মায়াবিনী লেক (Mayabini Twisa Lake) টি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ভাইবোনছড়ার কংচাইরি পাড়ায় পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত একটি অপূর্ব সুন্দর লেক। লেকের শীতল স্বচ্ছ জলে ভেসে বেড়ায় মাছ। লেকের চারদিকে বিস্তৃত অরণ্যঘেরা সবুজের সমারোহ। পাহাড়ের উঁচু-নিচু ৪০ একর নিসর্গময় জায়গার মাঝে লেকটি। লেকের মাঝখানেও রয়েছে টিলা। টিলাগুলোতে তৈরি করা হয়েছে গোলঘর বিশ্রামাগার। গোলঘর থেকে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বাঁশের সাঁকো।
মায়াবিনী লেকে ঘোরার জন্য ৪টি নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। পড়ন্ত বিকেলে লেকের চারদিকে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর সময় মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মন চঞ্চল হয়ে উঠে। এ সময় ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁসের পাশাপাশি দেখা যাবে সাদা বক। বড় বড় মাছের লাফালাফি মন কেড়ে নেবে।
একতা মৎস্য সমবায় সমিতির এক স্বপ্নের নাম এই মায়াবিনী লেক। ২৮ সদস্যের একতা মৎস্য সমবায় সমিতির হাত ধরেই এখানে তৈরি হয়েছে এই বিনোদন কেন্দ্র। স্থানীয়রা কমিউনিটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে মায়াবিনী লেক পরিচালনা করছে। বন্ধুরা মিলে বেড়াতে যেতে পারেন আবার পারিবারিক ভ্রমণের জন্যেও চমৎকার পর্যটন স্পটটি। চাইলে একা একা চুপচাপ নির্জনে সময় কাটাতে পারবেন। মোদ্দা কথা হলো, জেলা শহরের খুব কাছে সময় কাটানোর জন্যে অসাধারন এই জায়গাটি।
মায়াবিনী লেক এর কাছাকাছি ভাইবোনছড়াতে রাবার ড্যাম, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের উপসনালয় অরন্য কুঠিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
ঢাকা হতে শান্তি, এস আলম ,হানিফ, ইকোনো , শ্যামলী, সৌদিয়া এসি /নন এসি পরিবহনের মাধ্যমে সরাসরি যেতে পারেন খাগড়াছড়িতে। খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি উপজেলা সড়কের দিকে সিএনজি অথবা মাহিন্দ্র পরিবহন করে যেতে হবে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া বাজারে। সেখান থেকে পশ্চিম দিকে পাঁচ মিনিটে কংচাইরী পাড়াতে মায়াবিনী লেকে যেতে পারবেন।
মায়াবিনী লেকে পিকনিক আয়োজনের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সুবিধা। বর্তমানে মায়াবিনী লেকের তত্ত্বাবধায়ক হিবেবে দায়িত্ব পালন করছে অংহ্লাপ্রু মারমা। তার সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন। মোবাইল নং ০১৫৫৩৬৬৯৫৯৬।
খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে।
খাগড়াছড়ি গেলে আদিবাসী খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন নয়া। শহরের পানখাইয়াপাড়া, মহাজনপাড়া এলাকায় বেশকিছু আদিবাসী খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যারা পাহাড়ে এসে পাহাড়ি খাবার খেতে চান তাদের ঠিকানা ওই রেস্টুরেন্টগুলো।
Leave a Comment