খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি – সিন্দুকছড়ি (Sindukchhari) – জালিয়াপাড়া সড়ক ভ্রমন পিপাসুদের জন্য একটি নতুন আকর্ষনীয় স্থান। মহালছড়ি (Mohalchari) – সিন্দুকছড়ির আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা গুলোর একটা। বাইকারদের জন্য একই সাথে আকর্ষনীয় এবং রোমাঞ্চকর একটি রাস্তা, বিশেষ করে যারা এমন মসৃণ আঁকাবাঁকা রাস্তায় লিন হয়ে কর্নারিং করতে পছন্দ করেন। তবে স্কিল না থাকলে কর্নারিং না করাই মঙ্গলজনক, কারণ একটু এদিক-সেদিক হলেই সোজা খাঁদে গিয়ে পড়বেন। একবার এই রাস্তায় ভ্রমণ করলে বারবার ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগবে এটা নিশ্চিত করে বলাই যায়। রামগড়ের জালিয়াপাড়া সিন্দুকছড়ি হয়ে এই সড়কটি শেষ হয়েছে মহালছড়িতে। পর্যটকদের কাছে এই সড়ক সিন্দুকছড়ি সড়ক নামেই পরিচিত।
সিন্দুকছড়ি ভ্রমণে খাগড়াছড়ির প্রবেশমুখেই স্বাগত জানায় অপরূপ সুন্দর চা বাগান। আঁকাবাঁকা সড়কের সৌন্দর্য উপভোগ করা শুরু করবেন জালিয়াপাড়া বাজারের পর থেকেই। পাহাড়ি রাস্তার প্রতিটা বাঁকে বাঁকে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগবে। যেমন রাস্তা তেমনি চার পাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, দখিনা বাতাসের খেলা। এই সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ১৫০০ ফুট উচু স্থানে উদ্যোক্তা হ্লাসিমং চৌধুরীর ড্রাগন ফ্রুট, আম সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলাদির কয়েক একরের বিশাল বাগান। এটি খাগড়াছড়ি জেলার দেখার মতো একটি বাগান। বাগানে রয়েছে শতাধিক প্রজাতির ফল-ফলাদির গাছ।
অনেক সময় ধুমনি ঘাটের ভিতর এলাকার বাদল ঘাটের নিকটে এবং তার আশে পাশের এলাকায় বন্য হাতির পাল দেখা যায়।
ঢাকা থেকে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, আব্দুল্লাহপুর অথবা গাবতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে শ্যামলী, হানিফ অথবা শান্তি পরিবহনসহ খাগড়াছড়িগামী বাস পেয়ে যাবেন। নন-এসি বাসে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা এবং এসি বাস ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। খাগড়াছড়িগামী বাসে রামগড় অতিক্রম করার পর হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে নেমে যাবেন। সেখান থেকে সিএনজি ভাড়া করে যেতে পারবেন সিন্দুকছড়ি সড়ক ভ্রমণ করতে।
খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে।
খাগড়াছড়ি গেলে আদিবাসী খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন নয়া। শহরের পানখাইয়াপাড়া, মহাজনপাড়া এলাকায় বেশকিছু আদিবাসী খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যারা পাহাড়ে এসে পাহাড়ি খাবার খেতে চান তাদের ঠিকানা ওই রেস্টুরেন্টগুলো।
যেহেতু নতুন সড়ক তাই ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইক অথবা খাগড়াছড়ি থেকে জিপ গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া উচিত। না হলে অযথা বাড়তি ভাড়া গুণতে হবে। সিন্দুকছড়ি অত্যন্ত দুর্গম এলাকা হওয়ায় একাকী না গিয়ে দলবেঁধে ভ্রমণ করা উচিত।
Leave a Comment