কুয়াকাটা ভ্রমণ – জ্যোৎস্নাবিলাস

সুউচ্চ ঢেউগুলো বিশাল জলরাশির গায়ে আছড়ে পড়ে জানান দেয় সাগরের চিরযৌবনের কথা। তীর ঘেষে ঝাউবনগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। মেঘ আর সমুদ্রের গর্জন সেখানে মিলে-মিশে একাকার হয়। রাতের আঁধার ভেদ করে সাগরের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয় দিনের আলো আর বেলা গড়ালে ঐ সমুদ্রই আস্ত সূর্যটাকে গিলে খায় । ডাকাতিয়ার বুক চিরে জেগে ওঠা চর আর ম্যানগ্রোভ বনগুলো ডাতে হাতছানি দিয়ে । একদিকে মেঘ-বৃষ্টির আলাপন অন্যদিকে উথাল-পাথাল জ্যোৎস্না। এমনই স্বপ্নময় ছিলো আমাদের কুয়াকাটা ভ্রমণ। উফ! কী অসহ্য সুন্দর!

খুব ইচ্ছে ছিলো লঞ্চে করে সারা রাত জ্যোৎস্নাবিলাস করতে করতে কুয়াকাটা যাবো। কিন্তু আমার বন্ধু-বান্ধব গুষ্টি লঞ্চডুবির ভয়ে এই প্রস্তাবে তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানালো। অগত্যা বৃহস্পতিবার রাতে টেকনিক্যাল থেকে সাকুরা পরিবহনের সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার বাসে রওয়ানা হলাম। আমরা নয় জন। হৈ হুল্লোর করতে করতে কখন যেন একটু ঝিমুনি ভাব চলে এসছিলো। এরই মাঝে টের পেলাম আরিচা মহাসড়ক পার হয়ে বাস চলে এসেছে পাটুরিয়া ঘাটে। কুয়াকাটার যাত্রাপথে পঞ্চ ফেরির মধ্যে প্রথম ফেরি পার হতে হবে এখন। মাথার উপর পাগলা জ্যোৎস্না নিয়ে শান্ত-স্নিগ্ধ পদ্মা পাড়ি দিলাম। লঞ্চে করে যেতে না পারার আক্ষেপটা আমার কিছুটা হলেও ঘুচলো।

প্রায় বারো ঘন্টা বাস জার্নির পর সকাল সাড়ে সাতটায় আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এসে নামলাম। এর মাঝে আমাদের আরো চারটা ফেরিঘাট পার হতে হয়েছে। লেবুখালী, কলাপাড়া, হাজীপুর ও মহিপুর। শেষ তিনটা ফেরিঘাটের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের দূরত্ব হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় এমন! এই ফেরিগুলো পার হতে না হলে প্রায় দেড়ঘন্টার জার্নি কমিয়ে ফেলা যেত। অবশ্য আন্ধারমানিকের বুকের উপর এখন সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। কয়েক বছরের পর এই ফেরি পারাপারের ঝঞ্ঝাট আর ভোগ করতে হবেনা পর্যটকদের। ও আচ্ছা! আন্ধারমানিক হচ্ছে সেই নদী যার বুকের উপর ফেরিগুলো চলাচল করে।

বন্ধু শান্তনুর কল্যাণে সড়ক ও জনপথের রেস্টহাউজ ঢাকা থেকেই বুকিং দেয়া ছিলো। তাই কুয়াকাটা (Kuakata) নেমেই বোচকা-বুচকি নিয়ে তড়িঘড়ি করে উঠলাম সওজ রেস্ট হাউজে। এতটা পথ জার্নি করলেও কেউই বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলোনা। সবার আগ্রহ যত দ্রুত সম্ভব সমুদ্রে নিজেকে সঁপে দেয়ার। দ্রুত হাত-মুখ ধুয়ে আর পেটে কিছু চালান দিয়ে আমরা সৈকত পরির্দশনে বের হলাম।

সমুদ্রবিলাস

তারই মধ্যে চলতে লাগলো ভ্রমণ পরিকল্পনা। আমাদের মধ্যে যারা ভীতু তারা ফাতরার চর যাওয়ার আগ্রহ দেখালোনা। কিন্তু আমরা কজন যাবোই। অনেক তর্কাতর্কির পর ফাতরার চর ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো। কয়েকজন ছুট লাগালো ট্রলারের খোঁজে। বেশি সময় লাগলো না কারন সৈকতের কাছেই ব্যাপারীরা ভিড় করে ছিলো। চড়ে বসলাম ট্রলারে। সবাই মিলে বেসুরো গলায় ধরলাম গান । ভীতুরাও হঠাৎ সাহসী হয়ে উঠলো। ট্রলারের ছাদে উঠে নানা অঙ্গ-ভঙ্গিতে ছবি তুলতে লাগলো। তবে তাদের লেজ গুটাতে খুব বেশি সময় লাগলোনা। ডাকাতিয়ার বুকে সমুদ্র আর নদীর মোহনায় দুর্ধর্ষ সব ঢেউয়ের ধাক্কায় শুরু হয়ে গেলো ট্রলারের নাচন-কুদন। গান-বাজনার জায়গা দখল করে নিলো দোয়া-দুরুদ। কিন্তু কোন রকম অঘটন না ঘটিয়েই আমরা ফাতরার চর পৌঁছে গেলাম।

এই জলবাহনে চড়ে আমাদের ফাতরার চর গমন

ফাতরার চরকে বলা হয় সুন্দরবনের শেষ সীমানা। কিন্তু ফাতরার চর পৌঁছেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম সমুদ্রের বুকে ছায়াময় প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা নীভৃতচারী একটা চর দেখবো। কিন্তু ঢুকেই শুনি কোথায় যেন তারস্বরে বাজছে ‘ইটজ দ্য টাইম টু ডিসকো’! আরেকটু ভেতরে ঢুকতেই বিশাল পিকনিক পার্টির দেখা পেলাম। ডিসকো টাইমের রহস্য উদঘাটিত হলো। মাথার উপর সবুজের সমারোহ আর পায়ের তলায় কাদা মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে লাগলাম বুনো সৌন্দর্যের খোঁজে। হতাশ হলাম না। চরের শেষ মাথায় গিয়ে দেখা পেলাম সমুদ্র সৈকতের। সমুদ্রের নোনা জলে গা ডুবিয়ে আয়েশী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে নানা প্রজাতির বৃক্ষ। ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বিশাল নারকেল গাছগুলোর শরীরে। আমরা রৈ তুলে সমুদ্রের বুকে দিলাপ ঝাঁপ। কিছুক্ষণ দাপাদাপি আর ফটোসেশন সেরে ফিরতি পথ ধরলাম।

ফাতরার চর

কুয়াকাটা ফেরার পথে ঢুঁ মারলাম শুটকী পল্লী আর লাল কাঁকড়ার দ্বীপে। লাল কাঁকড়ার দ্বীপে কাঁকড়ার দেখা না পেয়ে চরমভাবে হতাশ হতে হলো। শুটকি পল্লীর রাজ্যের শুটকি সম্ভার দেখে অবাক হয়ে গেলাম। জেলেরা জানালো সবে মাত্র শুটকি শুকোতে দেওয়া হয়েছে । আর মাস দুয়েক পরেই সমুদ্র তীরে বসবে শুটকীর হাট।

শুটকী পল্লী

আমাদের ট্রলার নিয়ে পড়লাম বিপাকে। ট্রলার ভাড়া করার আগে বুঝতে পারিনি ট্রলার চালক ও তার সহকারীরা পেশাদার নয়। লাল কাঁকড়া দ্বীপ আর শুটকি পল্লীতে কিছুতেই নোঙর ফেলতে পারছিলোনা। অনেক কষ্টে যাও নোঙর ফেলতে পারলো কিন্তু নোঙর তোলার সময় অর্ধেক জলে গা ডুবিয়ে আর কাদায় মাখামখি হয়ে আমাদের ট্রলার ঠেলতে হলো। বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা!

ফাতরার চর থেকে ফিরে আমরা খাওয়া-দাওয়া আর গোসল সেরে নিলাম। তখনও আমাদের বেশিরভাগের শরীরে ক্লান্তি নেই, নেই চোখে ঘুম। কারণ আর কিছুক্ষণ পরেই সূর্য সাগরের গহীনে হারিয়ে যাবে। আর এটা আমাদের অজানা নয় কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। তাই ১৮ কিমি দীর্ঘ এই সৈকতটি বাংলাদেশের এক অমূল্য সম্পদ! এই অভূতপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার জন্য আমরা বের হলাম সূর্যাস্ত দেখতে। চরম উত্তেজনায় শিহরিত আমরা সবাই। যা আমাদের অক্ষিগোচর হলো, যা আমাদের বাকরুদ্ধ করে দিলো, প্রকৃতির এই রূপ বর্ণনা করি কোন ভাষায়? শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানালাম আদম সন্তান হিসেবে আমাকে মর্ত্যরে মাঝে সবচেয়ে সুন্দর স্থান বাংলায় জন্মানোর সুযোগ দেয়ার জন্য।

সূর্যাস্ত

রাতে সমুদ্র তীরে ক্যাম্প ফায়ার আর বারবিকিউ করলাম। ততক্ষণে সারাদিনের ক্লান্তি টের পেত শুরু করেছি। কিন্তু অপরূপ জ্যোৎস্না আমাদের ঘুমাতে দিলোনা। এক সঙ্গে জ্যোৎস্নাবিলাস আর সমুদ্র বিলাসের সুযোগ তো আর বার বার আসেনা! সমুদ্র তীরেই শুয়ে রইলাম। একদল বাউল দেখলাম গান ধরেছে। চোখ বন্ধ করলে সমুদ্রের একটানা গর্জন শুনি আর চোখ খুললেই দেখি মস্ত বড় একটা চাঁদ আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। জীবনটা বড় সুন্দর মনে হয় তখন। জ্যোস্নাবিলাস শেষে অনেক রাতে ফিরলাম হোটেলে।

ক্যাম্পফায়ার ও বারবিকিউ পার্টি

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গলো বৃষ্টির শব্দে। মন আনন্দে নেচে উঠলো। প্রকৃতির কোন রূপ দেখাই আর বাকি রইলোনা! ফুটবল নিয়ে ছুট দিলাম সৈকতে । আরও একবার সমুদ্রে দাপাদাপি আর সৈকতে ফুটবল খেলে সকালটা পার করে দিলাম। দুপুরের দিকে মোটর সাইকেলে করে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরতে বের হলাম। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে মিশ্রী পাড়ায় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি যার উচ্চতা ত্রিশ ফুটেরও বেশি। সীমা বৌদ্ধ মন্দির যার ভেতরে ৩৭ মণ ওজনের অষ্ট ধাতুর একটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির। মন্দিরের ভেতরে ৩৭ মণ ওজনের অষ্ট ধাতুর একটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে

লাল কাঁকড়ার দ্বীপ – এবার লাল কাঁকড়ার সন্ধান পাওয়া গেলো না।

লাল কাঁকড়ার দ্বীপ

যদিও অন্য একটি চরে গিয়ে লাল কাঁকড়ার দেখা পাওয়া গেলো 🙂

কুয়াকাটায় লাল কাঁকড়া

চর গঙ্গামতি – যেখানে দাঁড়িয়ে একই সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। চর গঙ্গামতি যাওয়ার পথেই পড়বে ঝাউবন আর ম্যানেগ্রোভের বন।

গঙ্গামতির চর
ম্যানগ্রোভ

রাখাইন পল্লী – এ পল্লীতে রাখাইনদের নিজস্ব তাঁতে বোনা চমৎকার সব চাদর, মাফলার, শাল পাওয়া যায়।

রাখাইন পল্লী। রাখাইন নারীরা কী চমৎকার কাপড় বুনছে!

সোনার তরী বা আগুনমোহনা – জনশ্রুতি এটা একটা বড় নৌকা, সম্ভবত মাছ ধরার ট্রলার। কতদিন ধরে এখানে আছে তা অজানা। ধারণা করা হয় নৌকাটা কয়েকশ বছরের পুরানো, যখন মগ জলদস্যুরা এখানে আক্রমন করতো সে সময়ের।

বার্মিজ ও রাখাইন মার্কেট – সমুদ্র সৈকতের কাছেই এই মার্কেটটিতে রকমারি জিনিস পাওয়া যাবে।

এছাড়া রয়েছে যেই কুয়ার জন্য কুয়াকাটার নামকরণ হয়েছে সেই কুয়া। তবে এটার অবস্থা খুবই খারাপ, লোকজন ময়লা ফেলে নোংরা করে রেখেছে।

এই সেই ঐতিহাসিক কুয়া যার কারনে জায়গাটির নাম কুয়াকাটা

কিন্তু সূর্যোদয় তো দেখা হলোনা? এদিকে আবার পরদিন সকালেই ঢাকা ফিরতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত হলো ভোরে সূর্যোদয় দেখে গাড়িতে চড়বো। সেই মোতাবেক পরদিন রাত চারটায় ঘুম থেকে উঠে গঙ্গামতির চরে গিয়ে ক্যামেরা তাক করে বসে থাকলাম সূয্যি মামার আশায়। কিন্তু তার তো দেখা নাই। সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে মেঘের চোখ রাঙানি দেখতে হলো। মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি খেলা চলতে চলতেই খেয়াল করলাম আকাশের গায়ে আগুন লেগেছে! মূর্হুমূহু আকাশ তার রঙ পাল্টাচ্ছে! কমলা-হলুদ-লাল-গোলাপী! টকটকে লাল সূর্য দেখতে না পেলেও প্রকৃতি আমাদের যে রূপ দেখালো তাতেই আমরা বিমুগ্ধ! এদিকে পুব দিগন্তে যখন সূর্য উঠি উঠি করছে তখনও চাঁদের চোখে ঘুম নেই। কুয়াকাটা বিদায় বেলাতেও হতচ্ছাড়া চাঁদটা আমাদের পিছু ছাড়লোনা।

যেভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ৩৮০ কিমি। ঢাকা থেকে দুইটি উপায়ে কুয়াকাটা যাওয়া যাবে। বাস অথবা লঞ্চ। সদরঘাট থেকে বিকেল বেলা বরিশালের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লঞ্চ ছেড়ে যায়। তারপর বরিশাল থেকে বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন। আমরা বাসে করে গিয়েছিলাম। টেকনিক্যাল থেকে রাত সোয়া নয়টায় সাকুরা পরিবহনের সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। ভাড়া ৭০০টাকা। প্রতিদিন সাকুরা পরিবহনের এই একটা বাসই সরাসরি কুয়াকাটা যায়। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে অনেক বাস সার্ভিস আছে। এগুলো মাওয়া হয়ে যায়। সাকুরা যায় আরিচা মহাসড়ক হয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে। সম্প্রতি সাকুরা পটুয়াখালি পর্যন্ত এসি বাস সার্ভিস চালু করেছে। কুয়াকাটা থেকে সাকুরা পরিবহনে সরাসরি ঢাকা ফিরতে চাইলে সন্ধ্যা সাতটায় দিনের একমাত্র গাড়িতে চড়ে বসতে হবে। সেজন্য কুয়াকাটা গিয়েই ফেরার টিকেট কেটে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে আরো কিছু বাস সার্ভিস পাবেন কিন্তু কোনটাই সকাল বেলায় কুয়াকাটা থেকে ঢাকা ফিরবেনা। সবগুলো সার্ভিস বিকেল-সন্ধ্যা বা রাতে। সকালে ফিরতে চাইলে লোকাল বাসে করে বরিশাল পর্যন্ত আসতে পারেন। তারপর বরিশাল থেকে ঢাকা ফেরার অনেক ভালো বাস পাবেন। তবে লোকাল বাসে করে কুয়াকাটা থেকে বরিশাল আসাটা বিশাল ঝক্কির ব্যাপার।

খাওয়া-দাওয়াঃ

কুয়াকাটায় আমরা মোটামুটি বেশ কিছু হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেছি। হোটেল রাজধানী, হোটেল আপ্যায়ন, হোটেল তরঙ্গ। খাবারের মান সবগুলোতে মোটামুটি একরকম। বেশিরভাগ সময়েই আমরা শুটকি, ইলিশ মাছ আর ইলিশ মাছের ডিম খেয়েছি । কুয়াকাটায় খাবারের দাম বেশ চড়া।

কোথায় থাকবেনঃ

কুয়াকাটায় থাকার জায়গা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। বেশ ভালো মানের কিছূ হোটল আছে।যেমন হোটেল গ্রেভার ইন, নীলাঞ্জনা ইত্যাদি। এছাড়া সস্তায় আরো অনেক হোটেল পাওয়া যাবে। সমুদ্রের কাছাকাছি কোন হোটেলে থাকাই শ্রেয়।

খরচঃ

কুয়াকাটা ঘুরাঘুরি বেশ ব্যয়বহুল। জনপ্রতি আমাদের প্রায় ৪০০০ টাকা খরচ হয়েছে। তবে একটু কিপ্টেমি করলে ৩০০০-৩৫০০ টাকায় ঘুরে আসা সম্ভব।

কিছু টিপসঃ

  • ফাতরার চর যেতে ট্রলার ভাড়া করতে হবে। আমাদের ভাড়া পড়েছিলো মাথাপিছু ১০০ টাকা। তবে সমুদ্র উত্তাল থাকলে ফাতরার চরে যাওয়া যাবেনা।
  • সূর্যাস্ত, সূর্যোদয়, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, গঙ্গামতির চর, ঝাউবন, কাউয়ার চর, মিশ্রীপাড়া, রাখাইন পল্লী, শুটকিপল্লী ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার জন্য মোটর সাইকেলের বিকল্প নেই। আমরা একেকটা মোটর সাইকেল ভাড়া করেছিলাম ৫০০ টাকায়। প্রতি মটর সাইকেলে দুইজন করে।
  • বারবিকিউ করতে চাইলে কলিম বাবুর্চির খোঁজ করবেন। কুয়াকাটা বীচে একমাত্র কলিম বাবুর্চিই বারবিকিউ আয়োজন করে দেয়। আমরা দেড় কেজি ওজনের তিনটা মুরগী কিনে দিয়েছিলাম। কলিম এক হাজার টাকায় বীচে সব অ্যারেঞ্জ করে দিয়েছিলো।
সময়টা ২০১২ সাল। তাই এখনকার সাথে হয়ত অনেক কিছু নাও মিলতে পারে।
Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ kuakatasea beachstorytourtravel