বান্দরবান জেলার লামা (Lama) সবার কাছেই যেন একটা স্বর্গ রাজ্য। ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাসস্থল লামা যে কোন ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মন কাঁড়বে। এখানে দেখে মুগ্ধ হবার মত আছে অনেক কিছুই। চকরিয়া থেকে লামা যাওয়ার রাস্তা হলো এর শুরুর আকর্ষন। এই রাস্তায় প্রবেশ করার সাথে সাথে পেয়ে যাবেন স্বর্গে প্রবেশের মতো একটা আমেজ। এছাড়া আছে কোয়ান্টাম শিশু কানন যা শহর থেকে বেশ অনেকটা দূরে অবস্থিত হওয়ায় আপনাকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে। এখান থেকে আপনি সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন যা কিনা এক কথায় অসাধারন। আছে মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স যা লামায় পোঁছানোর ৭ কিলোমিটার আগে অবস্থিত। সমতল ভূমি থেকে প্রায় ২২শত ফুট উচ্চতায় আবস্থিত মিরিঞ্জা ভ্যালিটি। পাহাড় আর মেঘের মিলনের অপরুপ দৃশ্য দেখা যাবে এখানে। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। পিকনিকের রান্না করার সুযোগ রয়েছে। প্রায় ৩৩ একর জায়গায় নির্মিত পর্যটন মিরিঞ্জা সহজেই সকলের মন কেড়ে নেবে।
ঘোরাঘুরির এক ফাঁকে চলে যেতে পারেন লামা বাজার। খুব প্রসিদ্ধ লামার বাজার। এছাড়া মার্মা পাড়া থেকে ঘুরে আসতে পারেন। বিকেলটা রেখে দিন মাতামুহুরি ব্রীজ এর জন্যে। এখান থেকে সুর্যাস্ত অসাধারন লাগে। আছে নদীর ঘাট, সবাই জায়গাটাকে বেঙ্গল বলে অবিহিত করে। এখান থেকে দেখেতে পাওয়া যাবে অনেক নৌকা। সাথে সুখ আর দুঃখের পাহাড় এর সৌন্দর্য্য তো আছেই।
এই লামাতেই আছে সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ মন্দির আর মিরিঞ্জা ভ্যালি। আহা এ যেনো একটুকুরো স্বর্গ। ভোর বেলা মিরিঞ্জা ভ্যালি থেকে সাজেকের ফিল পাওয়া যায়। মেঘে ঢাকা নিচের পাহাড়গুলো দেখতে তখন দারুন লাগে। চাইলে লামা টু মানিকপুর বোট ভ্রমণ করতে পারেন। লামা থেকে বোটে করে মানিকপুর যাওয়ার সময় চোখে পড়বে দুদিকে অনেক বড় বড় পাহাড় আর মাঝখানে বয়ে চলা ছোট মাতামুহুরি নদী।
লামা থেকে মানিকপুর যাওয়া আসা ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। এছাড়া কোয়ান্টাম যাওয়া আসা ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা চাঁদের গাড়ির ভাড়া। লামা থেকে মিরিঞ্জা পাড়া ভোরের বাসে ১০ টাকা করে নিবে।
ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে বাসে চকরিয়া পর্যন্ত। এরপর চকরিয়া থেকে বাসে লামা। ঢাকা থেকে চকরিয়া পর্যন্ত বাস ভাড়া পড়বে ৭৫০ টাকা এবং চকোরিয়া থেকে লামা পর্যন্ত বাস ভাড়া ৪০ টাকা।
লামা শহরে মাঝারি ধরনের হোটেল রয়েছে। প্রতিরুমের ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
Leave a Comment