খাগড়াছড়ি

রিসাং ঝর্ণা

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ৯ কি.মি., পর্যটন মোটেল থেকে ৭ কি.মি. এবং আলুটিলা থেকে ২ কি.মি. দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে রিসাং ঝর্ণা অবস্থিত। মূল রাস্তা থেকে উত্তরে গেলেই ঝর্ণার কলকল ধ্বনি শুনতে পাবেন। এখানে পাশাপাশি দুটি ঝর্ণা রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য একটি ঝর্ণায় যেতে পাকা সিঁড়ি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তাই সহজে এই ঝর্ণায় যাওয়া যায়। প্রথমটি থেকে আরও ২০০ গজ ভেতরে আরও একটি ঝর্ণা। জেলা শহর থেকে ঝর্ণা স্থলের দুরত্ব সাকুল্যে ১১ কি: মি: প্রায়। নিজস্ব পরিবহন নিয়ে আপনি অনায়াসেই চলে যেতে পারেন একেবারে ঝর্ণার পাদদেশে। সামান্য পায়ে হাঁটা পথ যাত্রার আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে দেবে। উঁচু পাহাড়ের গা ঘেঁষে পায়ে হেঁটে যেতে যেতে যে কারো দৃষ্টি আটকে যাবে পাহাড়ী সবুজ আর জীবনধারায়। হাজার ফুট নীচের উপত্যকায় দৃষ্টি পড়লে কোন অপূর্ব মুগ্ধতায় যে কেউ শিউরে উঠবেন।

মূল রাস্তা থেকে ঝর্ণাটি প্রায় ২ কিলোমিটার ভেতরে। পুরোটাই পায়ে হাঁটাপথ। প্রাকৃতিক এই ঝর্ণাটি প্রায় ৩০ মিটার উঁচু থেকে আছড়ে পড়ছে নিচে। পুরোটাই পাথুরে পরিবেশ। পাহাড়ের প্রায় ১০০ ফুট উপর হতে ঝর্নার পানি নিচে পড়ছে। নিচে পড়ার পর তা আবার আরও ১০০ ফুট পাথরের ওপর গড়িয়ে নেমে আসে সমতলে। এটি এর একটি স্বাতন্ত্র রূপ যা আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

রিসাং ঝর্ণার কাছাকাছি আরেকটি ঝর্ণা আছে যা রিছাং ঝর্ণা – ২ বা অপু ঝর্ণা নামে পরিচিত। এটির পথ একটু দুর্গম এবং রিছাং ঝর্ণা থেকে যেতে ৩০/৪০ মিনিট লাগবে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। এছাড়াও বিআরটিসি (BRTC) ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাস (AC Bus) খাগড়াছড়ি যায়। শান্তি পরিবহনের বাস সরাসরি দীঘিনালা পর্যন্ত যায়।

সেন্টমার্টিন পরিবহন (Saint Martin Paribahan) – আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০ । খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮ ।
শ্যামলী পরিবহন – আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১ । কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫ । আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১ , ৯১২৪৫৪ । দামপাড়া (চট্টগ্রাম) ০১৭১১৩৭১৪০৫ , ০১৭১১৩৭৭২৪৯ ।
শান্তি পরিবহন- আরামবাগ ( ঢাকা ) – ০১১৯০৯৯৪০০৭ । অক্সিজেন(চট্টগ্রাম) ০১৮১৭৭১৫৫৫২ ।

চট্টগ্রাম থেকেও খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । BRTC এসি বাস (চট্টগ্রাম) কদমতলীঃ ০১৬৮২৩৮৫১২৫ । খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭ ।

খাগড়াছড়ি থেকে সকাল বেলা বাসে বা চাদের গাড়িতে করে রওনা দিন। ঢাকার দিকে ১০ কিলোমিটার এসে আলুটিলার গুহা পার হলেই রিসাং ঝর্না। এই ঝর্ণা দেখতে হলে চাদের গাড়ি, লোকাল বাস বা সিএনজি করে আলুটিলা থেকে আরো ২ কি.মি. এগিয়ে প্রথমে হৃদয় মেম্বার এলাকায় যেতে হবে। আলুটিলা থেকে লোকাল বাসে ৫ টাকা নিবে। সেখান থেকে প্রায় ২.১০ কি.মি. দূরে রিছাং ঝর্ণা। এই পথ হেটে বা বাইকে করে যেতে হবে। বাইকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিবে শুধু যাওয়ার জন্য, আসার সময় ১০০ টাকা। চাদের গাড়ি বা সিএনজি নিয়ে গেলে ঝর্ণা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নামতে হবে, বাকিটা হেটে যেতে হবে।

কোথায় খাবেন

খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী সিস্টেম রেস্তোরার (System Restaurant) অবস্থান। এখানে খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে পারবেন।  যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬৩৪ , ০১৫৫৬৭৭৩৪৯৩ , ০১৭৩২৯০৬৩২২ ।

কোথায় থাকবেন

খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। তবে দীঘিনালায় থাকার জন্য ভাল ব্যবস্থা বলতে একটি। সেটি হল দীঘিনালা রেস্টহাউজ।

পর্যটন মোটেলঃ এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে । মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার । ভাড়াঃ এসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা । এসি স্যুইট রুম ৩,১০০ টাকা। মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে । তবে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ভোল্টেজ ওঠানামা করায় এসি রুমগুলো নন-এসি হিসেবে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫ , ০৩৭১-৬২০৮৪, ০৩৭১-৬২০৮৫, ০১৫৫৬৫৬৪৩৭৫ ।

হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত । এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫ , ০৩৭১-৬১৬২৫, ০৩৭১-৬১৬২৬, ০১৮২৮-৮৭৪০১৪। রুম ভাড়া ১০০০-২৫০০ টাকা প্রতি রাত।

হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২ ।
হোটেল জেরিনঃ ০৩৭১-৬১০৭১ ।
হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০ ।
হোটেল শিল্পীঃ ০৩৭১-৬১৭৯৫ ।

Leave a Comment
Share