বঙ্গবন্ধু ক্যান্টমেন্ট এ ক’দিন

ক্লান্তিহীন কর্মজীবনের ধকল আর কোরবানির ঝক্কি শেষে বেড়িয়ে এলাম যমুনার তীর ঘেষা বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্টে থেকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আত্মীয় হবার সুবাদে রেস্ট হাউস বুকিং এ বেগ পেতে হয়নি একদম। শ্রাবণ মুখর দিনে যাত্রা শুরু করেছিলাম মতিঝিল থেকে আনুমনিক সকাল দশটার দিকে। পুরো পরিবার মিলিয়ে আমরা ছিলাম দশজন। রাস্তায় যানজটের কবলে না পড়ায় বেলা দুটো বাজার আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। রুমে ঢুকে পশ্চিম পাশের জানালা দিয়ে চোখে পড়ল যমুনা সেতু আর নদীর তীর ঘেষে সবুজের সমারোহ।

ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডাইনিং হল থেকে। তারপর এগার তলার ছাদে গিয়ে দেখি যমুনার অপার সৌন্দর্য অপেক্ষা করে ছিল আমাদের জন্য। পাশেই ট্রেন লাইন। কিছুক্ষণ পরপর কু ঝিক ঝিক করে ট্রেন যাচ্ছে। মেঘলা দিন শেষে সূয্যিমামার দেখা মিলল খানিকটা। গোধুলির শেষ ছটাটুকু দিয়েই তিনি যেন ডুব দিলেন মেঘবালিকার বুকে। অতঃপর পুবাকাশে চন্দ্রমামার আগমন। সেও যেন কেমন ম্লান। সন্ধ্যা না নামতেই শোনা গেল দূর মধুপুর বন থেকে শেয়ালের হুক্কাহুয়া। প্রকৃতির নিবিড় সানিড়বধ্যে দেখতে দেখতে তিনটি দিন কিভাবে কেটে গেল টেরই পাইনি।

Leave a Comment
Share