ইচ্ছেগাঁও এ ইচ্ছেপূরণ

ইচ্ছেগাঁও গিয়েছিলাম সিল্ক রুট টুরের অন্তর্গত ভ্রমণসূচীর অঙ্গ হিসাবে ২০১৭ সালের এপ্রিলে। এক রাত কাটিয়েছিলাম ওখানে নির্জনতাকে সাথী করে।

সকালে ঘুম ভাঙ্গল পাশের কটেজের দাস বাবু’র জোর আওয়াজে দরজাতে…! তখন ভোর ৬ টা বাজে যদ্দুর মনে পড়ছে। আমাদের কটেজের বারান্দার সোজাসুজি খুব হাল্কা আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা! দেখে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়লাম,,,কারন এর আগে ৩ বার দার্জিলিং বা কালিম্পং এ এলেও কাঞ্চনজঙ্ঘা ধরা দেয়নি চোখে। এবারেও খুব অস্পষ্টভাবে ধরা পড়ছে!

ছেলে আর মিসেস তখনো ঘুমে অচেতন। দরজাটা টেনে বন্ধ করে এগিয়ে চললাম আর একটু ওইদিকে ভাল করে কাঞ্চন কে দেখা ও ছবি তোলার উদ্দেশ্যে, সাথে সঙ্গী হলেন দাসবাবু ও। তাড়াহুড়োয় হাল্কা পাতলা জামা গায়ে দিয়েই বেরিয়ে এসেছি, ঠান্ডা লাগছিল তাই ভালই।

সাথের ক্যামেরাতে লাগানো ১৮-২৭০ জুম লেন্সে জুম করে কাঞ্চনের একটা কোনমতে কাজ চালানো গোছের ছবি তোলা গেল! সাথে দিলাম ছবিটা, আমার যদিও পছন্দ হয়নি একেবারেই। এরপর আস্তে আস্তে আলো বাড়তেই মেঘের আড়ালে কাঞ্চন হারিয়ে গেল!

কি আর করা! অগত্যা ফিরে চলা হোম স্টে’র দিকে.. এসে দেখি আমার পুত্র ঘুম থেকে উঠে একটি খুব মিষ্টি বাচ্চার সাথে লুকোচুরি খেলা শুরু করে দিয়েছে, ওদের খেলা দেখতে হল কিছুক্ষণ আর বেশ ক’টা candid shots ও নেওয়া গেল!

ততক্ষণে আমাদের ব্রেকফাস্ট সার্ভ করা শুরু হয়ে গেছে,,,তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিয়ে গরম গরম লুচি তরকারি নিয়ে ধ্বস্তাধস্তি শুরু করে দিলাম। টুর অপারেটর দাদা তাড়া লাগিয়ে গেলেন, কারন আমাদের এরপর বেরিয়ে যেতে হবে সিলেরিগাঁও এর দিকে।

সাততাড়াতাড়ি রেডি হয়ে শেষবারের মত ইচ্ছেগাঁও এর এক চক্কর মারতে বেরিয়ে পড়লাম। একটু চড়াই উঠে ইচ্ছে ফরেস্টের দিকে এগোলাম দাস বাবু’র সাথে, সঙ্গী হল এক সারমেয়। একটু উঠে উপর থেকে হোম স্টে গুলোকে মেঘ বাড়ির মত লাগছিল!

নীচ থেকে শতদল দা’ (টুর অপারেটর দাদা) ততক্ষণে হাঁক দিচ্ছেন, আমাদের গাড়ি রেডি। তাই এবার নেমে আসতেই হবে, ফিরে চলা তাই এবারে। পরবর্তী গন্তব্য সিলেরি গাঁও!

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ icche gaonicchegaonindia