হাকলবেরি ট্রেইল

প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে অ্যামেরিকার নানা ল্যান্ডমার্ক বিজয়ের অভ্যাস আমার অনেক পুরোনো। তবে প্রচারবিমুখ বলে সেই বিজয়গুলার কথা কোথাও তেমন একটা বলা হয় না। সেই কবে অনেক বিনয়ের সাথে স্যান মিগ্যাল বিজয়ের কথা লিখেছিলাম, সেই বিজয় এতটাই কনভিন্সিং ছিলো যে সেটা নিয়ে কেউ কোথাও প্রশ্ন তুলেনি। সম্প্রতি অ্যামেরিকার অন্যতম বিখ্যাত দুইটা শহর ব্ল্যাকসবার্গ আর ক্রিশ্চিয়ানবার্গকে সংযোগকারী হাকলবেরি ট্রেইল বিজয়ের পর মনে হলো এর খুঁটিনাটি শেয়ার করে পুরো বাংলাদেশকে গর্ব করার একটা উপলক্ষ দেই।

বাইসাইকেল স্মৃতিকথা

অ্যামেরিকা এসে বলার মতো একটাই অর্জন, তা হলো বাইসাইকেল চালানো শেখা। চ্যাপেল হিলে প্রথম কেনা বাইসাইকেল বারেবারে বাসে ফেলে যেতাম, তার পর কয়েক সপ্তাহ পরে বাস ডিপো থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতাম। এমন করতে করতে এক সময় চ্যাপেল হিল ছেড়ে চলে আসার সময় হলো, বাস ডিপোতে আমার প্রথম সাইকেলটাকে বিড়াল পার করার মতো ফেলে এসে পাড়ি দিলাম পশ্চিমে। স্যান ডিয়েগোর চমৎকার আবহাওয়ায় মুগ্ধ হয়ে, আর পাহাড় পর্বতের প্রাচুর্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটা মাউন্টেন বাইক কিনে ফেললাম। কিন্তু পরের দেড় বছর ফুলে ফেঁপে উঠার সময়, শত্রুর মুখে ছাঁই দিয়ে গাড়ী চালানো শেখার সময়। তার পুরো সময়ে সাইকেল চালানো হয় হাতে গুণে চার কি পাঁচ দিন। মার্কেজের করুণ গল্পের মতো করে সেই সাইকেলের জীবনী দাঁড়ায়, “মাইন্টেন বাইক, রেয়ারলি রিডেন”। শেষমেষ চাকরি-বাকরির পাট চুকিয়ে পূর্বে ফিরে আসার সময় সাইকেল দিয়ে আসি মেক্সিকান বন্ধু পলিনার কাছে, আশা করি সে ফিনল্যান্ড পাড়ি দেয়ার আগে সাইকেলটার জন্য একটা ভালো ঘরের ব্যবস্থা করে গেছে।

ব্ল্যাকসবার্গ এসে এক তীব্র শীতের দিনে মনে হলো, অনেক হলো, হাড়ে হাড়ে গজানো দুর্বাঘাসগুলোর একটা ব্যবস্থা করা যাক। ভাবামাত্র ওয়ালমার্টে গিয়ে একটা হাইব্রিড বাইসাইকেল কিনে ইউটিউব দেখে তার মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে গাড়ীর ট্রাংকে ভরে বাড়ী নিয়ে আসলাম। শূন্যের নিচের তাপমাত্রায়, ঠাণ্ডা বাতাসে সাইকেল চালানোর জন্য মুখ বাঁধার রুমাল খুঁজে পেতে পেতে রাস্তাঘাট মোটামুটি বরফে ঢেকে গেলে সেই বছরের জন্য সাইকেল চালানোতে ক্ষান্ত দেই।

পাথ প্ল্যানিং

পরিত্যক্ত রেললাইনের উপর গড়ে উঠা বাইসাইকেল ট্রেইল এটা। ম্যাপে ট্রেইলের শুরুটা দেখে নিয়ে ঘোর শীতে কেনা সাইকেল নিয়ে সাহসে ভর করে এক দিন বেরিয়ে পড়লাম এবং প্রত্যাশিত ভাবে ট্রেইলে ঢুকার মুখ খুঁজে না পেয়ে আশে পাশের মেঠোপথে কয়েক মাইল ইতস্তত ঘুরে বাড়িতে ফিরে এলাম। কিছু দিন পরে ম্যাপটা রিসার্চ পেপার পড়ার মতো ক্রস রেফারেন্স সহ আত্মস্থ করে, আর ফোনে গুগল ম্যাপস চালু করে আবারো বের হলাম। এবার ট্রেইলের শুরুটা খুঁজে পাই। প্রায় বছর খানেক পরে বাইসাইকেল চালাতে বের হয়েছি, তাই ক্লান্তি লুকানোর জন্য গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে নিলাম। ক্লান্ত হয়ে গেলেই ছবি তুলার ভান করে সাইকেল থেকে নেমে কাঠবিড়ালি, ক্ষেতের মাঝে অলস ভাবে ঘাস খেতে থাকা হরিণ কিংবা ঘোড়াকে বিরক্ত করে তাদের দিকে ক্যামেরা তাক করি। মাইল দুয়েকের মাঝে একটা কালভার্টের নীচ দিয়ে পেরিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই এক ভূত-পেত্নী দম্পতির গ্রাফিতি। আর এখানে এসে পথ দুই ভাগ হয়ে যায়, আর কোন পথটা ট্রেইলের অংশ বুঝতে না পেরে নিশ্চিত ভাবে ভুল পথটা ধরে বেরিয়ে যাই সারিবদ্ধ মিটফার্মের পাশের প্ল্যান্টেশন রোড দিয়ে।

বাই সাইকেল দিয়ে ট্রেইল জয়ের চেষ্টা দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর একটা রানিং শু কিনে তা পরে ট্রেইল ধরে দৌঁড়ানো শুরু করি। শ খানেক ফুট দৌঁড়ানোর পরেই দেখি হাঁফ ধরে যায় না হয় পায়ে টান পড়ে যায়। তাই একটু পর পর জিরিয়ে নেই। উলটো দিকে দৌঁড়ানো এক পিচ্চির সাথে কিছু আগেই দেখা হয়েছিল, সে এবার পাশ দিয়ে দৌঁড়ানোর সময় “আরে আসো” বলে চিৎকার দেয়। আমি স্ট্রেচিং এর ভান করে সেই যাত্রায় কোন রকমে মান সম্মান বাঁচাই। এবার পথ ভুল না হলেও ট্রেইলের সাড়ে তিন মাইল পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে অক্সিজেনের ট্যাংক ফুটা হয়ে যাওয়ায় মন্থর গতিতে বাড়ির পথে রওয়ানা দেই। তিন তিনটা ব্যর্থ অভিযানে লাভ হয় একটাই, ট্রেইলটা মোটামুটি চেনা হয়ে যায়।

মাইল শূন্য

একটা অচেনা জায়গায় একটা রোবটকে ছেড়ে দিয়ে সেই জায়গার তত্ত্বতালাশ করতে দিলে সে ইতস্তত এদিক সেদিক হাঁটতে হাঁটতে এক সময় পুরো জায়গাটার একটা ম্যাপ বের করে ফেলে। আমিও খুব বোকা একটা রোবটের মতো করে হাকলবেরি ট্রেইল সম্পর্কে যা জানার জেনে ফেলি। সব মিলিয়ে ছয় মাইলের চেয়ে একটু কম, আর প্রতি মাইল পর পর একটা করে মাইল পোস্ট আছে। পথে একটু পর পর অনিয়মিত দূরত্বে অনেক বেঞ্চও পাতা, সেগুলোর মধ্যকার দূরত্বকে কোন গাণিতিক সিরিজে ফেলার অমানুষিক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ছোটবেলায় অংকের হাতে নাকানিচুবানি খাওয়া কেউ হয়ত পার্ক কর্মকর্তা হয়ে অংকের উপর প্রতিশোধ নিয়েছে।

মাইল এক

প্রথম এক মাইল প্রায় সমতল, দুই পাশে গাছের সারি দিয়ে ঢাকা। মাঝে মাঝে ট্রেইল থেকে সিঁড়ি উঠে গেছে দুই পাশের বাড়িতে। সিঁড়িগুলা না থাকলে বুঝাই যেতো না, এই ট্রেইল কীভাবে লোকালয়ের মাঝখানে নির্জনতা নিয়ে এসেছে। পথে একটা ব্রিজ পড়ে, তার নীচ দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। এইখানে এসে একটু হতভম্ব হয়ে যেতে হয়, টেরেইনের উচ্চতার অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি দেখে। প্রাচীন সব ধর্ম প্রবর্তকেরা যদি অ্যামেরিকাতে তাদের যাত্রা শুরু করত, তাহলে আর সমতল পৃথিবী কিংবা চাকতির মতো পৃথিবীর কোন তত্ত্ব দিতো না। ধর্মের ভুজুংভাজুং ছেড়ে দিয়ে নন-ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির প্রবক্তা হয়ে গেলেও অবাক হবার কিছু ছিলো না। পথে একটা পার্ক পড়ে, সেটা আয়তনে এত ছোট আর এতই অবৈশিষ্টপূর্ণ যে স্বয়ং পার্কের প্রতিষ্ঠাতাও এর ভেতরে কোন দিন যাওয়ার আগ্রহ পেয়েছে বলে মনে হয় না।

মাইল দুই

এক মাইলের পোস্টটা দেখামাত্রই বিশাল অর্জনের একটা অনুভূতি আসে। তবে ঠিক সেখান থেকেই ট্রেইল উপরের দিকে ঢালু হতে থাকে বলে নাকে মুখে কোন রকমে দম নিয়ে সামনে আগাই। দ্বিতীয় মাইলটা যায় একটা কাঁটা তারে ঘেরা ফার্মের পাশ দিয়ে। বেড়ার পাশে নির্বিকার, নিশ্চিন্ত জীবনের ঈর্ষণীয় উদাহরণ হয়ে ঘাস খেয়ে যায় এক পাল গরু। নিচুর দিকে ঢাল শুরু হয়, আর সাইকেলে বসে প্রায় ফ্রী ফলের মতো করে সামনে এগুতে এগুতে ঈর্ষা ঝেড়ে ফেলি। কারণ বেড়ার ঐপাশ সবুজতর হলেও ঐপাশেই মিট প্রসেসিং প্ল্যান্ট। কষ্ট করে জীবনটা বয়ে নিয়ে গেলেও অন্তত মরার পরে অন্যের ইচ্ছার শিকার হয়ে মিডিয়াম রেয়ার কি ওয়েল ডান হয়ে কাবাবতো আর হতে হয় না!

মাইল তিন

পথ এবার এগোয় সাপের মতো এঁকেবেঁকে। দুই পাশে কিছুটা ঘন বন। অবশ্য শীত আসতে আসতে পাতা টাতা পড়ে গিয়ে বনের গোপনীয়তা আর কিছু ঢাকা থাকে না। তৃতীয় মাইলের শুরুতে পথটা ডাইভ দিবে অনেক নিচে। আমার কাজ সাইকেল থেকে পড়ে না গিয়ে যতটা সম্ভব নিচে নেমে যাওয়া। হেলমেটের বদলে শখ করে এক দিন ক্যাপ পরে আসলে এই জায়গাতেই মাথা থেকে উড়ে গিয়ে আশেপাশে কোথাও নাই হয়ে যায়। হঠাৎ করে বন শেষ হয়ে বের হয়ে আসে বড় সড় সবুজের একটা ঘেরাটোপ, ডানপাশের একটা ছোটখাট পাহাড়ের পাদদেশে। সেখানে একটা টিনের ছাউনি দেয়া বাড়ি। বাড়ির সামনে ঝুলানো উইন্ডচাইম। বাড়ির সামনের চত্ত্বরে বসানো উইন্ডমিলের মতো খেলনা চাকতি, টিনের নানা পুতুল। অলস ভাবে পার্ক করে রাখা একটা দুইটা জিপগাড়িও দেখা যায়। পুরো ব্যাপারটার মাঝে একটা অদ্ভুত আলস্য আর ভীতিকর নির্জনতা আছে, বাড়ির বাইরে প্রায় কখনোই কাউকে দেখা যায় না।

মাইল চার

চতুর্থ মাইলটা শুরু হতে না হতেই হঠাৎ করে একটা রোগা হাইওয়ে ট্রেইলকে অল্প একটু ছিঁড়ে দিয়ে চলে যায়। আকারে আকৃতিতে যেমনি হোক, এইটুকু জায়গা একটু থেমে দুই পাশের গাড়ী দেখে পার হতে হয়। এক শীতের দিনে দুই পাশের উঁচু গাছে পাখিদের জটলা চোখে পড়ে, ভালোমতো খেয়াল করে দেখি এরা আসলে শকুন। এই নির্জন রাস্তার দুই পাশে শকুনেরা কিসের আশায় বসে আছে কে জানে! এদের দেখে অল্পস্বল্প কষ্টই হয়, বয়স আর চল্লিশটা বেশি হলে নিজেই মরে গিয়ে এদের একদিন ভালোমন্দ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতো।

পথে একটা পরিত্যক্ত কিন্তু পর্যটনের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত কয়লা খনি চোখে পড়ে। খনির পাশে একটা আঁকাবাঁকা খালের উপর দিয়ে নানা শাখাপ্রশাখা ওয়ালা গা ছমছম করা একটা ব্রীজ। ভেতরে ঢুকে এটা যে খনি ছিলো কখনো তা বুঝতে বেশ কষ্ট হয়। এই জন্যই মনে হয় বাইরের দিকে একটা কার্টে চকচকে কালো কয়লার কিছু ব্লক রেখে দেয়া হয়েছে। কয়লাবাহী কার্ট টানার জন্য ট্রেনের মতো কিছু একটা ব্যবস্থাও চোখে পড়লো। একবার ভাবলাম পুরা মেকানিজমটা একটু বুঝে দেখি, তার পরেই মনে হলো কী দরকার, কয়লার কারবার কবেই ঘুচে গেছে এখানে!

মাইল পাঁচ

এই মাইলটা এগোয় অলস সাইনকার্ভের মতো, অল্প কিছুটা উঠে অল্প নেমে যায়। পথের দুই পাশে কিছু ঝরা, পথের মাঝ দিয়েও গেছে তাদের কিছু। কাঠের পিচ্চি ব্রিজের উপর দিয়ে থার্ড গিয়ারে সাইকেল চালিয়ে নিতে গেলে বেচারাদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। তারপর পথ হঠাৎ করে খাড়া হতে হতে একটা ব্রীজের সামনে এসে পড়ে। ব্রীজের অনেক নিচ দিয়ে সমকোণে পাহাড় চিরে চলে গেছে রেললাইন, যার উপর দিয়ে মাঝে মাঝেই রেলগাড়ী যেতে দেখি। ব্রীজের পাটাতন কাঠের, তা থেকে ভারি কেরোসিনের গন্ধ উঠে আসে বলে প্রায়ই গায়ের জোরে টেনে সেটা কাটিয়ে যাই। এক দিন কী মনে হতে ব্রীজে নেমে তার স্টিলের ঘের দেখতে গেলে চোখে পড়ে গ্রীলের গায়ে আটকানো নানা ঔজ্জ্বল্যের কিছু তালা। নতুন তালাগুলোর গায়ের জোড়াদের নাম স্পষ্ট পড়া যায়, কিছু নাম অস্পষ্ট হয়ে এসেছে, আর কিছু তালায় মরচে পড়ে দুইটা নামই ঢাকা পড়ে গেছে। মনটা তরল হয়ে আসে, আর ভাবি মরচে পড়তে যত দিন লেগেছে, ওদের সম্পর্ক কি তত দিন টিকে ছিলো। তরল ভাবটা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়, তার পর গা ঝাড়া দিয়ে নিজেকে বলি “তাতে আমার কী?”। ভাবুকতা পিছনে ফেলে সাইকেলে চেপে বসি।

শেষ মাইল

এই মাইলটার শুরু হয় দুই পাশের পাহাড়ের পাথুরে দেয়ালের মাঝ দিয়ে। এই ট্রেইলটা এক সময় রেললাইন ছিলো, তাই পাহাড় কেটে তার মাঝ দিয়ে পথ করে নিতে হয়ে ছিলো। দেয়াল জুড়ে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব আর শেওলা। বাকি পথের তুলনায় এই অংশটা অবাস্তব রকমের নীরব, অনেকটা অন্ধকার, আর শ্বাস নিতেও কিছুটা কষ্ট টের পাওয়া যায়। অবশ্য এই করিডোর বেশি জায়গা জুড়ে না। একটু পরেই দুই পাশ থেকে বন-জঙ্গল-পাহাড়ের আড়াল সরে গিয়ে বেরিয়ে আসে ক্ষেতে ভরা সমতল। ধুম করে ছোটবেলার গ্রামের স্মৃতি মনে পড়ে যেতে চায়, জোরে সাইকেল ঠেলে তাদের হাত থেকে কোন রকমে মুক্তি নিয়ে নেই।

শেষ অংশটুকু দ্রুতগতিতে বেঁকে যায়, আর একই সাথে উপরেও উঠতে থাকে। প্রথম প্রথম গলা শুকিয়ে এলেও, দ্বিতীয় বার থেকেই গিয়ার তাড়াতাড়ি নামিয়ে দিয়ে প্রায় স্থিরচিত্রের মতো করে সাইকেল নিয়ে ধীর কিন্তু নিশ্চিত গতিতে উপরে উঠতে থাকি। শেষ মাথায় একটা সাদা দাগ ট্রেইলের সমাপ্তি ঘোষণা করে, সেখান পর্যন্ত সাইকেল ঠেলে উঠে তার পরে ফুঁস করে দম ছাড়ি।

উপরে উঠে আশেপাশে উঁচু কোন চূড়ার খোঁজ করি, কিন্তু হতাশ হতে হয়। বরং নিচে সারিবদ্ধ যমজ অনেকগুলা বাড়ি নজরে পড়ে। আরো খানিকটা দূরে তাকালে কিছু লজ্জাজনক উচ্চতার পাহাড়ও দেখা যায়। নতুন ল্যান্ডমার্ক জয়ের পরে বুদ্ধমূর্তির সাথে ছবি তুলা দস্তুর অবিশ্বাসীদের জবান বন্ধ করে দিতে। কিন্তু এই ইহুদি-নাছাড়ার দেশে বুদ্ধমূর্তি আর কই পাই। বুদ্ধমূর্তির অভাব তাই মিটাতে হয় মাস্টার ইয়োডার মূর্তি দিয়ে, সাথে করে নিয়ে যাইনি বলে সেটাও করতে হয় ফটোশপে!

Leave a Comment
Share