পাতায়া

ব্যাংকক থেকে ১৪৭ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের অন্যতম সেরা সৈকত পাতায়া যা আসলে একটি কোরাল দ্বীপ। পাতায়ার সৈকতে গার্ডেন ছাতার নীচে ডেকচেয়ারে গা এলিয়া দিয়ে সমুদ্রের আমেজ উপভোগ করতে দারণ লাগে। সৈকত জুড়ে রয়েছে আমোদ-আয়েশের এলাহি ব্যবস্থা। অসংখ্য রেস্তোরাঁ-বার, সৈকতের ধারে রেস্টুরেন্টগুলিতে কিং লবস্টার, টাইগার প্রনের সব লোভনীয় ডিশও মিলবে। বিচ রোড থেকে স্পিডবোটে পৌঁছে যাোয়া যায় সমুদ্রের গভীরে এক প্ল্যাটফর্মে। এখান থেকে প্যারাগ্লাইডিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ফেরিতে ঘুরে আসা যায় কো-লার্ন দ্বীপ থেকে। কোরাল দ্বীপে রয়েছে স্নর্কেলিং-এর ব্যবস্থাও। রাতের পাতায়া আবার অন্যরকম মাদকতায় ভরপুর। রাস্তায় রাস্তায় রয়েছে বিয়ার বার, পাব, ডিস্কো থেকে, মাসাজ পার্লার, নাইট ক্লাব। পাতায়ার আরেক আকর্ষণ না নুচ বোটানিক্যাল গার্ডেন।

স্থানীয়দের মতে পাতায়াতে দিনের বেলায় দেখার মতো তেমন কিছুই নেই। তবে পশ্চিমা দেশ থেকে আসা পর্যটকেরা দিনের বেলায় বীচের পাড়ে সান বাথ করে। পাতায়া (Pattaya) এর প্রধান আকর্ষণ রাত। প্রতি রাতে যেন ময়ূরের মতো পেখম মেলে পাতায়া।

পাতায়া থাইল্যান্ডের অন্যতম পর্যটন নগরী যেখানে বছরে ৪০ বিলিয়ন পর্যটকের সমাগম ঘটে। বিচ, ওয়াকিং স্ট্রিট ছাড়াও পাতায়ার থেকে খুব সহজেই যাওয়া যায় থাইল্যান্ডের অন্যতম দর্শনীয় স্থান কোরাল আইল্যান্ড।

কয়েকটি জরুরী থাই শব্দঃ হ্যালো – সোয়াৎ ফি, হ্যাঁ – চাই, না – মাই চাই, থ্যাঙ্ক ইউ – খোব খুন।

থাইল্যান্ডের আই এস ডি কোডঃ ৬৬

কেনাকাটা

শহর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র বিশাল বিশাল ঝাঁ-চকচকে ম্যল। এর মধ্যে জনপ্রিয় এম বি কে, সিয়াম প্যারাগন, সেন্ট্রালওয়ার্ল্ড, ফ্লোটিং মার্কেট, প্যানথিপ প্লাজা, আই টি ম্যাল, চাতুচক উইকেন্ড মার্কেট, সুয়ান নাইট মার্কেট। স্থানীয় হস্তশিল্প, সিল্ক, গয়না, জামাকাপড়, জুতো, ব্যাগ, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট এমন হরেক জিনিস রাখা যায় কেনাকাটার তালিকায়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে থাই এয়ারওয়েজে ব্যাংকক যেতে পারেন। ব্যাংককের সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট থেকে পাতায়ার দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার। এয়ারপোর্ট থেকে বাসে পাতায়া যেতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বিমানবন্দরের লেভেল ১ এর ৮ নম্বর গেটেই একমাত্র পাতায়া যাওয়ার বাসের টিকেট পাওয়া যায়। ভাড়া ১২০ বাথ (বাংলাদেশের ৩০০ টাকা)। ভোর ৪ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় বাস ছাড়ে। টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিটি বাসে।

বাসে দেড় ঘণ্টা পরই আসবে পাতায়ার নর্থ বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে করে যেতে হবে নিজ নিজ হোটেলে।

খাওয়া দাওয়া

চাইনিজ ও থাই খাবারের সমারোহ শহরের সর্বত্র। টম ইয়াং কুং হচ্ছে নারকেলের দুধ, কাঁচালংকা, আদা, লেমন গ্রাস, মাশরুম আর চিংড়ি দিয়ে তৈরি একরকম স্যুপ। স্টিমড রাইস উইথ গ্রিনহোল পিপারকর্ন দিয়ে সবুজ অথবা লাল চিকেন কারি। কাঁচা পেঁপে, আম, লেবুর রস আর লংকা মেশানো স্যালাড এর সঙ্গী। চেখে দেখা যায় শার্ক ফিন স্যুপ আর বার্ড নেস্ট স্যুপ। ছোটো ছোটো ফলের আকারে তৈরি মিষ্টিগুলি দেখতেও ভারি মজা লাগে। ভালো লাগবে রোজ অ্যাপল, ম্যাঙ্গোস্টিন।

এছাড়া বিচ রোডেই আছে পিজাহাট এবং ম্যাকডোনাল্ডস।

কোথায় থাকবেন

পাতায়াতে থাকার জন্যে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল আছে। এদের মধ্যে হোটেল গ্র্যান্ডসোল, ইসান প্যারাডাইস অন্যতম। এসব হোটেলে বুকিং দিতে পারবেন অনলাইনে। এজন্যে দেখতে পারেন – www.agoda.com, booking.com ইত্যাদি।

মনে রাখা জরুরিঃ রাজপ্রাসাদ ও বৌদ্ধমন্দিরে প্রবেশের নিয়মকানুন মেনে চলবেন। থাইল্যান্ডের কোনও ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের সময় সংস্থাটির বৈধ লাইসেন্স আছে কি না যাচাই করে নেবেন।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ pattayathailand