মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল – আমার অভিজ্ঞতা

আমার যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম কেন্সার এর চিকিৎসা টাটা মেমোরিয়াল এর শাখা কয়েকটা আসে ক্যান্সার এর জন্যে Homi Bhabha শাখা ভালো। এখানে আমি হোটেল, সিম, থাকা-খাওয়া নিয়ে আলোচনা করলাম। আমি চট্রগ্রাম থেকে এয়ারে কলকাতা হয়ে মুম্বাই গিয়েছি। আপনারা চাইলে কলকাতা থেকে বাস/ট্রেনে মুম্বাই যেতে পারবেন। আমি মুম্বাই এয়ারপোর্ট এ রাত ৭ টা এর দিকে নেমেছিলাম।

ভাড়া

মুম্বাই এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে ডিরেক্ট Parel Tata Memorial Hospital এর পাশে গেলাম। একটা কথা মনে রাখবেন ভুলেও এয়ারপোর্ট এর ভিতর এর থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করবেন না, টাকা বেশি নিবে। বাইরের মিটারের ট্যাক্সি নিবেন, এয়ারপোর্ট থেকে Parel ৫০০ রুপি এর মত আসবে। এয়ারপোর্টের ভিতরে প্রিপেইড ট্যাক্সি ও টাটা পর্যন্তও ৫০০ টাকা নেয়। বাহির থেকে ট্যাক্সি নিলে অনেক সময় নতুন বুঝে ঘুরিয়ে নিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে মিটারে বিল আসবে বেশী। সবচেয়ে ভালো উবার,ওলা ব্যাবহার করা।

হোটেল

বাংলাদেশ থেকে দালাল এর সাথে কথা বলে গিয়েছিলাম। সেই লোক একটা হোটেল এ নিয়ে গিয়েছিলো। হোটেল দেখে মাথা গরম অবস্থা। কিন্তু কি করবো রাত হয়ে গিয়েছে অনেক তার উপর সাথে মহিলা ছিলো। তাই ঝামেলা না বাড়িয়ে রাতে ওখানে থেকে গেলাম, পার ডে ১৮০০ রুপি। মুম্বাই এ রুম ভাড়া একটু বেশি। সকালে ৫টা বাজা মাত্র উঠে আগে চলে গেলাম হাসপাতালে। রেজিস্ট্রেশন এর জন্য লাইনে দাড়ালাম। টাকা দিয়ে ফাইল ওপেন করে সবকিছু করতে ১ দিন লেগেছে। ডাক্তার তার পরের দিন সকালে হাসপাতালে গেলে ৫০,০০০ রুপী নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ওরা ডাক্তার রেফার করে, যার যে সমস্যা সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করে।

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে হোটেল খুজতে শুরু করলাম। একটা পানওয়ালা পেলাম হাসপাতাল এর কাছে, ওর থেকে ঠিকানা নিয়ে কয়েকটা হোটেল দেখতে গেলাম। হাসপাতাল এর কাছে ভালো একটা হোটেল পেলাম, অনেক দরদাম করার পর ১৪০০ রুপি পার ডে ভাড়া ঠিক হলো। ডাইনিং, কিচেন, লিভিং রুম, টিভি, ফ্রিজ সব কিছু ছিলো। চাইলে Antop Hill Gtb Nagar থাকতে পারেন, পার ডে ১০০-১৫০ রুপী ভাড়া। টাটা হাসপাতাল থেকে বাসে ২৪ রুপি নিবে এবং টাক্সিতে ৮০-১০০ রুপী নিবে।

মুম্বাই ভাসী সানপাড়াতে ৫০০ -৭০০ টাকায় থাকতে পারবেন, নেভী মুম্বাইতে ২০০ টাকায় পারবেন, আবার টাটার হোষ্টেল বসুন্ধরাতে এ সিট পেলে ৫০ টাকা, কেবিন ৪০০ টাকায় থাকতে পারবেন।

সিম

সব কিছু করার পর সিম এর জন্য গেলাম। ২দিন কষ্ট করার পরও সিম পেলাম না। স্পষ্ট কথা বাঙালিকে ওরা সিম দিবে না। শেষ পর্যন্ত সেই পানওয়ালার কাছে গেলাম ১০০ রুপির সিম ৫০০ রুপি নিলো। কি করব বাড়িতে কথা বলার জন্য নিতে হলো 🙁 টাটার সামনে রঞ্জনা হোটেল ও অবনী ট্রাভেলস মেইন দোকান এর মাঝে একটা ছোটা দোকান আছে ফ্লেক্সিলোড এর। চাইলেই সিম দিবে। বাংলা বোঝে আর ওর দোকানের সামনে বাংলায় অনেক অফার গুলা লিখা আছে সিম এর। একটিভ সিম দিবে বেশী টাকা দিলে। আর লিগ্যাল ভাবে কোন বাড়তি টাকা ছাড়াও দিবে পাসপোর্ট দিয়ে। একদিন পর চালু হবে (গভ. রুল)।

খাবার

আমরা মুসলিম হোটেল খেতাম। ঠিকানা Parel Raja Tower এর পিছনে একটা হোটেল আছে, এখানে সব সময় খেতাম। চাইলে আপনি রান্না করে খেতে পারবেন।

Leave a Comment
Share