প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড় আর ঝর্ণায় সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত হর্টিকালচার পার্ক (Horticulture Park) খুব জনপ্রিয় একটি পার্ক। জেলা শহরের জিরোমাইল এলাকায় ২২ একর পাহাড় জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই হর্টিকালচার হ্যারিটেজ পার্ক। এই পার্কে রয়েছে অসাধারণ সুন্দর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ এবং বড় একটি সুইমিং পুল। হর্টিকালচার পার্ক এর ভিতরের পরিবেশ বেশ মনোরম। বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর জন্য সেরা একটি জায়গা। পার্কের পশ্চিম পাশ থেকে খাগড়াছড়ি শহরে ভিউটা অসাধারণ। এছাড়াও পার্কের ভিতরে রয়েছে টয় ট্রেন, দোলনা, ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া রয়েছে ফুলের বাগান ও বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ।
এছাড়াও স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকনিক এর জন্য পার্কের সামনে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। পার্কের ভিতরে যে লেকটি রয়েছে সেখানে চাইলেই নৌকা নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন পার্কের সৌন্দর্য। দুই পাশে পাহাড় আর মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে লেক।
পার্কের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
এছাড়া খাগড়াছড়ি এর দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে আছে সাজেক ভ্যালি, আলুটিলা গুহা, নিউজিল্যান্ড পাড়া, রিসাং ঝর্ণা, কংলাক ঝর্ণা সহ আরও অনেক কিছু ।
ঢাকা থেকে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। এছাড়াও বিআরটিসি ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায়।
যোগাযোগঃ
সেন্টমার্টিন পরিবহন – আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১, ০১৭৬২৬৯১৩৪০, খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮
শ্যামলী পরিবহন – আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১, কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫, আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১, ৯১২৪৫৪, দামপাড়া (চট্টগ্রাম) ০১৭১১৩৭১৪০৫, ০১৭১১৩৭৭২৪৯
শান্তি পরিবহন – আরামবাগ ( ঢাকা ) – ০১১৯০৯৯৪০০৭, অক্সিজেন (চট্টগ্রাম) ০১৮১৭৭১৫৫৫২
চট্টগ্রাম থেকেও খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। BRTC এসি বাস (চট্টগ্রাম) কদমতলীঃ ০১৬৮২৩৮৫১২৫, খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭
খাগড়াছড়ি সদর বাজার হতে গঞ্জপাড়া রোড দিয়ে অটোরিক্সায় জনপ্রতি ১০টাকা, রিক্সায় জনপ্রতি ২৫টাকা ভাড়া দিয়ে হর্টিকালচার পার্কে যেতে পারবেন। খাগড়াছড়ি সদর বাজার হতে মেইন রোড দিয়ে অটোরিক্সায় জনপ্রতি ২০টাকা এবং রিক্সায় জনপ্রতি ৩৫টাকা ভাড়া পড়বে। এছাড়াও মোটরসাইকেল সহ যে কোন যানবাহনে খুব সহজে যাওয়া যায় হর্টিকালচার পার্কে।
খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে।
খাগড়াছড়ি গেলে আদিবাসী খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন নয়া। শহরের পানখাইয়াপাড়া, মহাজনপাড়া এলাকায় বেশকিছু আদিবাসী খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যারা পাহাড়ে এসে পাহাড়ি খাবার খেতে চান তাদের ঠিকানা ওই রেস্টুরেন্টগুলো।
Leave a Comment