আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে আট দিন

বিমানের জানালা দিয়ে নিচে তাকাতেই বিস্ময়ের ঘোর। নিচে নীল জলরাশির মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু ভুখন্ড। সকালের রোদের আলো এসে পড়েছে গোটা ভুখন্ডে। চারিদিকে ঝিকমিক করছে সমুদ্রের জল। পৃথিবীর আদিম আদিবাসীদের দেশ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যাবার ইচ্ছে অনেকদিন ধরেই মনের মধ্যে ছিল। কিন্তু সুযোগ হচ্ছিল না। সেই সুযোগ আসতেই একদিন ভোরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠে বসেছিলাম। ঠিক দু ঘন্টায় বিমান কলকাতা থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দূরে পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকার বিমান বন্দর পৌঁছে গিয়েছিল। ছোট্ট বিমানবন্দরে নেমেও ঘোর কাটছে না অবশেষে তাহলে আসা সম্ভব হল এক সময়ের পরিচিত কালাপানির দেশ, দ্বীপান্তরের দেশ আর আদিমতম মানুষের দেশ আন্দামানে।

হাজার হাজার বছর আগে এই আন্দামানে এসেছিল একদল মানুষ। প্রথমে ভাবা গিয়েছিল এরা এসেছিল দক্ষিণ এশিয়া থেকে। কিন্তু পরে জানা যায় আসলে এদের অধিকাংশ এসেছিল আফ্রিকা থেকে। তাই আদিবাসী এই মানুষগুলোর মধ্যে নিগ্রো প্রভাব স্পষ্ট। তবে একাংশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলয়েড প্রভাব। আন্দামানের এই আদিবাসিন্দারাই পৃথিবীর আদিমতম অধিবাসী। জারোয়া, ওঙ্গি, সেন্টিনেলিজ, শম্পেন, গ্রেট আন্দামানিজ ও নিকোবরিজ, এই কটি উপজাতির বাস এই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সভ্যতা থেকে যোজন দূরে গভীর জঙ্গলে এদের বাস। আজো এরা নগ্ন থাকে। এদের ভাষা এবং সংস্কৃতি একান্তই নিজস্ব। সভ্য সমাজের মানুষকে এরা দেখতে পারে না। মধ্য ও দক্ষিণ আন্দামান ও আরো কয়েকটি দ্বীপে নির্জনতায় এদের বসবাস। এক সময় সংখ্যায় এরা কয়েক হাজার থাকলেও আজ সব মিলিয়ে সংখ্যায় এরা হাজারেরও কম। এদের মধ্যে আবার গ্রেট আন্দানিজদের সংখ্যা নেমে এসেছে ৪৫ জনের কাছাকাছি। আদিমতম এই মানুষগুলোকে রক্ষা করাই এখন প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে।

আদিবাসীন্দারা ছাড়াও আন্দামানে এখন বাঙালি, তামিল ও অন্যান্য আরো অনেক জাতির মানুষ বসবাস করেন। আসলে এক সময় ব্রিটিশরা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেবার অপরাধে যাদের দ্বীপান্তর দিয়ে পাঠিয়েছিল আন্দামানে তাদের বংশধররা রয়ে গিয়েছেন এই দ্বীপে। আর পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের ভারত সরকার পুনর্বাসন দিয়ে পাঠিয়েছিল এখানকার নানা দ্বীপে। তারাই সংখ্যায় এখন বেশি। আন্দামানের নানা প্রান্তে এখন ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, যশোরের মানুষের বসবাস। কয়েকটি জায়গায় তো ৯০ শতাংশের বেশিই বাংলাদেশি। সরকার এদের সকলকে ৩০ বিঘা করে উর্বর জমি দিয়েছিল চাষের জন্য। সেই জমি থেকে উৎপাদিত পণ্যে শুধু দিনই চলে যায় তা নয়। উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে আয়ও হয় যথেষ্ট। এছাড়া সকলেই নানা ব্যবসায় জড়িত।

দক্ষিণ আন্দামানের প্রান্তে দিগলিপুরে ফরিদপুরের দীপকদের হীরা হোটেলে বাঙালি খাবার খেতে পর্যটকদের ভিড় সারা বছরেই লেগে থাকে। তেমনি পোর্ট ব্লেয়ারের (Port Blair) উপকন্ঠে জলিবয় জেটিতে যশোরের হরির শ্রীহরি হোটেলেও বাঙালি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে।

আন্দামানের রঙ্গতে আমকুঞ্জ সমুদ্র সৈকতেই আলাপ বন বিভাগের পদস্থ অফিসার অজয় কুমার দাসের সঙ্গে। তিনি সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের তদারকি করছিলেন। এগিয়ে গিয়ে কথা শুরু করার আগেই উনি নিজেই পূর্ববঙ্গীয় বাংলায় স্বাগত জানিয়ে বললেন, বেড়াতে এসেছেন বুঝি ! জানালেন, বাংলাদেশের খুলনায় ছিল তাদের বাড়ি। তবে ১৯৬৫ সালে ক্লাস ফাইভে পড়তে পড়তেই ভিটে ছেড়ে এসেছিলেন কলকাতায়। পরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দিগলিপুরে। আন্দামানের নানা প্রান্তেই এই বাংলাদেশিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়া যায়। রঙ্গতের হীরেন বিশ্বাসের কাছেই জেনেছিলাম, আন্দামানে চিকিৎসার জন্য এক পয়সা খরচ করতে হয় না। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র দিনরাত খোলা। গেলে বিনা পয়সায় ওষুধও মেলে। তেমনি পড়াশোনাও বিনা খরচে। এমনকি কলেজে পড়তে রাজধানিতে গেলে সেখানে থাকা খাওয়াও বিনা খরচে। যাতায়াতের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ সুবিধা। এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে যেতে যেখানে স্থানীয়দের ৫০ রুপি দিলেই চলে সেখানে পর্যটকদের দিতে হয় ১৯৫ রুপি। প্রবীণদের জন্য রয়েছে আরো নানা সুযোগ সুবিধা। তাই তারা এখন বেশ সুখে স্বচ্ছন্দেই রয়েছেন সেখানে।

অপার কৌতূহল নিয়েই পা দিয়েছিলাম ৫৭২ দ্বীপ সমন্বয়ে গঠিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। অবশ্য মাত্র ৩৮টিতেই বসতি রয়েছে। আর এর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দ্বীপেই পর্যটকদের যাওয়া আসা অনুমোদিত। সমুদ্র আর জঙ্গলের সহাবস্থান এই আন্দামানে। বারাটাংয়ের ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট দেখবার মত। রয়েছে ছোট খাটো পাহাড়। আর আগ্নেয়গিরি। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে ব্যারেন দ্বীপে। অন্যদিকে দিগলিপুরের অদূরে রয়েছে কাদার আগ্নেয়গিরি। আবার বারাটাং দ্বীপের আশ্চর্য্য লাইম স্টোন কেভ দেখার অনুভূতিটাই আলাদা। ম্যানগোভ অরণ্যকে পাশে রেখে সমুদ্রের মাঝ থেকে হঠাৎ খাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। আর সেখান থেকে আড়াই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তবেই দেখা পাওয়া যায় এই কেভের। তবে রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছেই গিয়েছিলাম অবশ্য দ্রষ্টব্য সেলুলার জেলে। কয়েক বছর আগেই এটিকে জাতীয় স্মারক হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এই সেই জেল যেখানে ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাঠিয়েছিল দ্বীপান্তরে। ৬৯৩টি সেল বিশিষ্ট এই জেলের মাঝখানে টাওয়ার। আর চারদিকে ছড়ানো সাতটি বাহু এখন মাত্র কয়েকটি অংশ টিকে রয়েছে । তিনতলার এই জেল ঘুরতে ঘুরতে মনে পড়ে যায় বিপ্লবীদের কথা, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ দিয়েছিলেন। বহু শহীদের রক্তে রাঙা এই জেলের প্রাঙ্গণে বসে সন্ধ্যায় লাইট এন্ড সাউন্ডে জেনেছিলাম সেলুলার জেল আর বিপ্লবীদের সংগ্রামের কাহিনী। বেরিয়ে আসার পথে সকলেই শিহরিত হয়েছিলেন সেদিনের কথা ভেবে। পোর্ট ব্লেয়ারে কয়েকটি মিউজিয়ামও রয়েছে। আর পোর্ট ব্লেয়ারের অদূরে রয়েছে এশিয়ার প্রাচীনতম চাথাম শ’ মিল।

পোর্টব্লেয়ার থেকে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম নানা দ্বীপের উদ্দেশ্যে। সমুদ্র আমাদের সব সময়ের সঙ্গী ছিল। এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে যেতে হয়েছে ছোট ছোট জাহাজে করে। আর এই জাহাজে করে যাবার পথে সমুদ্রের সৌন্দর্যকে নানাভাবে আবিষ্কার করেছি। সমুদ্রের জলের রঙের পরিবর্তন দেখে অবাক হয়েছি। কখনো জলের রঙ ঘন নীল হতে হতে প্রায় কালো। কোথাও একেবারেই নীল। কোথাও সবুজ। আবার তীরের দিকে হাল্কা নীল। আন্দামানের হ্যাভলক দ্বীপের সৌন্দর্যের কথা আগেই জেনেছিলাম। সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মত দ্বীপ। সমুদ্রের ধারে কটেজে কয়েকদিনের অবস্থান মনে রাখার মত। তেমনি ১৫ বর্গ মাইলের ছোট্ট নীল দ্বীপে পৌঁছেও অবাক হয়েছি এর সৌন্দর্য দেখে। এই ছোট্ট নীল দ্বীপকে বলা হয় ভেজিটেবল বোল অব আন্দামান। নানা ধরনের সবজি উৎপাদন হয় প্রচুর পরিমাণে। আর এই দ্বীপের ৯৯ শতাংশই বাঙালি। চারদিকে মোট ৫টি সৈকত। আন্দামানের বিভিন্ন দ্বীপে ঘুরে দেখার মত এক ডজনেরও বেশি সমুদ্র সৈকত রয়েছে। প্রতিটি সৈকতের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দিগলিপুরের কাছে রস এন্ড স্মীথ দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কেটে আর স্নান করে মন তৃপ্তিতে ভরে ওঠে। এখানে সমুদ্রের গর্জন নেই, কিন্তু আমেজ রয়েছে। একই রকম সমুদ্র স্নানের আনন্দ পেয়েছিলাম রাধানগর সমুদ্র সৈকতে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুন্দর সৈকত হিসেবে চিহ্নিত রাধানগর-এ গর্জনও রয়েছে সমুদ্রে উদ্দামতা। আর পোর্ট ব্লেয়ারের অদূরে জলিবয় দ্বীপে সমুদ্র স্নানের মজাটাই আলাদা। অনেকটা হেঁটে চলে যাওয়া যায় সমুদ্রের গভীরে।

আন্দামোনের আরেকটি বড় আকর্ষণ হল কোরাল। সামুদ্রিক এই উদ্ভিদটির বৈশিষ্ট্যই আলাদা। মরে গিয়ে এগুলোই শক্ত পাথরের আকার নেয়। আন্দামানকে কোরাল সম্রাজ্য বলা যায়। বিভিন্ন দ্বীপের উপকূলে প্রাচীর তৈরি করে রেখেছে এই বিস্ময়কর কোরাল। তবে ১৫ বছর আগের সুনামি এদের উপর বিপর্যয়ের ছাপ রেখে গিয়েছে। বহু জায়গাতেই কোরালের অপমৃত্যু ঘটেছে। অবশ্য মৃত্যুতেই সব শেষ হয়ে যায় না। আবার নতুন নতুন কোরোলের জন্ম হচ্ছে। তবে কোরালকে রক্ষা করার জন্য আন্দামান প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর। তাই কোরাল সংগ্রহ করে স্মৃতি হিসেবেও নিয়ে যাওয়া চলে না। আন্দামানের অনেক জায়গাতেই সমুদ্রের নিচের এই কোরাল দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। হ্যাভলক দ্বীপের এলিফ্যান্ট বিচে, ভরতপুর বিচে এবং জলিবয় বিচে কোরাল দেখানো হয় দু’ভাবে। কোরাল দেখানোর জন্য রয়েছে গ্লাস বোট। ছোটো ছোটো এই বোটের নিচটা ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি। বোটের নিচের কাঁচের স্বচ্ছতা আমাদের চোখকে সহজেই পৌঁছে দিয়েছিল সমুদ্রের তলদেশে। তাকিয়ে দেখি কত ধরনের কোরাল। নানা রঙের, নানা আয়তনের। কোনটি হলুদ, কোনটি লাল, কোনটি বেগুনি। আর এই কোরালের সম্রাজ্যে দেখা যায় নানা জাতের, নানা রঙের মাছ। মন ভরে যাওয়ার মত দৃশ্য। ঠিক যেন বিশাল একটি প্রাকৃতিক অ্যাকোরিয়াম। মনে মনে শুধুই ভাবি, সমুদ্রের নিচে কত যে সম্পদ তার কতটুকুই বা জানি। তবে সমুদ্রে নেমে কোরাল ও মাছের জগতে প্রবেশেরও সুযোগ রয়েছে। তবে সকলেই এর সুযোগ নিতে পারে না। জল-চশমা পড়ে আর লাইফ রিং হাতের নিচে চেপে ধরে রওনা দিয়েছিলাম সমুদ্রের গভীরে। একে স্নোরকেলিং বলে। গাইড সঙ্গী হাত ধরে নিয়ে গেল যেখানে রয়েছে কোরালের বেশি বেশি উপস্থিতি সেখানে। জলের নিচে মাথা ডুবিয়ে দেখি এক বিস্ময়কর জগত। রঙের কি বাহার। মৃত কোরালের মাঝে জীবন্ত কোরালগুলিকে চেনা যাচ্ছিল সহজেই। আমাদের চারিদিকে তখন ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা রঙের মাছ। মনে হয় যেন চুমু খাবে এসে। দেখতে পেলাম একটি স্টার ফিশকেও। রঙের এমন বিস্ফোরণ ও বিচ্ছুরণ আগে কখনো দেখিনি। দেখতে দেখতে আধঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে সহজেই। মনে হচ্ছে আরো দেখি। আশ আর মিটছে না। শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতেই হয়েছে। জলিবয় দ্বীপের সমুদ্র সৈকতেও মেতে উঠেছিলাম স্নোরকেলিং-এ। অনেক সৈকতেই স্কুবা ডাইভের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যবস্থা রয়েছে আরও অনেক রকম অ্যাডভেঞ্চার জলক্রীড়ার। কিন্তু খরচ ও সময়ের কথা বিবেচনা করে সেগুলো আর পরখ করা হয় নি।

তবে রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের ২৭ কিলোমিটার দূরের মাউন্ট হ্যারিয়েটে যেতে গিয়ে সুনামি বিধ্বস্ত অঞ্চল দেখে মনটা খারাপই হয়ে গিয়েছে। সুনামি আন্দামানের বহু অঞ্চলেই ছোবলের চিহ্ন রেখে গিয়েছে। সেগুলো এখনো পুরোপুরি মুছে ফেলা যায় নি। তবে মাউন্ট হ্যারিয়েটের শীর্ষে উঠে চারিদিকের দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতাটাও মনে রাখার মত। তেমনি মনে রাখার মত পোর্ট ব্লেয়ারের নিকটবর্তী রস দ্বীপটিকেও। ব্রিটিশরা পোর্ট ব্লেয়ারে রাজধানী করার আগে রস দ্বীপেই তৈরি করেছিল রাজধানী। এখন সেই দ্বীপটি নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এখনও সেখানে রয়েছে ব্রিটিশদের ঘরবাড়ি, ছাপাখানা, জলশোধন কেন্দ্র, বেকারি, মেস ও কবরস্থানের নানা চিহ্ন। দ্বীপে পর্যটকদের যেতে অবশ্য বাধা নেই।

আন্দামান (Andaman Islands) এ আটদিন কিভাবে যে কেটে গিয়েছিল তা বুঝতেই পারিনি। দেখার আনন্দে কোন ক্লান্তিকেই ক্লান্তি মনে হয়নি। বরং ফিরে আসার দিনে বারে বারে ভেবেছি সকলে মালদ্বীপ বা মরিশাসে ছোটেন সমুদ্র সৈকতের আনন্দ পেতে। তারা একবার ঘুরে যান আন্দামান। ফেরার বিমানে উঠে একটিই কথা মনে হয়েছে, আবার আসিব ফিরে এই দ্বীপটির তীরে।

জরুরি তথ্য

আন্দামান ভ্রমণে কোনও বাধা নেই। তবে সব দ্বীপে যাওয়া যায় না। নিকোবরের একটা বড় অংশেই যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না। বিদেশিরা পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকার বিমান বন্দরে নেমেই আন্দামানে প্রবেশের অনুমতি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তবে আন্দামানে ঘুরতে হলে আগে থেকেই একটি ট্যুর অপারেটর সংস্থার সাহায্য নিতে হবে। তারাই বিভিন্ন দ্বীপে যাওয়া এবং থাকার অগ্রিম ব্যবস্থা করে রাখবে। কলকাতা থেকে প্রতিদিন দুটি বিমান যাতায়াত করে। জাহাজেও কলকাতা, বিশাখাপত্তম ও চেন্নাই থেকে যাওয়া যায়। তবে প্রতিমাসে মাত্র কয়েক দিনই জাহাজ যায় আন্দামানে। প্রায় আড়াই দিন লাগে যেতে বা আসতে। তবে অনেক আগে থেকে না কাটলে টিকিট পাবার সমস্যা রয়েছে।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ andamanislandstravel story