একদিনের কুষ্টিয়া ভ্রমণ গাইড

শিলাইদহ, রবিন্দ্র কুঠি বাড়ি

কুষ্টিয়া (Kushtia), বাংলাদেশের সংস্কৃতির রাজধানী। ফকির লালন সাঁই আর কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জেলা। নতুন করে এই জেলার মহিমা সম্পর্কে বলার কিছুই নেই। কিন্তু সময়,পরিপূর্ণ প্ল্যানিং, আর খরচের হিসাব মিলছে না বলে অনেকেই এখনো এই রাজধানীতে পা রাখেন নাই। তাই সব ধরনের মানুষের জন্যই আমার এই ট্যুর প্ল্যানিং বা ভ্রমণ গাইড। এটাকে আপনি ডে ট্রিপ (Day Trip) হিসেবে ধরে নিতে পারেন।

ট্যুর প্ল্যান

  • ঢাকার কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে(শ্যামলী,হানিফ,এস বি সুপার) ১০.৩০ এর বাসে উঠে পরুন। ভাড়া=৪৫০ জনপ্রতি
  • রাতে ব্রেকে রাতের খাবার ৭০ টাকা। জনপ্রতি
  • সকাল ৭টার মধ্যে পৌছে যাবেন মজমপুর বাস স্ট্যান্ড, কুষ্টিয়া।
  • সকালে নাস্তা সেরে নিন =৫০ টাকা। জনপ্রতি
  • এবার চলে যান – রেনউইক বাঁধ। মজমপুর থেকে =১০টাকা রিক্সা ভাড়া কিন্তু আমার মতে হেটে যাওয়াই ভালো অল্প একটু পথ।
  • রেনউইক বাঁধ যাওয়ার পথেই পরবে কুষ্টিয়া পৌরসভা। অপরুপ সুন্দর এবং গোছানো একটি জায়গা।
  • রেনউইক বাধ ঘুরে একই পথে আবার মজমপুর চলে আসুন। এবার রিক্সা নিন গন্তব্য – ঘোড়ার হাট। ভাড়া=২০ টাকা।
  • ঘোড়ার হাট হলো গড়াই নদীর পাড়ের একটি বাজার। লোকাল ট্রলারে নদি পার হওয়া যায় ভাড়া=১০ টাকা জনপ্রতি। নদি শুকিয়ে গেলে পায়ে হেটে পার হওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে =৬ টাকা জনপ্রতি দিতে হবে।
  • নদী পেরিয়ে মোটর ভ্যান দেখতে পাবেন বললেই হবে – শিলাইদহ, রবিন্দ্র কুঠি বাড়ি ভাড়া =২৫টাকা জনপ্রতি।
  • রবিন্দ্রনাথ কুঠিবাড়িতে ঢুকতে টিকিট লাগবে মূল্য=২০টাকা। জনপ্রতি
  • কুঠি বাড়ির বাহির থেকে সি এক জি তে করে চলে যান আলাউদ্দিন মোড় ভাড়া=২০ টাকা জনপ্রতি
  • কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালাই খেতে ভুলবেন না। কুঠিবাড়ির বাহিরেই পাওয়া যায় দাম= ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত
  • আলাউদ্দিন মোড় থেকে অটো তে করে ব্রিজের ঐ পাড় চলে যান ভাড়া=৫টাকা জনপ্রতি।
  • ব্রিজ থেকে নামলেই দেখবেন একটি বোর্ডে দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। – বিষাধ সিন্ধুর জনক মীর মোশাররফ হোসেনের বসত ভীটা। পায়ে হেটেই যেতে পারবেন। গ্রামের ভিতরের রাস্তা খুব মুগ্ধকর।
  • একই পথে ফিরে আসুন। ব্রিজের নিচে সাইনবোর্ডটির কাছে।
  • সেখান থেকে অটোতে করে চলে যান ফকির লালন সাঁইজীর বারামখানায়। ভাড়া=১০ টাকা জনপ্রতি।
  • আখড়ার আশে পাশে দুপুরের খাবারটাও সেরে নিন=১০০টাকা জনপ্রতি
  • পুরো বিকেলটা কাটিয়ে দিন সাইজীর বারামখানার সৌন্দর্য আর তার ভক্তদের মনোমুগ্ধকর গান শুনে।
  • ভিতরে একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। লালন সাঁইজীর ব্যবহৃত অনেক আসবাব, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি রয়েছে। প্রবেশ মূল্য= ৫টাকা জনপ্রতি
  • এবার ফিরার পালা। লালন আখরার বাহির থেকে অটোতে করে মজমপুর চলে আসুন ভাড়া=১০টাকা জনপ্রতি।
  • ঢাকার বাসের টিকিট কেটে ফেলুন ভাড়া=৪৫০ টাকা। রাতের খাবারটা ব্রেকে সেরে ফেলুন=৭০টাকা জনপ্রতি।
  • ৯.৩০ এর বাসে উঠলে আপনি সকালে এসে অফিস ধরতে পারবেন। (যদি অনিয়ন্ত্রিত জ্যাম না পরে)
লালনের মাজার
ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না। মনে রাখবেন, আপনার একটু সচেতনতাই পারে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে।
Leave a Comment
Share