মালদ্বীপ ভ্রমন (প্যারাডাইস রিসোর্ট এন্ড স্পা আইল্যান্ড)

ঘুরে এলাম মালদ্বীপ (Maldives), ভারতের প্রতিবেশী দেশ। শ্রীলঙ্কা থেকে আকাশ পথে মাত্র চল্লিশ মিনিট দূরে ভারত মহাসাগরের মাঝে ছোট্ট এক দ্বীপের নামই মালদ্বীপ।

মালদ্বীপ যাওয়া

সপ্তমীর সকালে কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর হয়ে মালে। সেখান থেকে সমুদ্রের ওপরে বোটে করে আপনার পছন্দমত এবং ঠিক করা কোন এক আইল্যান্ডের মাঝে সুসজ্জিত রিসোর্টে। কলকাতা থেকে মুম্বাই হয়েও যাওয়া যায় এবং দু ক্ষেত্রেই সময় মোটামুটি ঘণ্টা দেড়েকই লাগে, তবে সব মিলিয়ে কলকাতা থেকে আপনার কম করে দশ ঘণ্টা লাগবে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে। কারন আপনাকে ব্যাঙ্গালরে লে-ওভার টাইম ধরে রাখতে হবে।

রিসোর্টের জেটি

মালদ্বীপে ভারতীয়দের ভিসা লাগে না, পাসপোর্ট নিলেই চলবে। ব্যাঙ্গালরে একবার ইমিগ্রেশন হবে তারপর ম্যালে গিয়ে একটা ছোট্ট ফর্ম ফিলাপ করে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প মেরে আপনাকে ওখানকার অথোরিটি ওদের দেশে ঢুকতে দেবে। আর হ্যাঁ রিটার্ন টিকিট কিন্তু দরকার ইমিগ্রেশনের সময়।

আমাদের বুকিং ছিল প্যারাডাইস রিসোর্ট এন্ড স্পা আইল্যান্ডে (Paradise Island Resort, Maldives)। রিসোর্টের লোকেরাই মালে এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের পিক আপ করে। মালে এয়ারপোর্ট থেকে বেরোলেই আপনাকে মুখোমুখি হতে হবে সমুদ্রের যা কিনা আপনার মুড টাকে আরও উজ্জীবিত করবে। আপনার সারাদিনের ধকলকে কনভার্ট করবে এনার্জিতে, আপনার জন্য বোট অপেক্ষা করবে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

চল্লিশ মিনিট লাগল আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে, যাওয়ার দিন এক নাগারে বৃষ্টি পরে যাচ্ছিলো। রিসোর্টের জেটিতে আমরা নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাগীতে উঠে পড়লাম, বাগি হল কলকাতার টোটো ভার্সন। বাগী নিয়ে গেল হোটেলের রিসেপশনে। আপনি বসলেন সঙ্গে সঙ্গে চলে এল ওয়েলকাম ড্রিংকস, উষ্ণ তোয়ালে আর চেক ইন ফর্ম। মালদ্বীপ গরমের দেশ, বৃষ্টি হলেও একটু ভ্যাপসা ছিল আবহাওয়া, উষ্ণ তোয়ালে আপনাকে আরাম দেবে আর ড্রিংক দেবে এক্সট্রা এনার্জি, ব্যাস ফর্ম ফিলাপ শুরু করে দিন।

চেক ইন করেই চললাম লেট লাঞ্চের উদ্দেশ্যে, আমাদের প্যাকেজ ছিল অল ইঙ্কলুসিভ অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনিং স্ন্যাক্স এন্ড ডিনার সাথে আনলিমিটেড সফট এন্ড হার্ড ড্রিংকস। মালদ্বীপে এক মাত্র প্রাইভেট আইল্যান্ডেই হার্ড ড্রিংকস পাওয়া যায়।

মালদ্বীপে থাকা

আমাদের রুম ছিল বিচের ওপরে, যাকে বলে বিচ বাংলো। দরজা খুললেই সাদা বালির বিচ, সার দিয়ে গাছের সারি আর তার পরেই নীল জলের সমুদ্র। এই নীল জলরাশি দেখতে মনমোহিনী কিন্তু ঢেউ পাবেন না। এক্কেবারে শান্ত, ধীর স্থির। আর জল এত পরিষ্কার যে জলের নিচের যাবতীয় জিনিস আপনার নজরে চলে আসবে আর হ্যাঁ আপনি যখন সাঁতার কাটবেন বা জলকেলি করবেন মনে রাখবেন আশে পাশে তারা আপনার নজর রাখছেন। আমি মাছে দের কথা বলছি, ছোট থেকে মাঝারি রং বেরঙ্গের সব মাছ আপনাকে একবার দেখেই পাশ কাটিয়ে চলে যাবে ধরার চেষ্টা করবেন না কারন ওরা ধরা দেয়না ওদের শুধু দেখতে হয় আর মজা করতে হয়।

দরজা খুললেই সাদা বালির বিচ

বীচ বাংলো ছাড়া আরেক ধরনের রিসোর্ট আছে যেটা খুবই জনপ্রিয় মালদ্বীপে সেটি হল ওয়াটার বাংলো, অর্থাৎ জলের ওপরে বাংলো। ঘুরে এসেছিলাম জায়গাটা যদিও ভীতরে ঢুকে দেখিনি তবে এক কথায় দুর্দান্ত। নীল জলরাশির ওপরে সার বেঁধে বাংলো গুলি যেন একে ওপরের হাত ধরে দাড়িয়ে, আর সব কটা বাংলোর সাথেই একটা করে সিঁড়ি নিচে নেমে নীল জলের সাথে মিশে গেছে অর্থাৎ ঘরে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আপনি জলকেলি করতে পারেন আপনার ইচ্ছে মতন। জল বাংলো যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে আপনি সমুদ্রের ঢেউ আর গর্জন দুটোই শুনতে আর দেখতে পাবেন সাথে মাছেদের আনা গোনা।

জল বাংলো যেখান থেকে শুরু হয়েছে ঠিক তার দু দিকে সাদা বালির বিচ। সাথে যদি বাচ্চা বা বয়স্ক থাকে তাহলে আমার মতে বিচ বাংলো বেস্ট আর না হলে জল বাংলো। বিচ বাংলতে আপনি এক সাথে বিচ আর জল দুটোই উপভোগ করতে পারবেন যেটা জল বাংলতে সম্ভব নয়।

রেস্টুরেন্ট থেকে আপনার রুমে যেতে যদি সময় বেশী লাগে হেঁটে তাহলে বাগী নিন, ফ্রি সার্ভিস কিন্তু কখনও কখনও অপেক্ষা করতে হবে পাওয়ার জন্য।

হোটেলে মিনি বার আছে, তবে কোল্ড ড্রিংকস ছাড়া সবই পেইড তাও একবার জিজ্ঞেস করে নেবেন। চা কফি মেকার আছে, ভোরে উঠে কফি বা চা যেটা আপনার প্রিয় নিয়ে রুমের বাইরের বারান্দায় বসে বসে পরুন এরকম নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর পরিবেশ গ্যরান্টি আর কোথাও পাবেন না।

রুম বেশ বড়, বাথরুমটাও বেশ, ভীতরে বাথটব আছে আবার পিছনে উন্মুক্ত আকাশের নিচে চারপাশে পাঁচিল দেওয়া টপ শাও্যার আছে স্নানের জন্য।

জল বাংলো

করনীয়

এবার আসি ওখানে আপনি কি করবেন? আপনি যদি হানিমুন কাপল হন তাহলে পুরো আইল্যান্ড ঘুরুন আর ঘুরুন, নীল জলের সাথে দুজনে মেতে উঠুন আর যদি খিদে টিদে থাকে তাহলে ওই পর্ব সেরে আবার হারিয়ে যান নীল জল, সাদা বীচ, গাছের সারি , দূরের সমদ্রের গর্জনের মাঝে।এক কথায় হানুমুন কাপল দের জন্য পৃথিবীর মধ্যে এরকম আদর্শ জায়গা কিন্তু খুব বেশী নেই।

আর যদি আপনি হানুমুনের সাথে এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাহলে ওয়াটার স্পোর্টস বা জলক্রীড়া করতে পারেন। অনেক ধরনের ক্রীড়া আছে যেমন স্কুবা ড্রাইভিং, স্নরক্লিং, প্যারাগ্লাইডিং এবং আরও অনেক কিছু। যদি এর সাথে কিছু সাফারি করতে চান তাহলে করতে পারেন ডলফিন সাফারি যা কিনা এক কথায় অনবদ্য। এক্কেবারে গভীর সমুদ্রের কালো জলরাশির মধ্যে যখন আপনার বোট দুলবে আর সামনে ডলফিনরা আপনাকে তাঁদের সাতারের দক্ষতা আর জাম্পিঙ্গের পারদর্শিতা দেখাবে তখন আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। সফট ড্রিঙ্কস বা ককটেলে সিপ করতে করতে ও দৃশ্য দেখে দু কলি গান ও আপনি গেয়ে উঠতে পারেন।

আরেকটা সাফারি যেটা আমরা করেছিলাম বিশেষত বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে সেটা হল বোটম গ্লাস বোট সাফারি। আপনার বোটের মাঝের নিচে নীল গ্লাসের মধ্যে দিয়ে সমুদ্রের নিচের সম্ভার আপনার দৃষ্টি গোচরে নিয়ে আসবে। বাচ্চাদের হলেও বুড়োদের ও খারাপ লাগবে না , এক কথায় চলন্ত এবং প্রাণবন্ত একোরিয়াম। অসংখ্য মাছের সমাহার, কচ্ছপ, শঙ্কর মাছ সাথে আর ও নাম না জানা মাছ, মনে হবে এই বুঝি ছুঁয়ে ফেললাম। বসুন , দেখুন আর উপভোগ করুন।

আইল্যান্ড টুর করতে পারেন অর্থাৎ আশে পাশে তিন চারটে বা তার বেশী আইল্যান্ড আপনি পরিদর্শন করতে পারেন। বোটে করে যান, ঘুরুন, নতুন আইল্যান্ড দেখুন।

সিটি ট্যুর করতে পারেন, মালে এক্সকারশন। আমরা যদিও যাইনি তবে ফিডব্যাক কিন্তু এক্সিলেন্ট নয়। তবে আপনার পছন্দ একান্তই আপনার। মালেতে আপনি কিছু ফিশ মার্কেট, রেস্টুরেন্ট আর কিছু মসজিদ পাবেন। চার্চও নাকি আছে, তবে আপনাকে পায়ে হেঁটে ঘণ্টা দেড়েক ঘুরতে হবে। আসলে মালে সিটি আয়তনে খুবই ছোট কিন্তু জনরাশির প্রবল চাপ যা কিনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

এসব সাফারি বা ট্যুর ছাড়া যদি আপনি খেলা ধুলো ভালবাসেন বা শরীর চর্চায় বিশেষ মন আছে তাহলে চিন্তা নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আপনি একটু ভলিবল, টেবিল টেনিস, বাস্কেট বল খেলে নিতে পারেন। জিমে গিয়ে ক্যালরি বার্ন করে আসতে পারেন। সবই আপনার উপর, অপশন অনেক। আপনি গিয়ে বেছে নিন কি করবেন এবং অবশ্যই আপনি কি ভাবে যাচ্ছেন সেটা দেখে অর্থাৎ ফুল ফ্যামিলি না অনলি কাপল।

প্রকৃতির সৌন্দর্য, নীল জলের আহ্বান, গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া এ সবই কিন্তু পেট পুজো না হলে ঠিক জমে না, অন্তত আমার তা মনে হয়।

খাওয়া দাওয়া

প্যারাডাইস আইল্যান্ডে সব মিলিয়ে পাঁচটা রেস্টুরেন্ট আছে, যার মধ্যে দুটো জল বাংলোর সাথে লাগোয়া যেগুলো মেইনলি সী ফুডের ওপর পারদর্শী। বাকী তিনটে রিসোর্টে এন্ট্রি পয়েন্টে।

মেইন রেস্টুরেন্ট কাম বার একদম বীচের ধাঁরে, চেয়ারে বসে দিগন্ত বিস্তৃত জল রাশি আর নীল আকাশের এক অভূতপূর্ব মিলনস্থলকে সাক্ষী রেখে আপনি আপনার ভালোবাসা বা কল্পনায় ডুব দিয়ে আসতে পারেন। যদি আপনার কপাল আর আবহাওয়া দুটোই ভাল থাকে তাহলে ড্রিঙ্কসে সিপ দিতে দিতে আপনি সূর্যাস্ত দেখতে পারনে বা তার পরের গোধূলি আলোতে লজ্জায় রেঙ্গে ওঠা সমুদের রাঙ্গা মুখটি দেখে আরও বেশী রোম্যান্টিক হয়ে উঠতে পারেন।

মেইন রেস্টুরেন্টের ঠিক পিছনেই আছে কফি সপ, কফির সাথে স্ন্যাক্স ও পাওয়া যায় আর ঠিক তার বাদিকেই আছে বাগিচা রেস্টুরেন্ট এখানে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ আর ডিনারের বুফে সিস্টেম। খাবার আপনি সব ধরনের পাবেন, ভেজ নন ভেজ দুটোই আছে, স্যালাড, জুস, ডিমের বিভিন্ন আইটেম, ফলের সমাহার সব পাবেন, আমার মতে সব খাবার টেস্ট করা উচিত।

মেইন রেস্টুরেন্ট খোলে সকাল এগারোটায়। ওখানে সাধারনত ড্রিঙ্কস করতেই লোকে যায়, সন্ধ্যে বেলায় ওখানে স্ন্যাক্সের বুফে বসে। পাকোরা, পেস্ট্রি, বিভিন্ন ফল, চা কফি পেয়ে যাবেন আর একটু রাতের দিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। চাইল্ড ড্যান্স থেকে শুরু করে কাপল ড্যান্স, বেলি ড্যান্স সবই হয়।

খরচাপাতি

মালদ্বীপ একটু এক্সপেন্সিভ জায়গা। প্রাইভেট রিসোর্টে মালদ্বীপের নিজস্ব কারেন্সি চলে না, আমেরিকান ডলার চলে। তবে অফসিজনে ভাল ডিস্কাউন্ট থাকে। আমাদের প্যাকেজে শুধু মাত্র সাফারি ছাড়া বাকী খাওয়া দাওয়া, ইনডোর গেম বা জিম একদম ফ্রি। যা করবেন সেটা আপনাকে আগে থেকে ঠিক করতে হবে আপনার রুম নাম্বার আর যে কজন যাবেন তাঁদের সংখ্যা লিখে নেবে, পেমেন্ট করতে হবে চেক আউটের সময়।

একটা জিনিস মাথায় রাখবেন প্রত্যেক এক্টিভিটির একটা নির্দিষ্ট রেট থাকে তবে লোক বেশী হলে বা একটু বারগেনিং করলে ভাল ডিসকাউন্ট পাওয়া যায় আর হ্যাঁ এই ট্যুর বা সাফারি কিন্তু এজেন্টরা করায় আর এক এক এজেন্ট এক এক রকম ডিসকাউন্ট দেয় সুতরাং ফাইনাল বুকিং এর আগে সবার সাথে কথা বলে তারপর ঠিক করুন।

একবার বুক করলে বারো ঘণ্টা আগে সাধারনত ক্যন্সেল করলে কোন এক্সট্রা চার্জ লাগে না তারপর কিন্তু ফিফটি পারসেন্ট যাওয়ার চান্স থাকে।

যদি আপনি অল ইঙ্কলুসিভ প্যাকেজে যান তাহলে অর্ডার দেওয়ার সময় জিজ্ঞেস করবেন সেই অর্ডারটি প্যাকেজের মধ্যে আছে কিনা যদিও ওখানকার লোকেরা আপনাকে জানিয়ে দেবে সেটা ফ্রি না চারজেবেল। ফ্রি হলেও কিন্তু আপনাকে বিল দেবে কিন্তু সেটা হবে জিরো ভ্যালুর বিল তবে সাইন করার আগে একবার দেখে নেবেন।

সিগারেট কিন্তু ফ্রি নয়, রেস্টুরেন্টে সিগারেট কিনতে গেলে পুরো প্যাকেট কিনতে হবে এবং যার দাম পড়বে এগারো ডলার। যদি আপনি স্মোকার হন সিগারেট নিয়ে যাবেন আর যদি ওখানে গিয়ে দরকার হয় তাহলে ট্যুর এজেন্টকে বলবেন ওরা মার্কেট থেকে ওঁর অর্ধেক টাকায় এনে দিবেন।

মালদ্বীপ যাওয়ার খরচ নির্ভর করে আপনি কখন যাচ্ছেন, কোন ফ্লাইটে যাচ্ছে এবং কোন রিসোর্টে উঠছেন।

বিমান খরচ

কলকাতা থেকে গেলে মুম্বাই বা ব্যাঙ্গালর হয়ে যেতে হবে খরচ নির্ভর করে কোনদিন যাচ্ছেন বা কতদিন আগে বুক করছেন। পুজর সময় খরচ সাধারনত বেশী অন্য সময়ের চেয়ে আবার পিক সিজনে খরচ অনেকটাই বেড়ে যায় আগে থেকে কাটলে একটু কম পরে। ব্যাঙ্গালর বা মুম্বাই থেকে মালে খুব বেশী ফ্লাইট যায়না যেগুলো যায় তার রেট একটু বেশী হয় এবং সেখানেও আগে বুক এবং পিক আওয়ারে বুক এই ফ্যাক্টর থাকে।

তবে কলকাতা থেকে মালে আপডাউন নিয়ে আপনি কুড়ি থেকে তিরিশ হাজার পার হেড ধরতে পারেন।

রিসোর্ট এর খরচ

এটার খবর ভালো পাওয়া যাবে গুগুল করলে। অনলাইনে মালদ্বীপ প্যাকেজ পাওয়া যাবে তবে আপনি ডিরেক্ট রিসোর্টে ফোন করে খবর নিতে পারেন।

ডিরেক্ট বুক করলে খরচ অবশ্যই কম পড়বে। একটা বাজেটরই হিসেব দিলাম সকালে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, বিকেলের স্ন্যাক্স আর ডিনার সহ থাকার প্যাক নিলে পার হেড খরচ ২০ হাজার পার ডে থেকে শুরু হবে সেটা কিন্তু লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে নির্ভর করছে আপনি কি কি সার্ভিস নিচ্ছেন আর কি ধরনের রিসোর্ট আর কি ধরনের রুম নিচ্ছেন তার ওপর। সুতরাং দেখে শুনে আপনার বাজেট দেখে পাড়লে একটু আগে থেকে বুক করুন।

জায়গা অসাধারণ তবে বাজেট আর সময় পারমিট করলে শ্রীলঙ্কা এড করে নেবেন।

কেনাকাটা

মালদ্বীপে মাছ ছাড়া নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট নেই কাজেই কেনাকাটা আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। মালে শহরে গেলে আপনি বড় মার্কেট পাবেন কিন্তু আইল্যান্ডে আপনার কাছে অপশন কম যদিও ওদের নিজস্ব দোকান আছে, যেখানে আপনি গিফট কিনতে পারেন। চকলেটের দোকান আছে, তবে সেখানে সবই বাইরের চকলেট। ইভেন ভারতেরও কিছু চকলেট ওখানে পাওয়া যায়।

ফিরে আসা

আমরা ছয় রাত ছিলাম মালদ্বীপে। আমার ব্যাক্তিগত মতামত বলে মালদ্বীপে খুব বেশী হলে চার রাত যথেষ্ট। মালদ্বীপের সাথে শ্রীলঙ্কা অ্যাড করলে ট্যুর আরও বেশী ভাইব্রেন্ট হবে। আমরা করতে পারিনি কারন আমাদের বুকিং এর সময় শ্রীলঙ্কায় কিছু সমস্যা ছিল।

আসার ফ্ল্যাইট ছিল সকাল এগারোটায়। রিসোর্টে ব্রেকফাস্ট করে বিল মিটিয়ে আমরা রওনা দি পৌনে নটায়। মালে থেকে ব্যাঙ্গালোর হয়ে কোলকাতায় যখন পৌঁছাই তখন রাত সাড়ে এগারোটা। ব্যাঙ্গলরে আমাদের ফ্ল্যইট প্রায় দু ঘণ্টা লেট ছিল।

Leave a Comment
Share