করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশংকার পর থেকে সবাই এক প্রকার ঘরবন্দী। অবশেষে গত ২৩ তারিখ থেকে বান্দরবান প্রশাসন স্যাস্থবিধি মেনে ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করলে ৩ দিনের প্ল্যান আমরা গন্তব্য ঠিক করি এক সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃংগ মনে করা ৩১৭২ ফুট সু-উচ্চ কেওক্রাডং। এটি ইকো ট্যুরিজম নেচার স্টাডি এন্ড এ্যডভেঞ্চার ক্লাবের ১৩৫ তম ইভেন্ট। মারমা ভাষায় কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহড়। দূর থেকে কেওক্রাডং এর চুড়া শূন্যে মিলিয়ে গেছে মনে হয়। সবসময় মেঘ আর আকাশের মিতালি করা এর চুড়ায় ঝাপটা হাওয়া মনে প্রশান্তি দেয়। আমাদের এবারের ট্রিপ বর্ষায় হওয়ায় বৃষ্টি আর মেঘ বৃষ্টির খেলা দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ছিল।
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টারমিনাল থেকে পূরবী পরিবহনের সাথে ১৯ জনের টিম নিয়ে হোস্ট জাবেদ ইকবালের নেতৃত্বে বান্দরবানের উদ্যেশ্যে আমাদের ট্রিপ শুরু হয়। সেখান থেকে দুইটি চান্দের গাড়ী রিজার্ভ করা হয় কেওক্রাডং পর্যন্ত আসা-যাওয়া ৩ দিনের জন্য। বান্দরবান শহরটা ছোটোখাটো, চারপাশেই পাহাড় আছে। যারা পাহাড় পছন্দ করি তারা সবুজ-শ্যামল পাহাড়ে ঘেরা শহরটার প্রেমে পড়তে বাধ্য। শহরের কাছেই বেশ কয়েকটা পিকনিক স্পট আছে।
বান্দরবান থেকে আমরা রুমা যাওয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেই। পুরো পথে উঁচুনিচু পাহারের ঢাল বেয়ে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলে। রাস্তার দুই পাশে যতদুর চোখ যায় সবুজের সমারোহ। পাহাড়ের গা বেয়ে ছুটে চলা গাড়িতে বিভিন্নরকম গান আনন্দ যাত্রাকে ভিন্নমাত্রার রূপ দিয়েছিল। আকাশে শুভ্র মেঘ আর সূর্যের আলোর লুকুচুরিতে পাহাড়ের সৌন্দর্য কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। সাপের মর আকাবাকা পিচঢালা রাস্তার দুইপাশে পাহাড়ি গভির খাদ মাঝে মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে। ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই আমরা রুমা বাজার পৌছে যাই।
আগে থেকে আমাদের গাইড তাপস বড়ুয়া রুমা বাজারে অপেক্ষা করছিলেন। তাপস দা শান্তশিষ্ট নিরিহ প্রকৃতির খুবই ভালো একজন মানুষ। নিয়মমেনে রুমা বাজারে আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নেওয়ার অনুষ্ঠানিকতা সেরে নিয়ে আমাদের এবারের গন্তব্য বগালেক। উল্লেখ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এ ভ্রমণের সময় অবশ্যই নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়ে নিয়ে হয়। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশা সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। রুমা থেকে হালকা নাস্তা সেরে আমরা তাপস দার সাথে রওনা দেই বগালেকের উদ্যেশ্যে। রাস্তা ভালো হওয়ায় আগে হেটে যেতে হলেও এখন বগালেক পর্যন্ত গাড়ী যায়। তবে এই পথটি বাংলাদেশের সবচেয়ে খাড়া পথ। রুমা বাজার থেকেই অ্যাডভেঞ্চার এর শুরু। বগালেক যাওয়ার পথটা যেকোন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীকে আকর্ষন করবে। পাহাড়ের চুড়ায় বেয়ে ছুটে চলে গাড়ী। দূরে মেঘেদের দলের ছুটোছুটি দেখে নিজেকে পাখি কল্পনা করে নিতে পারেন। পথ তো নয় যেন মেঘের ভেলায় পাখির চোখে পাহাড় দেখা। রুমা থেকে পথ খুবই খাড়া আর একটু পর পর ই ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি কোণে উপরে উঠে আর নিচে নামে। প্রথমবার একটু ভয় লাগলেও পাহাড়-মেঘ-খাদের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য বেশ উপভোগ্য।
ঘন্টাখানের মধ্যেই আমরা বগালেক পৌছে যায়। পাহাড়ের এত উপরে বিশাল লেকের সৌন্দর্য অবাক করার মত। আসলে ছবিতে বা রিভিউতে আমরা যা দেখি অথবা পড়ি তার চেয়ে হাজারগুন বেশি সুন্দরএই বগালেক। সবুজ প্রকৃতির মাঝে কাঁচ স্বচ্ছ পানির সৌন্দর্যের বর্ণনা লেখনি কিংবা ছবিতে প্রকাশযোগ্য নয়। প্রকৃতিপ্রেমি সকলকে একবার হলেও বগালেকের সৌন্দর্য স্বচক্ষে দেখা উচিত।নীল আকাশে সাদা মেঘের উড়াউড়ি,নিচে স্বচ্ছ সবুজ পানি, চারপাশে পাহাড়ের বেষ্টনী বগালেক এর সৌন্দর্যের অন্যতম কারন। আর্মি ক্যাম্প এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা কটেজে চলে আসি।
লেকের পাড় ঘেষে আমাদের কটেজ ছিল মাচার উপর। আরেকটা ছিল পাশে দ্বিতীয় তলায়। লেকের উপর বাঁশের মাচার তৈরি ঘরে বসে লেকের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পেয়ে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের একজন ভেবে নেওয়া যায়। কটেজ লেকের পাড়ে হওয়াতে বারান্দা থেকে পুরো লেক এর যে ভিউ পাচ্ছিলাম তাতে পুরো লেকটাই দেখা যাচ্ছিল সাথে সামনের পাহাড়ের গায়ে শুভ্র সাদা তুলার মত মেঘ। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক খাওয়া পর্ব শেষ করে আমরা লেকে নেমে পড়ি গোসল করতে। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে সবচেয়ে উচু লেকের পানিতে গোসলের লোভ সামলানো শুধু কঠিন নয় অসম্ভব ও বটে। পানিতে নামা সম্পুর্ণরুপে নিষেধ হলেও আমরা নিজেদের কিছুটা নিয়ন্ত্রনে রেখে অল্প সাতার আর লম্পজম্প সেরে পানিতে গা এলিয়ে শুয়ে থাকি। আড্ডা আর খুনশুটিতে সন্ধ্যা নেমে এলে সবাই গোসল শেষ করে কটেজে বিশ্রাম নেই।
রাতে শুরু হয় ঘুরাঘুরি। অদ্ভুত সৌন্দর্যের চাদরে ঢাকা সুশৃঙ্খল গ্রাম নির্জন পাহাড়ের বেষ্টনীতে বেশ উপভোগ্য।লেকের পাড়ে বসে গানের আসর। রিগান দা, অভিজিত দা, সুজন ভাইদের সুমিষ্ট কন্ঠের সাথে সবার গলা ছেড়ে সঙ্গ দেওয়া সাথে হরেকরকম গল্প।অনেকটা ছোট বেলায় গ্রামের উঠানে বসে সবাই মিলে গল্প করার মত। চাদের মিষ্টি আলো আর তারাভরা আকাশ আমাদের আড্ডা বেশ জমে উঠে। এরপরেই আমাদের রাতের খাবার এর সময় হয়ে যায়।রাতের খাবার শেষে সবাই আবার আড্ডা দেই। হরেকরকম গল্প, আড্ডা, খুনসুটি আর গানে রাত এগারটা পর্যন্ত চলতে থাকে আসর। বগালেক কিনে নেওয়া থেকে শুরু করে সবরকম গল্প ছিল এই আসরে। পরে সবাই কটেজে ঘুমিয়ে পড়ি।
পরদিন ভোরে নির্জন পাহাড়ে ভোর দেখার লোভ সামলাতে না পেরে ৪:৩০ এই উঠে পড়ি। সাথে রিগান দা, মাহমুদ ভাই,আব্দুল কুদ্দুস ভাই সহ পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক বেড়িয়ে পড়ি। স্বচক্ষে দেখা ছাড়া বগালেক ও তার আশেপাশের সৌন্দর্য বর্ণনা করা অসম্ভব। সকালের স্নিগ্ধ শীতল হাওয়ায় পাহাড় ঘুরে দেখা। আশেপাশের কিছুক্ষন হেটে আমরা লেকের পানিতে সকালের গোসল সেরে নেই। বগালেকের আসল আনন্দ এর পানিতে গা এলিয়ে শুয়ে থাকা। পাশে পাহাড়ের বেষ্টনী, উপরে নীল আকাশ, বিশুদ্ধ অক্সিজেন সমৃদ্ধ পরিবেশে গা এলিয়ে পানিতে বিশ্রামের লোভ সামলানো যায় না। গোসল সেরে সেনাবাহিনী কেন্টিনে খিচুড়ি খেয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়ি, গন্তব্য কেওক্রাডং!!
সকাল ৯ টার দিকে আমরা হাটা ধরি।বর্ষা মৌসুমে পাহাড় বেয়ে হেটে কেউক্রাডং পৌছাতে হয়। পাহাড়ের গা ঘেষে ট্রেইল ধরে গাইডকে অনুসরন করে আমরা হাটতে থাকি। উল্লেখ্য পাহাড়ে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে গাইড কে মেনে চলা উচিৎ, এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের এক সময়ের সর্বোচ্চ পর্বতের অধিকারী কেউক্রাডং দেখার নেশায় আমাদের পথ চলা। মাঝে বেশ কিছু ঝর্ণা আর ঝিরি পড়ে। নাম না জানা এই ঝর্নাগুলোর শব্দ চলার পথে শক্তি যোগায়। সবুজ পাহাড়ের উপর শুভ্র সাদা মেঘ ও সুর্যের আলোর লোকুচুরি পাহাড়ের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ যেন পৃথীর মাঝে এক টুকরো স্বর্গ যা স্বয়ং বিধাতা নিজ হাতে সাজিয়েছেন। কিছুদুর এগুনোর পরেই লতা ঝর্ণার শব্দ কানে আসে। লতা ঝর্নায় তেমন পানি থাকলেও বর্ষায় তা ভয়াবহ রুপ নেয়। লতার মত পেচানো লম্বা ট্রেইল এই ঝর্ণার। লতা ঝর্ণা পেরোনোর কিছুক্ষন পরেই চিংড়ি ঝর্ণা। ট্রেইল বেয়ে কিছুদুর উঠলেই ঝর্ণা। তুলনামুলক পানি কম থাকলেও চিংড়ি ঝর্ণার পানি ছিল বরফ ঠান্ডা।
ক্লান্ত শরীরে সবাই হাল্কা বিশ্রাম আর ফটোসেশন সেরে আবার হাটা শুরু। এবার কিছুটা খারা পাহাড়। পাহাড়ের ঢালে জুমের চাষ। ধান, হলুদ,মারফা, মরিচ, ভুট্টা, কলা সহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করে পাহাড়িরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বেশ কিছুক্ষন হাটার পর একটা জায়গায় খুব সুন্দর একটা ভিউ পয়েন্ট, সেখান থেকে কেউকাডং এর চুড়া দেখা যায়। চারপাশে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। উল্লেখ্য বগালেক থেকে কেউক্রাডং পথে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলে এই পয়েন্ট এ প্রায় সব অপারেটর এর ৪জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। এর কিছুদুর হাটলেই দার্জিলিং পাড়া। খুব সুন্দর এবং আমার দেখা সবচেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই পাহাড়ি পাড়ায় বেশ কয়েকটা হোটেল টাইপের দোকান আছে। পাহাড়ি কলা, শশা, পেয়ারা, সিদ্ধ ভুট্টা সহ হালকা চা-নাস্তা সেরে আমরা রওনা দেয় আমাদের গন্তব্যে।যতই উপরে উঠতে থাকি ততই বিস্মিত হই স্রষ্টার বিস্ময়কর সৃষ্টির কথা ভেবে। মেঘের ছোয়ায় আমরা পৌছে যায় আমাদের গন্তব্যে।
কেওক্রাডং এর চুড়ায় এসে প্রায় ৫ ঘন্টার ক্লান্তি নিমিষেই উবে গেছে। দমকা বাতাসে মেঘের অলিঙ্গন শরীর ও মনে শিহরণ জাগে। মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয় বৃষ্টি।এই যেন এক টুকরো স্বর্গ। চারিদিকে মেঘের দৌড়াদৌড়ি,বাতাসে ঝাপটা সবুজ পাহাড়ের বুকে দাঁড়িয়ে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের একজন মনে হচ্ছে। প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার এই তো সুযূগ। মনে হচ্ছে প্রকৃতিও তার সব সৌন্দর্য দেখাতেই ব্যাস্ত। খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষে আমরা আমাদের গাইড তাপস দার বুকড করা কটেজ এ চলে যায়। উল্লেখ্য এখানে থাকা খাওয়ার ব্যাপারে একটু কম্প্রমাইজ করে নিতে হয়। লোকালয় থেকে অনেক দূরে হওয়ায় নাগরিক সুবিধা আশা করা বোকামী। এখানে একটিমাত্র খাওয়ার হোটেল হলেও খাবারের মান আমার বেশ ভালো লেগেছে। এখানে কটেজ ও সীমিত সংখ্যক তাই মানিয়ে নিতে হবে।আশেপাশের সব পাহাড় থেকে এই পাহাড়ে চুড়া উচু হওয়ায় পানি সরবরাহ কম। তবে এখানে জেনারেটরের সাহায্যে তুলে প্রতি বালতি ৫০ টাকা করে গোসলের পানি পাওয়া যায়।
বিকালে সুর্যাস্ত দেখে আমরা মেতে উঠি গল্প, আড্ডায় সাথে গানের আসর। আকাশে পুর্নিমার চাঁদ, ঠান্ডা শীতল হাওয়া, মেঘের দৌড়াদৌড়ির, মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, চাদের সাথে মেঘের লুকোচুরি সাথে আসর বেশ জমে উঠছে। এই যেন এক নৈসর্গিক পরিবেশ বা চোখে না দেখে বিশ্বাস করা যায় না। রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি, লক্ষ ভোরের সুর্যোদ্বয় স্বচক্ষে দেখা। উল্লেখ্য এখানে খুবই ঠান্ডা তাই ওইভাবে প্রস্তুতি রাখবেন, যদিও কটেজে কম্বলের ব্যাবস্থা থাকে তারপর ও মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা রাখবেন।
কেওক্রাডং এর সবচেয়ে উপভোগ্য বিষয় সকালের সুর্যোদ্বয়। পাহাড় চিড়ে হলুদাভ আভা দিয়ে আস্তে আস্তে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় সূর্যিমামা। ধীরে ধীরে লাল আবিরের মাধ্যমে নিজের পূর্ণরুপ প্রস্ফুটিত করে। পাহাড়ের চুড়ায় সূর্যোদ্বয় এর সৌন্দর্য বর্ণনা করার চেষ্টা আর করছিনা। পাঠক নিজ চোখে দেখে যাওয়ায় ভালো। আজই আমাদের ফিরতে হবে চট্টগ্রাম শহরে। তাই নাস্তা পর্ব সেরেই আমরা রওনা দেয় বগালেকের উদ্যেশ্যে। আসার সময় ৫ ঘন্টা লাগলেও আড়াই ঘন্টায় আমরা বগালেক পৌছে যায়। শেষবারের মত ক্লান্ত শরীরে গোসল সেরে আমরা আমাদের গাড়িতে উঠে পড়ি। পথে পথে চেক আউট।যাওয়ার সময় গাড়িতে রোদ থাকলেও যাওয়ার সময় পায় ঝুম বৃষ্টি। প্রকৃতি যেন পন করেছে তার সব সৌন্দর্য আমাদের দেখাবেই। পাহাড়ের গায়ে সাদা মেঘের চাদর যেন অপার্থিব সৌন্দর্যের জন্ম দিয়েছে। দেখতে দেখতে ৩ টার দিকে আমরা রুমা বাজার হয়ে বান্দরবান এসে পৌছায়। দুপুরের ভোজন সেরে আমরা BRTC এর এসি বাসে চট্টগ্রামের উধ্যেশ্যে রওনা সেই।
ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান সরাসরি বাস আছে। বান্দরবান থেকে রুমা বাজার বাসে যেতে চাইলে ১০ টাকায় রুমা বাস স্টেশন এসে ৩০ মিনিট পর পর বাস ছাড়ে। সময় বাচাতে চাইলে চান্দের গাড়ি বা মাহিন্দ্রা নিতে পারেন ১৩-১৫ জন যেতে পারে ভাড়া পড়বে ৩ হাজার এর মত আর বগালেক গেলে ৪ হাজার। আমরা আসা যাওয়া ৮ হাজার এ নিয়েছিলাম। রুমা বাজার থেকে গাইড নিতে হবে। দিনপ্রতি ৫০০ টাকা মত নিবে। রুমা থেকে বগালেক মাহিন্দ্রা ভারা ২০০০-২২০০ নিবে।
বগালেক এ বেশ কয়েকটা কটেজ আছে। সিজনভেদে জনপ্রতি ১৫০-২০০ মত নিবে।খাওয়ার ব্যাবস্থাও ওরা করে দিবে। খাবার অনুযায়ী প্রতি বেলায় ১২০-২০০ টাকা খরচ হবে। কেউক্রাডং এ রাত্রিযাপন জনপ্রতি ২৫০-৩০০ টাকা আর খাওয়ার একমাত্র হোটেলে খাবারের আইটেম অনুযায়ী প্রতি বেলায় ১২০-২০০ টাকা। সকালে পরটা, ডিম ভাজি ও মুগ ডালের ব্যাবস্থাও আছে।
সাবধানতাঃ
Leave a Comment