বাকলাই ঝর্ণা (Baktlai Jhorna ) যা বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ঝর্ণা বলে সুপরিচিত। অনেকেই একে বাক্তলাই ঝর্ণাও বলে থাকেন। এর উচ্চতা প্রায় ৩৯০ ফুট যা বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার বাকলাই গ্রামে অবস্থিত। যদিও লিলুক/লাংলোক ঝর্ণার উচ্চতা আর বাকলাই ঝর্ণার মধ্যে কোনটা আসলে সর্বোচ্চ ঝর্ণা তা নিয়ে মতোবিরোধ রয়েছে। তবে সৌন্দর্যের দিক থেকে বাক্তলাই ঝর্ণা অনেক অনেক এগিয়ে।
ট্রেকারদের কাছে অতিপরিচিত একটি গ্রামের নাম বাকলাই। কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং ট্রেকের পথে বহু বছর ধরে ট্রেকারদের সুপরিচিত আশ্রয়ের নাম এই বাকলাই। এর সবচেয়ে বড় কারন হলো এই গ্রামে আর্মি ক্যাম্প আছে যা অভিযাত্রীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নিরাপত্তাজনিত কারনে প্রশাসন ২০১৫ সাল থেকে এই রুটটিও বন্ধ রেখেছে। প্রায় ৩৯০ (+/-১০) ফুট উচুঁ পাহাড়ের খাঁজ বেয়ে তীব্র জলধারা যখন নিচের পাথর গুলোতে আঁছড়ে পড়ে, তার তীব্র বেগ, গুম গুম করা আওয়াজ আর চারপাশের বুনো পরিবেশ এক অন্য রকম ইনফেরিওরিটির জন্ম দেয়। এই ঝর্ণাটি দেখতে চাইলে আপনাকে হাতে পাঁচ থেকে সাতদিন রাখতে হবে। তবে আপনি কতটা হাঁটতে পারেন তাঁর উপর নির্ভর করছে আপনার কতদিন লাগতে পারে। থানচি এবং রুমা – দুই রুট থেকেই আপনি এই ঝর্ণাটি দেখতে যেতে পারবেন।
Latitude: N21 52 05.8
Longitude: E92 31 04.2
প্রস্তাবিত রুট – বান্দরবন > রুমা বাজার > বগা লেক > কেওক্রাডং > জাদিপাই ঝর্ণা > বাকলাই। বাকলাই পাড়া থেকে বাকলাই ঝর্ণা ১ ঘন্টার রাস্তা। হাটার উপর সময়টা নির্ভর করবে।
আরেক রুট – থানচি > বর্ডিং পাড়া > কাইথন পাড়া > বাকলাই পাড়া।
ঢাকা থেকে বান্দরবান পর্যন্ত বাসে করে যেতে পারেন। খরচ হবে আনুমানিক ৫৫০ টাকা (নন এসি)। এই বাসগুলো মূলত রাতে ছাড়ে। ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল অথবা মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে বাসগুলো পাওয়া যাবে। ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে আপনি বান্দরবান পৌঁছে যাবেন। এরপর বান্দরবান হতে আরেকটি বাস অথবা ওইখানের স্থানীয় পরিবহন “চান্দের গাড়ি” তে করে থানচি পর্যন্ত যেতে হবে, দূরত্ব প্রায় ৭৯ কিলোমিটার এবং সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা। এরপর থানচি বাজার থেকে কিছু ছোট ছোট পাড়া যেমন তুতং পাড়া, বোর্ডিং হেডমেন পাড়া, কাইতুন পাড়া ইত্যাদি পেরুলেই পেয়ে যাবেন বাকলাই পাড়া, সময় লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টা। যদি কেউ জলপ্রপাত এর উপর যেতে চান তবে আপনার প্রায় ১ ঘণ্টা লাগবে।
বান্দরবানে বেশ কিছু হোটেল রয়েছেঃ
থানচিতে থাকার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এর পর থেকে ভিতরের দিকে যেতে থাকলে স্থানীয়দের বাসায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
Leave a Comment