বিধান সৌধ
বহু বছর পর ব্যাঙ্গালোরে এলাম দুই দিনের জন্য। অফিসে অনিবার্য কারনে মিটিং ক্যান্সেল। আগে যতবার এসেছি শুধু বড় বড় অফিস আর রেস্টুরেন্ট এ বন্ধুদের সাথে সময় কেটে গেছে, মানে এবার তাই কয়েক ঘন্টা সময় হাতে পেয়ে একা একা খুব দ্রুত কয়েকটি ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য দেখলাম। উবের অটো করে ঘুরেছিলাম, চার পাঁচবার বুকিং আর ওয়েটিং এ সময় লেগেছিল কিন্ত সব মিলিয়ে পাঁচশো টাকাও লাগেনি, দু-তিন জন হলে পার পার্সন খরচ খুব কম হতো।
টিপু সুলতানের গ্রীষ্মকালীন প্যালেস দেখলাম, শহরের মধ্যে, ভিড় একেবারেই নেই। প্রথম কথা এখন ব্যাঙ্গালোরে গ্রীষ্মকালে ভালোই গরম, সুলতানের তৃপ্তি হতো না। আর দ্বিতীয়ত আকারে খুবই ছোটও, কলকাতার মেটক্যাফে হল এর সাইজ। টিপু সুলতানের সঙ্গে জড়িত না থাকলে এর গুরুত্ব হত না। কুড়ি টাকা টিকিট, ক্যাশ পেমেন্ট হয়না।
ব্যাঙ্গালোর প্যালেস (Bangalore palace) দেখলাম, ইউরোপিয়ান স্টাইল স্থাপত্য, বেশ বড় আর ভালো করে রক্ষনাবেক্ষণ করছে। টিকিট ২৪০ রুপী, বড্ড বেশি মনে হলো। সেদিন ওখানে একটা conference হচ্ছিলো আর অনেকটা অংশ শুধু delegates দের জন্য নির্দিষ্ট করা ছিল, তাই আর টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকলাম না, বাইরে থেকেই দেখলাম।
এরপর গেলাম বিধান সৌধ, এটি কর্নাটকের বিধানসভা, বিরাট এবং খুব সুন্দর, যেনো কোনো মহারাজার প্রাসাদ, তবে রাস্তা থেকে দেখতে হবে, টিকিট কেটে ঢোকার সুযোগ নেই।
এরপর বিধান সৌধের সামনেই cubbon park, অনেকটা জায়গা নিয়ে শুধু সবুজ সবুজ গাছপালা। এর মধ্যে state central library, ব্রিটিশ সময়ে তৈরি দারুন সুন্দর একটি বিল্ডিং, স্টুডেন্টরা আসে পড়াশোনার জন্য। পার্ক থেকে বেরোবার সময় দেখলাম Karnataka fisheries এর বোর্ড আর অনেক মাছের ছবি, ভাবলাম marine museum হবে, ঢুকে দেখি আরো ভালো ব্যাপার, মাছের নানান খাবার দাবার আর দাম খুব সস্তা।
আর হ্যাঁ, সেপ্টেম্বর এ পলাশ ফুল ফুটে আছে শহরের অনেক জায়গায়। এখানের আবহাওয়া হয়ত সেটা সম্ভব করেছে।
Leave a Comment