লামাহাট্টা ভ্রমণ

একেই হাসফাঁস করা গরমে বিয়ে। তার ওপর মে মাসে হানিমুন! বিয়ের নিয়মকানুন আর অনভ‍্যাসের শাড়িতে অবস্থা শোচনীয়। আন্দাজ আগে থেকেই করেছিলাম। তাই আন্দামান যাওয়া থেকে নিজেদের বিরত করে তথাকথিত ‘দা’ তেই দাঁড়ি টানলাম।

উনি একদিন Whatsapp করলেন আমাদের ট্যুর প্ল্যান। অনেক রিসার্চ করে নাকি বানিয়েছেন ভদ্রলোক! একটা কাগজ চারটি জায়গার নাম লেখা আছে! যার একটা নাম আমি কোন দিনও শুনিনি, দুটোর সাথে বিশেষ পরিচয় নেই আর শেষেরটি শোনেননি পশ্চিমবঙ্গে এমন লোক নেই। লামাহাট্টা, বরামাঙ্গওয়া, তিনচুলে আর দার্জিলিং।

ট্যুর প্রিপারেশন এ আমার কাজ বলতে জায়গার scenic beauty google এ দেখা আর চা থেকে চামচে সব কিছু ব্যাগদস্থ করা। আমার স্বামীটি অবশ্য প্যাকিং এ যথেষ্ট উৎসাহ দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছিলেন! তবে প্রায় ছমাস আগে থেকেই ট্যুর প্ল্যান, টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং সব সেরে নেওয়ায় সেরার শিরোপা যার প্রাপ‍্য তিনি আমার কর্তা। সময় বড় কম ৬ই মে তে যাওয়া ১৪ই মে তে ফেরা।

অষ্টমঙ্গলার time span কমিয়ে পূর্ব নির্ধারিত দিনে রওনা দিলাম দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ২২ঃ০৫ এর দার্জিলিং মেল এর চেয়ে উপযুক্ত আর কীইবা হতে পারে। রাতের ট্রেন তাই ঘুমোনো ছাড়া বিশেষ কিছু কাজ ছিল না। ট্রেন এ উঠে ট্যুর এর জায়গা গুলো এবার ভালো করে দেখতে থাকলাম। এতদিন বিয়ে আর বিয়ে পরবর্তী ঝড় এর দাপটে ঘোরার উত্তেজনা মাথায় উঠেছিল।

দার্জিলিং আমি আগে কখনো যাইনি তাই উনি দার্জিলিং দেখাবেন এই নিয়ে বেশ এক্সাইটেড ছিলাম। ট্রেনে আমার ঘুমটা ভালোই হয় তাই এক ঘুমেই সকাল। উঠে দেখি আমার নতুন সঙ্গীটি আগেই জেগে আমায় ডাকছে। একটু ফ্রেশ হয়ে আমরা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এ নামার জন্য প্রস্তুত।

সকাল ৯টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে আমাদের ড্রাইভার ভাই সাঙ্গে কে ফোন করতেই দেখি সে আমাদের আগে এসেই স্টেশনের পার্কিং এ অপেক্ষা করছে। দুইজন প্রানীর জন্য একটা ঝাঁচকচকে টয়োটা! রোদের তেজ দেখে এসি চালিয়ে দিলাম। আমার ওভার প্রটেকটিভ সফরসঙ্গীর পরামর্শে গরম জামা handy রেখে দিলাম। গান শুনতে শুনতে ক্রমে ওপরে উঠতে লাগল আমাদের গাড়ি, প্রথম গন্তব্য লামাহাট্টা।

আমাদের পৌঁছাতে মোটামুটি ৩ ঘন্টা লাগার কথা। পথেই একটা ভালো চায়ের দোকানে দাঁড়ালাম। চা পর্বে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। সমতলের অনেকটা ওপরে এসে দারুণ লাগছিল। গরমও অনেকটা কম। চা শেষ করেই পুনরায় রওনা দিলাম। পথের সৌন্দর্য লেখায় ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তবে পাহাড়ি রাস্তায় অনেকেরই vomiting tendency দেখা যায়। আমারও অল্প বিস্তর সমস্যা হয় কিছুটা। পাহাড়ি দৃশ্যপট পুরোপুরি ভাবে উপভোগ করেছে আমার সঙ্গীটি। সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি থেকে হিন্দি রিমেক করার সময় যেরকম একটা কিছু ফেলা হয়না পথের সমস্ত দৃশ্য তেমন ভাবেই ফ্রেম বন্দি করে গেছে গোটা রাস্তা। ক্যামেরাটি আবিস্কার না হলে বোধহয় মানুষ ক্যামেরার চোখের বদলে নিজের চোখ ব্যবহার করার অবকাশ পেত!

Lovers Meet View Point

ঘন্টা ২ লাগল আমাদের তিস্তাবাজার পর্যন্ত আসতে। জায়গাটি সুন্দর এবং জমজমাট। কিছু দোকানপাটের সুবিধা স্থানীয়দের জন্য এখানেই বরাদ্দ। তিস্তা বাজারের অনতিদূরেই lovers meet view point। পেশক রোড এর ওপর চমৎকার একটি জায়গা। গাছ গাছালি ঘেরা রাস্তার সামনেই কএকধাপের সিঁড়ি, পাশেই দু একটা দোকানপাট।একে পাহাড়ি রাস্তা তার ওপর টানা অনেক্ষন গাড়িতে বসে থাকার পর হাত পা গুলো একটু মুক্তি পেল। সিঁড়ি দিয়ে উঠেই সামনে অবাক করা দৃশ্য। উচ্চতাটা আঁচ করা যায় এখানেই, সামনের গভীর খাদ, দূরে তিন চার টুকরো পাহাড় আর ঘোরাফেরা করছে মেঘেরা। এক্কেবারে নীচে বয়ে যাচ্ছে দুটি নদী। তিস্তা আর রঙ্গিত। বাঁ দিক দিয়ে বয়ে আসা রঙ্গিতের চেয়ে নজর কেড়ে নেয় সোজা সামনের দিকে বহমান সবুজ রঙা তিস্তা। এদের মিলনস্থলে জন্মেছে পুচকে একটা দ্বীপের মত বালিময় ডাঙা। গাছ গাছালি আর ছায়ার ঘোমটা টানা জায়গাটিতে সময় কেটে যায় চোখের নিমেষে। সবাই সেখানে ছবি তুলতে ব্যস্ত। আমরাও সেই গুরুত্বপূর্ন কাজটা সেরে নিলাম। বলা বাহুল্য আমাদের একসাথে দেখা প্রথম জায়গাটি এরম significant হয়ে যাবে ভাবিনি। তিস্তা ও রঙ্গিতের ছবি তোলার পর একজন পর্যটকের কাছে অনুরোধ রাখলাম আমাদের একটা ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। জায়গাটা ছেড়ে মন যেতে না চাইলেও আমাদের এগোতে হল।

লামাহাট্টা লজ

ওখান থেকে মিনিট চল্লিশের মধ্যে পৌঁছে গেলাম লামাহাট্টা। সাজানো রাস্তার দুপাশে ফুলের গাছ গুলো সূর্যের আলোয় যেন ঝলমল করছে। বাঁদিকে অবস্থিত এই জায়গার মূল আকর্ষণ একটা বিশাল পার্ক। ডানদিকে ছোট ছোট দোকান, হোম স্টে আর গভীর খাদ। পাইন এবং আরো সুন্দর সুন্দর গাছে সাজানো গোছানো লামাহাট্টা পার্কটি দেখেই মনটা ছুটতে চলে যেতে চাইল। কিন্তু চেক ইন করে খাওয়া দাওয়া সেরেই পার্কে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হল। পার্কের একদম পাশেই গাড়ি থেকে নেমে লামাহাট্টা লজের মুখে অনুভব করলাম তাপমাত্রা বেশ কম। গরম জামা এতক্ষন না লাগলেও বিকালেই বার করতে হবে। ফরমালিটি শেষ করে ঘরে ঢোকার আগেই বারান্দায় থমকে যেতে হয়। সামনেই দিগন্তে মেলা পাহাড়। ফ্রেশ হওয়া ভুলে কিছুক্ষন সেখানেই মনোনিবেশ করাই যুক্তিসঙ্গত ধরে নিলাম। ঢুকে ঢুকেই চা এসে গেল বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসে গরম চায়ের সাথে টুকরো টুকরো পাহাড় আস্বাদন করতে বেশ লাগছিল।

ওয়াচ টাওয়ার থেকে

লজের ঘর খানা চমৎকার, দুজনের জন্য অনেকটা বড়। দুখানা ডাবল বেড, পরিস্কার বাথরুম, গিজার সবই আছে এই নির্জন জায়গায়। ট্রেন থেকে নেমেই ফোন করে খাওয়ার অর্ডার করে দিয়েছিলাম তাই লাঞ্চ রেডিই ছিল। ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখি এলাহী আয়োজন। ভাত, ডাল, আলুভাজা, পাঁচমিশালি সব্জী আর চিকেন। তার পরিমানটা এতটাই যে আমাদের একটার বেশি লাগলনা। এতটা খাবার নষ্ট হবে দেখে আমরাই অনুরোধ করলাম বাকীটা রাতে সার্ভ করতে।

লামাহাট্টা লজের রুম

সময় নষ্ট না করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম লামহাট্টা ইকো পার্ক (মমতা পার্ক) এর উদ্দেশ্যে। আমাদের লজ এর একদম সামনেই একথা আগেই বলেছি। পার্কে প্রবেশ মূল্য মাথা পিছু ১০ টাকা, সুন্দর সাজানো গোছানো। পাইন এর মত বড় গাছের সাথে ফুল এবং অর্কিডের বাগান আর রং বেরঙের পতাকা দিয়ে যেন সাজানো আর একটা পাহাড়। সবুজ প্রাকৃতিক রঙের সাথে নীল, সাদা, লাল, হলুদ পতাকা আর এক মায়াবী নিস্তব্ধতা রোমাঞ্চিত করে। লোকজন বিশেষ নেই যারা আছে সবাই সামনেই ছবি তুলতে ব্যস্ত। আমরা আগেই জেনেছিলাম আসল জায়গাটিতে যেতে গেলে বেশ কিছুটা ওপরে উঠতে হবে। ওপরে আছে দুটি লেক। ওই দুটিই হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমরা তাই নিচে না দাঁড়িয়ে ওপরে উঠতে শুরু করলাম সারা রাতের জার্নি ভুলে। ওপরের দিকে লোকজন বিশেষ নেই। পাহাড়ি রাস্তা কেটে পথ করা হয়েছে। তা বেশ খানিকটা উঁচু। খুব সাবধানে পা ফেলে উঠতে হবে। মাঝে মাঝে বসার জন্য বেঞ্চ আছে সেখানেও সময় কাটানো যায়। দু একটা ছবি তুলতে তুলতে আমরা এগিয়ে গেলাম ‘way to water body’ সাইন বোর্ড ধরে। পাহাড়ি জায়গায় ঝুপ করে সন্ধ্যে নেমে আসে তাই যতটা পারা যায় পা চালিয়ে এগোতে লাগলাম। আরো কিছুটা যাওয়ার পর দুজনকে দেখতে পেয়ে আর কতটা জিজ্ঞাসা করতেই তারা বলল এখনো ২০ মিনিট লাগবে। অনেকটা চড়াই বলেই এত সময় সাপেক্ষ।

লামাহাট্টা পাইন ফরেস্ট

কৃত্রিম ভাবে তৈরি রাস্তার পাশাপাশি পথচলতি মানুষ আর একটা শর্টকার্ট বানিয়ে নিয়েছেন নিজেদের সুবিধার্থে তবে সেটার ঝুঁকি একটু বেশি। আমার সাথের অতি সাবধানী মানুষটি সেই রাস্তা অনুসরণ করতে প্রথমে চূড়ান্ত আপত্তি জানালেও অতিরিক্ত ঘুরপথ এড়াতে আমরা পথের ঝুঁকি মাথা পেতে নিতে লাগলাম মাঝে মাঝে। ওপরে এসে মনে হল এ এক অন্য জগৎ! থমথমে রহস্যে ঘেরা অরণ্যের মাঝে একটুকরো ফাঁকা জায়গা। সামনের বনানীর বিস্তার কতদূর তা জানতে ইচ্ছে হলেও রহস্যভেদের উপায় নেই। ধোঁয়া ধোঁয়া মেঘ পেঁচার মত একটা ডাক, আর নির্জনতা যেমন গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে তেমনই অজানার আকর্ষণ হাতছানি দিচ্ছে। একটা বড় পাথর ফটোগ্ররাফির জন্য দারুন একটা ফ্রেম তৈরী করেছে। আমার বর মহাশয় নীচে ফিরে যাওয়ার এবার জন্য তাড়া দিতে লাগলেন। এত ওপরে জনমানবহীন জায়গা সত্যিই ভয় ধরায়। কিছুক্ষন বাদে একজন লোক আর একটি বাচ্চাকে দেখে আমরা একটু সাহস পেলাম। তাদের অনুরোধ করে কয়েকটা ছবি তুলে এগিয়ে গেলাম লেকের দিকে। পাহাড়ের ওপর লেকটির নিঃশ্চুপ অবস্থান অবাক করে দেয়। লেকের চার পাশ ঘেরা সংস্কারের ছাপ স্পষ্ট। রংবেরঙের পতাকা দিয়ে সাজানো। এখানে আমরা একটি পরিবারের দেখা পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম আরো কিছুক্ষন কাটানো যাবে এটা ভেবে।

লামাহাট্টা এর লেক

লেকের স্বর্গীয় পরিবেশ ছেড়ে আরো মিনিট কুড়ি পর আমরা নেমে আসলাম। সূর্য তখন যায় যায় করছে। ওঠা নামার পথে বসার কিছু জায়গা করা হয়েছে, ফটো তোলার জন্য আদর্শ জায়গাগুলি। পড়ন্ত সূর্যের আলোয় মাখা বৃক্ষরাজির রহস্য ভেদ করে নিচে কিছুটা সময় কাটিয়ে ফিরে এলাম। আগেই আমাদের হাউস কিপিং এর ছেলেটির থেকে জেনেছিলাম লামাহাট্টা লজ (Lamahatta Lodge) এর কর্তা তিমজং লামা মহাশয়ের কথা। এক সময়কার মিলিটারি ম্যান এবং এই অঞ্চলের আদি এবং অত্যন্ত গন্যমান্য ব্যক্তির কথা। কাজের অবসরে এই প্ৰাচীন মানুষটি পর্যটক দের অনুরোধে নিজের পূর্ব জীবনের কথা শুনিয়ে থাকেন। বারান্দায় বসে চা পাকোড়া খেতে খেতে মনটা উদাস হয়ে গেল। কালই রওনা দিতে হবে তিনচুলের উদ্দেশ্যে।
সন্ধ্যেবেলা আমরা ঠিক করলাম যদি তিমযং লামা মহাশয়ের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। আমাদের ডাইনিং রুম এর পাশেই ওনার পরিবার নিয়ে বসবাস। সত্তরোর্ধ তরুণ মানুষটি সর্বদাই ব্যস্ত। আমাদের অনুরোধে এককথায় রাজি হয়েগেলেন গল্প শোনাতে তবে এবার মিলিটারি জীবনের কথা নয় শুনতে বসলাম লামাহাট্টার ইতিহাস।

পাইন বন থেকে লামাহাট্টা পার্ক

অত্যন্ত প্রাণবন্ত তাঁর সঙ্গ, কখন যে রাত হয়ে এল বুঝতেই পারলাম না! যেন আমাদেরই সমবয়সী। লামাহাটা ঘোরা যেন সম্পূর্ন হল। আমরা যতটুকু জানলাম তা হল পাহাড়ের ওপরের যমজ দুটি লেক ( একটি বোজানো লতা পাতা দিয়ে )। স্থানীয় মানুষের মধ্যে লেকদুটি সম্পর্কে নানান সংস্কার, লেকের তলায় মানুষের কঙ্কালও মিলতে পারে। লেকদুটি বা লামাহাট্টাকে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবদান যথেষ্ট। আরো জানলাম সন্ধ্যের পর ওপরে লেকের ধারটি মোটেও নিরাপদ নয় কারণ আচমকাই সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে কোনো ভাল্লুক বা চিতার সাথে। উনি বললেন স্থানীয় মানুষদের লামা বলে মনে করলেও আসলে তারা ডুক্পা গোষ্ঠীর, ব্রিটিশরাই লামাদের সাথে পোশাকের মিলদেখে তাদের লামা বলে ভুল করে আর সেই পরিচিতই এখনও তারা বহন করে চলেছে। অনেক তথ্য হাসি আনন্দে আমাদের মন ভরে গেল। রাতের মেনু ডাল, ভাত, আলুভাজা, সব্জি, চিকেন পরিবেশন করছে হাসিমুখে মিষ্টি চেহারার একটি মেয়ে, লীলা। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম, তবুও তার ব্যবহার এবং হাসি মুখে অতিথি দের দেখভাল করা সত্যি মনে দাগ কেটে যায়। তিমজং লামা যে কতখানি বড় মনের মানুষ তার পরিচয় আমরা পেয়েছিলাম পরদিন, চেক আউটের সময়। বিল মেটাতে গিয়ে দেখি আমাদের খাওয়া খরচ বাবদ বেশ কিছু টাকা তিনি কম নিয়েছেন, কারণ আমরা নাকি পরিমান মত খাইনি। এমনটি আর কোথাও পাব কিনা সত্যি জানি না! এমন মানুষ যে আজও আছেন ভাবতেও ভালোলাগে।

রাতে প্রথম দিনেরই হাজারো স্মৃতি নিয়ে শুতে গেলাম পরদিন রওনা দেব তিনচুলের দিকে।

কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

  • লামাহাট্টা লজের বুকিং করার জন্য নীচে দেওয়া ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে ফোন করলেই বুকিং ডিটেলস পাওয়া যাবে। নামঃ Mr. Naveen Lama, ওয়েবসাইটঃ http://www.lamahattalodge.com
  • খাওয়া দাওয়া মাথা পিছু ৬০০ রুপী এক একজনের ( সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের স্ন্যাক্স, রাতের খাবার এবং চা)
  • লামাহাট্টা পার্কে যত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় তত ভাল, সন্ধ্যের আগেই নিচে নেমে আসা উচিত।
  • গ্রুপে গেলে Bonfire এর আনন্দ নেওয়া যেতে পারে, সমস্ত ব্যবস্থা লজ থেকেই করে দেওয়া হয়। ১০০০ রুপী খরচ পড়বে।
  • লজে গিজার এবং পাওয়ার ব্যাকআপের মত সমস্ত সুব্যবস্থা আছে।
  • গাড়ি ভাড়াঃ আমরা লামাহাট্টা লজ থেকে pre booked car নিয়েছিলাম। ২৭০০ রুপী Toyota যা নিউ জলপাইগুরি থেকে লামাহাট্টা পর্যন্ত।  NJP থেকেও আপনারা গাড়ি বুক করতে পারেন। ২৫০০ রুপী (বড় গাড়ি) অথবা ১৮০০ রুপী (ছোট গাড়ি) অথবা NJP থেকে shuttle গাড়ি শেয়ার করেও যেতে পারেন। পার হেড ২৫০-৩০০ রুপী তিস্তা বাজার অবধি। ওখান থেকে শেয়ারড জীপে (টাইমিং আর সিট পাবেন কিনা এর ঠিক নেই যদিও) পাবেন লামাহাট্টা যাওয়ার জন্য। তবে ফ্যামিলি নিয়ে গেলে এই রুটটি ভরসাযোগ্য নয়।
Leave a Comment
Share