বুমথাং

রাজধানী থিম্পু থেকে ২৭০ কি.মি. দূরে এবং সাড়ে আট হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত বুমথাং (Bumthang) যেন একটুকরো স্বর্গ। ‘বুম` মানে দেবতার বেদীতে জল রাখার পাত্র আর ‘থাং` কথার অর্থ উপত্যকা। বৌদ্ধধর্মালম্বীদের কাছে বুমথাং অতি পবিত্র স্থান। ভুটানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন জং, মন্দির এবং মহল এখানে অবস্থিত। দেখে নেবেন ওয়াংগডিচোলিং প্যালেস, জাম্বে লাখ্যাং মন্দির এবং সব থেকে বড় ভুটানিজ জাকার জং। পাশাপাশি হেঁটে দেখে নিন হট স্প্রিং এরিয়া। এই এলাকায় ব্লু শিপ, মাস্ক ডিয়ার, হিমালয়ান ভাল্লুক চোখে পড়তে পারে। বুমথাং এ একমাত্র জাকারেই ভালো রেস্তোরাঁ পাবেন।

দর্শনীয়স্থান সমূহ

জাকার জংঃ ওয়াংচুক নামে এক লামা এই জংটি নির্মাণ করেন। এই জংটি বুমথাংয়ের শুধু নয়, সারা ভুটানের একটি দ্রষ্টব্যস্থান বলে গণ্য করা হয়।

জাম্বো লাখাংঃ সপ্তম শতকে তিব্বতি রাজা সংসেন গাম্পো নির্মাণ করেন এই লাখাং।

কুর্জ লাখাংঃ ১৬৫২ সালে তিব্বতি ধর্মগুরু রিমপোচে এখানে তপস্যা করেছিলেন। তিনটি মন্দির নিয়ে এই লাখাংটি। তিনটি মন্দির নিয়ে এই লাখাংটি। এছাড়া আছে বিশাল বুদ্ধমূর্তি। পাশেই আছে এক জলাশয়।

তামশিং লাখাংঃ কুর্জ লাখাংয়ের কাছেই আছে তামশিং লাখাং। ১৫০১ সালে তেরটন পেমা লিংপা নামে এক লামা তৈরি করেন এই লাখাংটি।

এছাড়াও আছে উড়ি ভ্যালি, দোচুলা পাস।

কখন যাবেন

ভুটান ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী থিম্পু থেকে গাড়ি অথবা বাসে পৌঁছনো যায় বুমথাংয়ে৷ থিম্পু থেকে সরাসরি বুমথাং যেতে বেশ অনেকটা সময় লাগে আর তাছাড়া রাস্তাও খুব একটা ভালো নয়। তাই আপনি চাইলে থিম্পু থেকে পুনাখা যেয়ে একরাত স্টে করে পরেরদিন সকালবেলা বুমথাং এর উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

বুমথাং এ থাকার মত বেশ কিছু হোটেল আছে, এছাড়া আছে হোমস্টে এর ব্যবস্থাও। এখানে বুমথাং এর হোটেল গুলো সম্পর্কে জেনে নিন

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ bhutanbumthang