উটি শহর
হাওড়া থেকে করমন্ডল এক্সেপ্রসে রওনা হলাম সময় মতোই। দুপুর ২ টো ৫০ এ ট্রেন ছাড়লো আর পরের দিন বিকেল ৫ টার আশেপাশে পৌঁছালাম চেন্নাই সেন্ট্রাল। ওখান থেকে রাত ৮ টা ৫৫ মিনিটে নীলাগিরি এক্সপ্রেস ধরে পরের দিন সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে পৌঁছালাম মেটুপালায়াম। মেটুপালায়াম থেকে ট্রয়ট্রেন ৭ টা ১০ মিনিটে। ট্রয়ট্রেনে করে সোজা উদাগামান্ডালাম মানে উটি আর কি। সব ট্রেন সময় মতই চলেছে। আর পথটা একটু দীর্ঘ হলেও ট্রয় ট্রেনের মজাটাই আলাদা। আর আমাদের ফেরাটা যেহেতু ব্যাঙ্গালোর দিয়ে ছিলো তাই দুটো রুটের মজাটাই নিলাম আর কি। তার উপর Nilgiri Mountain Railway (Heritage Railway) বলে কথা।
চলতি পথে অনেক ঝর্না, Law falls এর দেখা মেলে। এছাড়া নীলগিরি পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য আর নীলগিরি পাহাড়ের কোলে চা বাগান।
আমরা উটি পৌঁছালাম দুপুর বেলা একটার আশেপাশে। হোটেল বুক করা ছিলো তাই সোজা হোটেলে গিয়ে স্নান খাওয়া সেরে ঘুম। বিকেলের দিকে মার্কেটটা একটু ঘুরলাম, মানে সেদিনটা ঘোরার হিসেবের খাতা থেকে বাদ দিলাম। ঊটি বেশ নিরিবিলি আর রাতে বেশি দুরে যেতেও ওখানকার লোকেরা বারণ করে, তাই বেশি দুরে আর গেলাম না। পরের দিন দেরী না করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম। আমরা গেছিলাম অক্টোবর মাসে তাই তখন মেঘ বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হয়েছে আর কি। কি বা করা যাবে জায়গাটাই এমন, সবসময়ই অফ সিজ্ন এর মধ্যে পড়ে। তো যাইহোক বেরিয়ে পড়লাম সকালেই।
প্রথম দিন আমরা কুন্নুরটা একটু ঘুরে তারপর উটির আশেপাশে ঘুরলাম। গেলাম Coonoor tea garden, Doddabetta Peak, Lamb’s Rock, Nilgiri Tea garden and Tea factory, Chocolates factory, Wellington, Wellington Gymkhana Golf Club.
দ্বিতীয় দিন আমরা গেলাম পাইকারার দিকে। Hindustan Photo Flim যদিও বন্ধ হয়ে গেছে, Flim shooting hill, Pykara Lake, Pykara Waterfalls, Shooting Spot, Ooty boat house, Government Rose garden, Government Botanical garden.
আর এই ঘোরার মাঝে নিজের ঝুলিতে রাখলাম অনেক ছবি আর ওখানকার হোমমেড চকোলেট আর নীলগিরি চা। এবার তৃতীয় দিন এদিন ঐ রাতে কাটানো মার্কেটটা সকালে দর্শন করে, আরো কিছু চকলেটের সম্ভার নিয়ে ব্রেকফার্স্টটা সেরে রহনা দিলাম মহীশূর এর উদ্দেশ্যে। সেটাও দেখার প্রথমত 36 Hairpin Bend রয়েছে যথেষ্ট বাঁকযুক্ত আর পাহাড়ের কোলে নাম না জানা অনেক ফুল।
আর তার পরের বিশেষ দ্রষ্টব্য হল Mudumalai National Park and Wildlife Sanctuary. It also declared Tiger Reserve Forest. আর Bandipur Tiger Reserve And National Park এর ভিতর দিয়েই মহীশূর আসার সেই রাস্তা। যদিও ফরেস্টের প্রতি ঝোঁক কমের কারণে সেগুলো আলাদা করে দর্শন করিনি। তাও অসংখ্য হরিণ, হাতি, ময়ূর , হনুতো আছেই এদের দর্শন পাওয়া গেছে। দুটো ফরেস্ট মিলিয়ে প্রায় চার ঘন্টার ব্যবধানে মহীশূর এসে পৌঁছালাম।
Leave a Comment