সান্দাকফু – ফালুট ট্যুর এর A টু Z

হঠাৎ প্ল্যান করা ট্যুর গুলো অনেক ইন্টারেস্টিং হয়। তাহলে শুরু করা যাক একটা ইন্টারেস্টিং ট্যুর এর গল্প 🙂

২৮/৯/১৮

সন্ধ্যার হানিফ বাসে করে রওনা হলাম তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে। সকাল ৭ টার মধ্যে গাড়ি পৌঁছে যাবে তেতুলিয়া। রাস্তায় ১ বার ৩০ মিনিট এর বিরতি এবং একবার ১০ মিনিট এর বিরতি দিবে গাড়িটি। তেতুলিয়া থেকে অটো দিয়ে সরাসরি বাংলাবান্ধা চলে যাওয়া যায়, শেয়ার এ গেলে ভাড়া ৩০ অথবা বাস এ গেলে ২০ টাকা করে সরাসরি বর্ডার। সকালের নাস্তায় আমরা খেয়েছিলাম ভাত, ভর্তা এবং ডাল। আহা কি স্বাদ !! গ্রাম এর খাবার এর স্বাদই আলাদা। ২ জন এর খাবার এ বিল এসেছিল ৪০ টাকা মাত্র ! প্রথম এ ভেবেছিলাম ১ জনের বিল মনেহয় ৪০, পরে দেখলাম যে নাহ! ২ জনেরই ৪০ টাকা।

যাই হোক চলে গেলাম ইমিগ্রেশনে। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়। বুঝলাম না তারা জায়গায় জায়গায় ১০০ /৫০ করে নিয়েছিলো কিছু বলার আগেই। দিলাম যেখানে যা চায় -_- ১০ টার মধ্যে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন শেষ করে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশনে চলে গেলাম। ইন্ডিয়ান বর্ডার ফুলবাড়ি। সেখানেও সেইম। কোথাও ৫০ কোথাও ১০০ করে নিচ্ছে। বাই রোড এ বাস এর ওয়েতে যাই নি তাই কাহিনি বুঝি নাই।

যাই হোক ১০.৩০ এর মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করে চলে গেলাম অটো স্ট্যান্ড এ। অটো স্ট্যান্ড এ করে ১০ রুপি করে ফুলবাড়ি বাজার। বাজার থেকে বাস এ করে ১০ রুপি করে শিলিগুড়ি। সারা রাত এর জার্নি এর কারনে শরীর চলছিলো না তাই শেয়ার এ না গিয়ে কার রিজার্ভ করে সরাসরি চলে গেলাম মানেভাঞ্জন। ভাড়া ছিল ২৫০০ রুপি। আমরা ২ জন ছিলাম তাই খরচ বেশি হয়েছে সব জায়গায়। মোটামুটি ৪ জন গেলে খরচ পারফেক্ট হতো। ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টার মত সময় লাগে মানেভাঞ্জন যেতে। সেখানে সব থাকার হোটেলই রাস্তার পাশে এবং রিজনেবল। কিন্তু সব জায়গায়ই আপনাকে দামাদামি করতে হবে। আমরা ৮০০ রুপিতে একটা রুম নিয়েছিলাম ৫ জন থাকার মত রুম। বিকালে যেয়ে ভারি খাবার পাইনি তাই মোমো এবং চাওমিন খেলে কাটিয়েছি। রাতে খেয়েছি রুটি এবং মুরগির তরকারি। থাকা খাওয়া মিলিয়ে হয়েছিল ১২০০ এর মত।

মানেভাঞ্জন – একপাশে নেপাল আর একপাশে ভারত

এইবার মানেভাঞ্জন নিয়ে কিছু বলি 🙂

এই শহরটার রাস্তার এক পাশে ভারত এক পাশে নেপাল, এইটা আমার কাছে বেশ লেগেছে এবং এই শহর এর খেলার মাঠ। উফফ কি সুন্দর। যেন সৃষ্টি কর্তা নিজ হাতে বানিয়েছেন 🙂 অহ। একটা জরুরি কথা। কথাটা হলো মানেভাঞ্জন ঢুকার সাথে সাথেই আর্মি এন্ট্রি করে নিবেন কারন আমরা ফরেনার এবং ট্রেকিং এর উদ্দেশ্য থাকলে গাইড আগের দিনই ঠিক করে রাখবেন। ফরেনারদের জন্য গাইড দের পার ডে খরচ ১০০০ রুপি। থাকা খাওয়া তার নিজেরটা আর যদি জীপ এ যান তাহলে যাওয়ার দিনই সকালে ঠিক করে নিতে পারবেন। সান্দাকফু পর্যন্ত ৪০০০ রুপি।

মানেভাঞ্জন এর খেলার মাঠ

তবে হাই সিকনেস এর ব্যাপারে হাল্কা গুগল করে যাবেন। সাথে পর্যাপ্ত পানি রাখবেন 🙂

২৯/৯/১৮

সকাল সকাল জানালা দিয়ে দেখা সৌন্দর্য দেখে আমার মনে হয়েছিল এইটাই মনে হয় প্রধান সৌন্দর্য্য কিন্তু আমার জন্য সামনে আরও অনেক কিছু আপেক্ষা করছিল 😉 😉

আমরা জীপ এ করে মানেভাঞ্জন থেকে কালাপোখরি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। বাকি পুরো রাস্তা পায়ে হেটে 🙂 সিঙ্গালিলা ফরেস্ট এ ঢুকার সময় র ও একটা এন্ট্রি করতে হয়। ফরেনার ২০০ করে এবং সাথে ক্যামেরা থাকলে ১০০ করে এবং গাড়ির জন্য ১০০ করে সরকারি ফী দিয়ে শুরু করলাম যাত্রা!

সিঙ্গালিলা ফরেস্ট এ ঢুকার সময় আরো একটা এন্ট্রি করতে হয়। ফরেনার ২০০ করে এবং সাথে ক্যামেরা থাকলে ১০০ করে এবং গাড়ির জন্য ১০০ করে সরকারি ফী দিয়ে শুরু করলাম যাত্রা! সিঙ্গালিলা ফরেস্ট দিয়ে গাড়ি চলছে এঁকে বেঁকে পাহাড়ি রাস্তায়। টুম্বলিং থেমে সকালের নাশ্তা করে নিলাম। নুডুলস ( ৬০ রুপি করে )এবং সিদ্ধ ডিম( ২০ রুপি করে )। মাঝে গৈরিবাসে একটা আর্মি এন্ট্রি করতে হয়। আমরা জীপ নিয়েছিলাম কালাপোখরি পর্যন্ত। ওখান থেকে ৬ কিমি. হেটে সান্দাকফু। সান্দাকফুতে সরকারি থাকার রেস্ট হাউজ আছে। বেড প্রতি ২৫০ করে। এক রুম এ কমপক্ষে ৪/৫ টা বেড থাকে।

তাছাড়া নেপালি কিছু হোটেল আছে ভাড়া ১৫০০ -২০০০ রুপি করে পরবে সিজন অনুযায়ী এবং দামাদামি অবশ্যই করতে হবে এবং নেপালি রুম গুলো তে ৩/৪ জন করে থাকা যায়। খাওয়ার খরচ এইখানে মোটামুটি বেশি। মুরগি, ডাল , ভাত খেলে ২৫০ করে এবং সবজি ভাত ডাল খেলে ১৮০ রুপি করে পরবে।

সান্দাকফু তে ভিউ পয়েন্ট ২ টা। একটা আর্মি দের আওতায় এবং সহজে উঠা যায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে কাঞ্চঞ্জঙ্গা ভিউপাওা যায় মোটামুটি কিন্তু আপনি যদি বেটার ভিউ আশা করেন তাহলে অবশ্যই কষ্ট করবেন এবং চলে যাবেন ২য় ভিউ পয়েন্ট এ। উঠা হাল্কা কষ্ট হবে কিন্ত উপরে যাওয়ার পরে সৌন্দর্য আপনাকে কষ্ট ফীল হতে দিবেনা 🙂

সময় তখন সকাল 5.30 ❤

দুর্ভাগ্য বশত আমরা সান্দাকফু থেকে কোন ভিউ দেখতে পাইনি আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে। আরা ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ছিলাম এবং তিব্র হাওায় মাথা ব্যথা বানাই তবুও কিছু দেখতে পারিনি 🙁 রাতে হাই সিকনেসস বেশি হয়েছে আমার। আর মজার ব্যাপার হলো আমার রক্তে হিমোগ্লোবিন কম তাই ডাক্তার বলেছিল ১ মাস টোটাল বেড রেস্ট এ থাকতে এবং ১ মাস টানা স্যালাইন দিতে 😛 আর আমি গিয়েছি ১২০০০ ফিট জয় করতে 😀 কিন্তু কেউ আমার মত বিনা হাই সিকনেসস এর মেডিসিন ছাড়া যাবেন না। ৭০০০ ফিট পর্যন্ত মানুষ এর বডি অক্সিজেন নিতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া কিন্তু ১২০০০ ফিট তাই সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে।

৩০/৯/১৮

সকাল সকাল অপেক্ষায় আছি ভিউ এর জন্য। কিন্তু সে তো আর দেখা দেয়না 🙁 আর আজ আমাদের ২১ কিমি হাঁটতে হবে তাই সান্দাকফুতে ভিউ এর জন্য আপেক্ষা না করে সকালের নাস্তা সেরে হাঁটা শুরু করলাম সকাল ৭ টা থেকে।  রাস্তাটাতে হাঁটা তেমন কোন কষ্টই ছিলনা আমাদের জন্য। শুধু সমস্যা হচ্ছিলো নিশ্বাস নিতে। তেমন ভালো ভিউ পাইনি সান্দাকফু থেকে ফালুট রোড এ আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে। হাল্কা খাবার সাথে নিয়ে নিয়েছিলাম। রুটি ভাজি। রাস্তার অর্ধেক সাবারকুম এ গিয়ে সাথে নেওয়া খাবার খেয়ে আবার হাঁটা দিলাম। দুপুর ২ টা এর মদ্ধে ফালুট। হাল্কা বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব ছিল। আবহাওয়া ভালো ছিল না তাই মন ও খারাপ ছিল অনেক এবং রাগও লাগছিল 🙁

সান্দাকফু টু ফালুট রোড ❤❤

বিকালে নুডুলস খেয়ে নিলাম ৬০ রুপি করে। ফালুট এ কোন নেপালি হোটেল নাই। সরকারি থাকার কিছু জায়গা আছে বেড প্রতি ২২০ করে এবং এইখানে মুরগি পাওয়া যায় না। খেতে হবে ভাত, সবজি, ডাল, ডিম এগুলো এবং থাকার চেয়ে খাওয়ার দাম বেশি এইখানে। ২৬০ করে সবজি ডাল ডিম এবং ২২০ করে সবজি ডাল ভাত।

পুরো রাত ধরে ঝর ঝর বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া চলছিল 🙁 মন ভীষণ খারাপ ছিল ভিউ না পাওয়ার কারনে। কান্নাও করেছিলাম 🙁 রাতে ঘুমও হয়নি হাই সিকনেসস এর কারনে কিন্তু ………. পরের দিন সকাল…

১/১০/১৮

সকাল ৪.৪৫ এর দিকে হাল্কা আলো দেখে মনে আশার উদয় হলো। রেডি হয়ে দৌড়ে বের হলাম ভিউ পয়েন্ট এর উদ্দেশ্যে। ও মা…. ভিউ পয়েন্ট তো ১ কিমি উপরে উঠতে হবে 😀 হাসবো না কাঁদবো না বুঝেই দৌড় দিলাম এবং আমার প্রধান সমস্যা অক্সিজেন এরটা শুরু হয়ে গেলো :\ তবুও আস্তে আস্তে করে উঠতে থাকলাম। অর্ধেক যাওয়ার পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দিলো উঁকি 😀 আমাকে আর কে ধরে আমি তো খুশিতে লাফাতে শুরু করলাম…

কাঞ্চনজঙ্ঘা ❤❤

আস্তে আস্তে করে একেবারে টপ এ গিয়ে আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার সামনে মাউন্ট এভারেস্ট 🙂 স্বপ্নের এভারেস্ট আমার সামনে 😀 ছবি গুলোতে মনে হয় এভারেস্ট দূরে কিন্তু সামনে থেকে দেখলে বুঝবেন। এইটা এই সামনে ছিল 🙂 অনেক ছবি তুললাম। যদিও টপে এতো বাতাস ছিলো যা বলে বুঝাতে পারবো না।

কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্লোজ ভিউ ❤❤

নাস্তা সেরে সকাল ৯ টায় আমরা যাত্রা শুরু করলাম গোরখে গ্রাম এর উদ্দেশ্যে। এইবার এর যাত্রা ছিল ১৫ কিমি। সবাইকে আবার বলে দিব যে ভালো শীত এর কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য। রাতে ৩ টা কম্বল দিয়ে পরে আমার শীত হাল্কা কম লাগছিলো। এতটা শীত ছিলো এবং অবশ্যই হাই সিকনেসস এর ওষুধ নিবেন।

গোরখে ❤

এই রুট এ হাঁটা আমার কাছে সবচেয়ে মজার লেগেছে। শুধু নিচে নামতে হয়।  যদিও পায়ের পেশীতে রগ এ চাপ পরে অনেক তবুও মজা 😀 হেঁটে চলছি সিঙ্গালিলা ফরেস্ট এর ভিতর দিয়ে। আহা কি রোমাঞ্চকর !! এতো হাঁটছি কিন্তু ঘাম নাই ঠাণ্ডার কারনে কিন্তু আজকের ট্র্যাক এ শীত এর কাপড় কোমরে বাঁধা লাগসে 😛 কারন ফালুট এ অনেক শীত ছিল তাই ঠাণ্ডার কাপড় পড়েই নিয়েছিলাম 😛

ফরেস্টটা অনেক নিরব এবং গহীন। এতো গহীন এবং এতো উঁচু উঁচু পাহাড় কিন্তু আমি অবাক হয়েছি ভিতরে পাথর ফেলানো রাস্তা দেখে। তারা কতোটা উন্নত !! যাই হোক, আমরা হাল্কা বিস্কিট, চানাচুর সাথে নিয়ে নিয়েছিলাম রাস্তায় খাওয়ার জন্য। রাস্তায় ৩ বার ব্রেক নিয়ে হাল্কা হাল্কা নাস্তা করে নিয়েছিলাম।

সামাদিন গ্রাম ❤

দুপুর ১২ টার মধ্যে পৌঁছে যাই সেই ছবির মত গ্রামে। থাকা জন প্রতি ২৫০ এবং ডিম সবজি ১৭০ অ্যান্ড ডিম ছাড়া ১৫০। গ্রামটা একেবারে ছবির মত সাজানো গুছানো পরিষ্কার। প্রতি বাড়িতে হিসাব ছাড়া ফুলের গাছ। প্রধান আকর্ষণ হল এই গ্রামটা ২ টা ঝর্নার মাঝা মাঝি অবস্থায় অবস্থিত। একটা ঝর্না ভারত এর এবং একটা সিক্কিম থেকে আগত। এই গ্রামটা পুরোটা সিকিম এর বর্ডার এ পড়েছে। বাংলাদেশীদের জন্য সিকিম নিষিদ্ধ 😐 সো এইটা হতে পারে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ সিক্কিম এর সাইড এ পা রাখার 😛
রাতে খেলাম রুটি সবজি। খেয়েই ঘুম… সারা রাত ঝর্নার মধুর শব্দ 🙂 বার বার সেখানে নিয়ে যাবে আপনাকে এই আওয়াজ 🙂

সিকিম থেকে আসা ❤

২/১০/১৮

সকাল সকাল চা খেয়ে বেড়িয়ে পরলাম কারন আজ আমাদের শেয়ার জীপ ধরতে হবে যেভাবেই হোক এবং ১২ টার পরে গেলে আর জীপ পাওয়া যায় না। আজ রাস্তা হাল্কা কষ্টের কারন আজ পাহাড় এ উঠতে ও হবে আবার নামতে ও হবে। গ্রাম থেকে বের হয়ে আবার সিঙ্গালিলা ফরেস্ট এ ঢুকে গিয়ে হাঁটা শুরু। আজকে দেখলাম ফরেস্ট আর অন্যরূপ 🙂 যা গত দিন থেকে পুরো আলাদা। ভিতরে অনেক ছোট বড় ওয়াটার ফলস এর দেখা মিলবে। ছোট ছোট গ্রাম এর দেখা মিলবে।

রাম্মাম এ সকালের নাশ্তা সেরে নিলাম। ৫০ টাকার এক বোল ডিম নুডুলস খেয়ে পেট শান্তি করে আবার হাঁটা দিলাম। মাঝে মাঝে কিছু কিছু জায়গায় অপেক্ষা করে ছবি তুলে নিলাম 😛

সকাল ১১.১৫ এর মধ্যে শ্রীখোলা পৌঁছে শেয়ার জীপ এ গেলাম রিম্ভিক পর্যন্ত জন প্রতি ৩৫ রুপি করে। রিম্ভিক এসে আপনাকে আবার এন্ট্রি সাইন আউট হতে হবে।

শ্রীখোলা

শেয়ার জীপ এ করে দার্জিলিং চলে গেলাম। জন প্রতি ৩০০ রুপি করে। এইদিন আমরা দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পাইনি তাই খরচ দেইনি। ৩ ঘণ্টার মত লাগবে দার্জিলিং আসতে। সরাসরি দার্জিলিং স্টেশন এর পাশে হোটেল নিলাম মোটামুটি মান এর। দামাদামি করে ৭০০ করে রুম ঠিক করে ফ্রেশ হয়েই চলে গেলাম খাওয়ার জন্য। রাতে ভরপেট খাবার খেয়ে ও বিল আসলো ৩৬০ রুপির মত। খেয়েছিলাম ২ টা মুরগি আইটেম, আলুভাজি, ডাল ভাত।

কোনমতে রুম এ গেলাম কারন পায়ের ব্যাথায় বার বার পায়ের রগে টান পড়ছিল 🙁

৩/১০/১৮

KFC তে নতুন আইটেম devil chicken খেয়ে নাস্তা করলাম। এর পর থেকে খরচগুলা যারটা যেমন করেন 🙂 Big Bazzar এ শপিং সেরে আবার শেয়ার জীপ এ করে শিলিগুড়ি ভাড়া জন প্রতি ১৫০ রুপি। ওখান থেকে আমরা CNG রিসার্ভ করে বর্ডার পর্যন্ত আসি ২০০ রুপি পড়েছে। বর্ডার কাজ শেষ করে ওখান থেকে ই শ্যামলীর AC তে করে ঢাকা রওয়ানা। জনপ্রতি ভাড়া ১২০০ টাকা 🙂

ওওওই যে স্বপনের এভারেস্ট ❤❤

আর এইভাবেই শেষ হল একটা হঠাৎ প্ল্যান করা ট্যুর 😉 😀

Leave a Comment
Share