাম সিটি ভিউ পয়েন্ট যেখান থেকে থিম্পু শহরটা পুরাপুরি দেখা যায় ভালোভাবে।

ওখানে যেতেই থিম্পুর পুরা শহরটা চোখের সামনে এসে হাজির। পাহাড়ের উপর থেকে থিম্পুর পুরা শহরটা মন ভিরে দেখে নিলাম। ভূটানের রাজার বাড়ি “Dechencholing Palace – King’s House” ও চোখে পরলো, রাজা-রানী ও তাদের একমাত্র সন্তান তিনজন মিলে ছোট্ট একটি প্রাসাদে থাকে। রাজপ্রাসাদ হিসেবে কোন বাহুল্য আমাদের চোখে পরেনি। নিরিবিলি পরিবেশে চারিদিকে গাছগাছালিতে ভরা ও একদিকে পাহাড়ি নদীর বেষ্টনিতে ঘেরা তাদের ছোট্ট প্রাসাদটি। প্রাসাদের পাশেই চোখে পরলো Tashichho Dzong (Thimpu Dzong)। ঝং হলো ড্রিস্টিক অফিস যাকিনা ভূটানের সবগুলা ড্রিস্টিকেই একটি করে বানানো। ঝং এর মাঝখানে বোদ্ধদের একটি উপাসনা কেন্দ্র আর ওটাকে ঘিরে ড্রিস্টিক এর অফিস কক্ষ গুলা গোলাকার ভাবে। ঝং এর পাশেই ভূটানের পার্লামেন্ট ভবন। চোখ ধাধানো সুন্দর একটি ভবন। যা আগে নেটে দেখে এসেছিলাম অবিকল ছবির মত। সবুজের মাঝে মেটে লাল রঙ্গের অপরুপ একটি ভবন।

থিম্পু শহরটা উপর থেকে দেখে ছোট্ট বেলায় বাড়িঘর বানায় খেলা করতাম সেই বাড়িঘরের কথা মনে করিয়ে দিলো। ব্লকের ঘরবাড়ির মতই পুরা শহরটা সাজানো। ওখানে অনেকটা সময় থেকে রওনা দিলাম Buddha Dordenma এর উদ্দেশ্যে। নেট থেকে প্রাপ্তঃ “বৌদ্ধ DORDENMA মূর্তি” বিশাল ৫১.৫ মিটার উচ্চতার এ Shakyamuni মূর্তি, এটা বিশ্বের বুদ্ধদের বৃহত্তম মূর্তি এক তৈরী। মূর্তিটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি এবং স্বর্ণের দ্বারা আবৃত্ত। ১,২৫,০০০ ছোট বৌদ্ধ মূর্তি যথাক্রমে বৌদ্ধ Dordenma মূর্তির মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে, ১,০০০০০ মূর্তি ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং ২৫,০০০ মূর্তি ১২ ইঞ্চি লম্বা। বৌদ্ধদের এই হাজার হাজার মূর্তি গুলা প্রত্যেকটিতে ব্রোঞ্জ ও সোনা দিয়ে বানানো হয়েছে। সিংহাসনটার উপর বুদ্ধ Dordenma বৃহৎ ধ্যানে বসা। বুদ্ধ Dordenma Kuenselphodrang নেচার পার্ক একটি পাহাড় উপরে অবস্থিত এবং থিম্পু উপত্যকায় দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রবেশপথে থেকে দেখা যায়। মূর্তিটি একটি প্রাচীন Terton পেমা Lingpa (ধর্মীয় ট্রেজার আবিষ্কর্তা) দ্বারা আবিষ্কৃত হয়।

ওখানে অনেকটা সময় থেকে রওনা দিলাম সেদিন রবিবার ছিল বলে Farmers Holiday Market ও পেয়ে গিয়েছলাম ভাগ্যক্রমে। যা কিনা শুধু শনিবার ও রবিবার ছুটির দুইদিন বসে। হরেক রকমের নিজেদের হাতের বানানো সব জিনিসপত্র ও সবজি-ফলমূল নিয়ে বিশাল আকারের বাজার বসে এই দুইদিনে। অসম্ভব সুন্দর ১টি শহর থিম্পু। দেখলেই মন ভরে যায়। এক একটি জায়গা এক একটির চেয়ে সুন্দর। হোটেলের ঠিক পিছনেই খাবার হোটেলের সামনে “Thimphu clock tower”। সন্ধ্যাটা ওখানেই কাটালাম সবাই মিলে। আশেপাশে টুকটাক দোকানপাটে ঘুরাঘুরি করে।

সকল ছবি দেখতে চাইলেঃ ফ্লিকার লিংক
ভ্রমণের ভিডিও দেখতে চাইলেঃ ইউটিউব লিংক

পরের পর্বঃ বাংলাদেশ টু ভুটান বাই রোড ভ্রমণ, ৭ দিনের অভিজ্ঞতা (২য় পর্ব)

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ bhutanby roardstorytravel