একদিনের সিলেট ট্যুর নামা

ঢাকা থেকে উপবন এক্সপেসে রওনা হলাম রাত ৯.৫০ মিনিটে। ভোর ৫.২০ সিলেট পৌঁছালাম, স্টেশনে নাস্তা করতে করতে আমাদের রিজার্ভ লেগুনা হাজির। ৬.২০ এর দিকে রওনা হলাম রাতারগুলের দিকে। শহর পার হতেই একপাশে এয়ারপোর্টের বর্ডার আর অপর পাশে মালনীছড়া চা বাগান। চা বাগান দেখে হুড়মুড় করে নেমে পরলো সবাই।

কিছুক্ষণ পর আবরা উঠলাম লেগুনাতে, রাস্তার অবস্থা কিছু বলার নাই খুব বাজে রাস্তা।৮.৩০ এর দিকে পৌছালাম রাতারগুল সেখানে গিয়ে তো চোখ চড়কগাছ। সবাই বলে ৬০০/৭০০ করে নৌকা, কিন্তু ১৩০০ নিচে নৌকা যাবে না। অবশেষে লেগুনার ড্রাইভারের সুপারিশে ২ টা ১৯০০ টাকায় পাইলাম। রাতারগুলের ভিতর ডুকে সব অভিযোগ ভুলে গেছি। অনেক সুন্দর একটা বন। দেখেই মুগ্ধ আমরা।

রাতারগুল

১০.৩০ দিকে বের হলাম রাতারগুল থেকে। এখানে একটা পাবলিক টয়লেট আছে হাত মুখ ধুয়ে চলে গেলাম বিছানাকান্দি তে। রাস্তার দুপাশের দৃশ্য অনেক সুন্দর কিন্তু রাস্তা না। রাস্তায় পুলিশ আটকালো ঘুষ নেওয়ার জন্য মেজাজটা বিগড়ে গেল। কথা কাটাকাটি করে এক টাকাও দিলাম না। কিছু সময় নষ্ট হলো।

বিছানাকান্দি যাবার ৩ টা ঘাট ২ টার ভাড়া নির্ধারিত আর একটার না। ড্রাইভার আমাদের শেষেরটা তে নিয়ে গেল। যাতে খরচ কম হয়। স্থানীয় একজন আমাদের অনেক হেল্প করলো। ১০০০ টাকায় চলে গেলাম বিছানাকান্দিতে। কি অপরূপ সৃষ্টি বিধাতার। এত সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। অবশেষে গোছল শেষে এখানে দুপুরের খাবার খেলাম। ওই স্থানীয় ভাইকে নিয়ে কিছু কেনাকাটা করলাম অনেক কম দামে।

এবার ফেরার পালা আশার সময় মাজার জিয়ারত করে পাঁচভাই রেস্টুরন্টে ডিনার শেষ করে ট্রেনে ঢাকা। মাথাপিছু খরচ ছিলো ২০০০ টাকা।

Leave a Comment
Share