সড়ক পথে নেপাল ভ্রমন, ২০১৯

অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল নেপাল ঘুরতে যাবো কিন্তু আমি গরীব ট্রাভেলার, তাই বিমানে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। অনেক ঘাটাঘাটি করেও বাই রোডে যাওয়ার তেমন কোন পোষ্ট/সাহায্য পেলাম না। ফেসবুকে কয়েকবার পোষ্ট করেও তেমন কোন সারা-শব্দ পাইনি। অনেকে বলেছে এখন বাই রোডে যাওয়া যায়না/ভিসা দেয় না। সব কিছু মাথাই নিয়েই ডিসেম্বরের ৮ তারিখ নেপালের ভিসার জন্য ৬ জন পাসপোর্ট জমা দিলাম। যথারীতি পরের দিন সবাই ভিসা সহ পাসপোর্ট ফেরত পেলাম।

এরপর ১০ তারিখে ভারতের ট্রানজিট ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দিলাম ৬জন। ১৯ তারিখ ডেলিভারি ডেট থাকলেও আমরা ২৩তারিখের বাসের টিকিট দেওয়ার কারনে ২২ তারিখ পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়। দূর্ভাগ্যবসত ১ জনের ভিসা দেয়নি। পরবর্তীতে সে বিমানে যায়, আবার ২জন কাঠমুন্ডু থেকে যুক্ত হয়। পরে আলাদা হয়ে যায়। তাই এখানে সব খরচ একজনের হিসেবে দিয়ে দিলাম।

২৩ তারিখ রাত ৭ঃ৩০ টার হানিফ বাসে আমরা যাত্রা শুরু করি। বাস ভাড়া ৬৫০টাকা,রাতের খাবার ১৫০ টাকা। মোট খরচঃ৮০০ টাকা।

১ম দিনঃ সকালে বুড়িমারী পৌঁছাতে ১০টা বেজে যায়। তারাতারি নাস্তা করি ৩৫টাকা, বন্দর উন্নয়ন ফি ৫০ টাকা দিয়ে প্রায় ১ ঘন্টায় ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ভারত চলে যাই। ভারতীয় ইমিগ্রেশনেও প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। এরপর টাকা ভাংগিয়ে রানিগঞ্জের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করি ১৭০০ রুপি ৫জন,পার হেড ৪২৫রুপি। প্রায় ৩ ঘন্টা পর আমরা রানিগঞ্জ বর্ডারে পৌছাই। রানিগঞ্জ নেমে ২০ মিনিটে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে সোজা চলে যাই নেপালের কাঁকরভিটা ইমিগ্রেশনে। কাকারভিটা ইমিগ্রেশনে ১৫ মিনিটে কাজ শেষ করে কাঠমুন্ডু যাওয়ার বাসের খোঁজ শুরু করি। কপালগুনে লাস্ট বাসটি পেয়ে যাই। বাসের সিট কনফার্ম করি ৭০০রুপি, দুপুর+রাতের খাবার খেয়ে নিই ১৫০রুপি দিয়ে। সন্ধা ৭ টায় কাঠমুন্ডুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। পথে বেশ কয়েকবার যাত্রা বিরতি দেয়, পথে নাস্তা ৬০রুপি।

১ম দিনের খরচঃ ৩৫ + ৪২৫ + ৭০০ + ১৫০ + ৬০ = ১৩৭০ রুপি/১৬৭১টাকা।

২য় দিনঃ চারিদিকে পাহাড় দেখে ঘুম ভাংলো, কিছুদূর পর সকালের নাস্তার বিরতি দিলো। নাস্তা করলাম ২৫০রুপি। এরপর আবার গাড়ি চলা শুরু করলো, পথ যেন ফুরায় না!! অবশেষে ১১টাই কাঠমুন্ডু পৌছালাম। অনেক খুজে থামেলে হোটেল নিলাম ২৫০০ রুপি, ৫জন। ফ্রেশ হয়ে খাবারের খোজে বেরিয়ে পরলাম, পেয়েও গেলাম নেপালি থালি খাবার ৩৩০রুপি। আগেই শুনেছিলাম নেপালে খাবারের দাম একটু বেশি। খাবার খেয়ে গুগল ম্যাপ ধরে হেটে দরবার স্কয়ার চলে গেলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত দরবার স্কায়ারে থেকে রাতের থামেল দেখতে দেখতে হোটেলে ফিরে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে হালাল খাবারের খোজে বেরিয়ে পড়ি। গুগলের সাহায্যে পেয়েও যাই আল-মদিনা হালাল ফুডস, মহিষের মাংস দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিই ৩০০রুপি, চা-২০রুপি।

২য় দিনের খরচঃ ২৫০ + ৫০০ + ৩৩০ + ৩০০ + ২০ = ১৪০০ নেপালি রুপি/১০৫০টাকা।

পশুপতিনাথ টেম্পল, কাঠমান্ডু

৩য় দিনঃ গরীব ট্রাভেলার বলে আগের রাতেই পার হেড ৩০০ রুপিতে ঠিক করে রাখা হোস্টেলে উঠে পরি। সকালে উঠে ১২০রুপি দিয়ে আলু পরটা+চা খেয়ে কাঠমুন্ডু সাইড সীনের জন্য ৪৫০০ রুপি দিয়ে গাড়ি ভাড়া করি (পশুপথিনাথ টেম্পল, ওয়াল্ড হেরিটেজ বুদ্ধনাথ স্তুপা, বুড়া নীলকন্ঠ, চন্দ্রগিড়ি, স্বয়ম্ভুনাথ টেম্পল, কাঠমুন্ডু দরবার স্কয়ার)। নাস্তার জন্য বিস্কুট, কমলা নিয়ে নিই ৪৫রুপি। দুপুরে চন্দ্রগিড়িতে ৩৩০ রুপিতে নেপালী ভেজ খাই। রাতে আল-মদিনা হোটেলে ২৭৫ রুপিতে বিরিয়ানি খাই। কাল সকালে পোখারা যাওয়ার বাসের টিকিট কেটে রাখি ৭০০রুপি দিয়ে।

৩য় দিনের খরচঃ ৩০০ + ১২০ + ৭৫০ + ৪৫ + ৩৩০ + ২৭৫ + ৭০০ = ২৫২০রুপি/১৮৯০টাকা।

৪র্থ দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে চা, বিস্কুট ৫০রুপি দিয়ে খেয়ে ৭ঃ০০ টায় পোখারার (Pokhara) বাসে উঠি। বাসে নাস্তার জন্য বিস্কুট, কমলা নিয়ে নিই ৫০রুপি দিয়ে। পোখারা পৌছাতে ২টা বেজে যায়। বাস থেকে নেমে গুগল ম্যাপ ধরে হাঁটতে হাঁটতে লেক সাইডে চলে যাই। কয়েকটা হোটেল দেখে ৩০০রুপি পার হেড একটি হোটেল নিয়ে নিই। ফ্রেশ হয়ে হালাল খাবারের খোজ শুরু করি, গুগল ম্যাপের সাহায্যে পেয়ে যায় পোখারা হালাল ফুড নামের রেস্টুরেন্ট। ৩০০ রুপি দিয়ে মহিষের মাংস দিয়ে দুপুর+রাতের খাবার খেয়ে নিই। খাবার খেয়ে ফেওয়া লেকের পাড়ে ঘুরতে যাই। রাতে হোটেলে আসার সময় বিস্কুট, চা ৫০রুপি দিয়ে খেয়ে নিই। হোটেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলে পরের দিন সাইড সীনের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করি ৭০০০রুপি দিয়ে ৭জন। খুব ভালো সময় ছিলো। প্রতিদিন সন্ধায় পোখারার রাস্তায় বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল চলছিলো।

৪র্থ দিনের খরচঃ ৫০ + ৫০ + ৩০০ + ৩০০ + ৫০ + ১০০০ = ১৭৫০রুপি/১৩১৩টাকা।

ফেওয়া লেক, পোখরা

৫ম দিনঃ সকাল ৫ঃ৩০টায় ঘুম থেকে উঠে রিজার্ভ করা গাড়িতে চলে যাই সারাংকোট, প্রবেশ ফি পার হেড ৬০রুপি। সকালের সূর্যোদয়+অন্নপূর্ণা উপভোগ করে নিচে নেমে যাই। তারপর ব্যাট কেভে ৮০রুপি টিকিট কেটে ঘুরে আসি। গেটের বাইরেই সকালের নাস্তা করি ১৫০রুপি দিয়ে। তারপর মাহেন্দ্র কেইভ, বিন্দবাসিনী মন্দির, ওয়াল্ড পিস প্যাগোডা, ডেভিস ফলস, শতী রিভার, গুপ্তেশ্বর মহাদেব কেইভ ঘুরে বিকেলে হোটেলে ফিরে আসি।সন্ধায় ফেওয়া লেকের পাড়ে ঘুরতে যাই, চা ৩০রুপি। রাতে পোখারা হালাল রেস্টুরেন্টে ৩০০রুপি দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিই। হোটেল ভাড়া ৩০০রুপি। রাতে পোখারার ফেস্টিভাল গুলো খুব উপভোগ্য ছিলো।

৫ম দিনের খরচঃ ৬০ + ৮০ + ৮০ + ১৫০ + ৩০০ + ৩০ + ৩০০ = ১০০০রুপি/৭৫০টাকা।

৬ষ্ঠ দিনঃ এই দিনটা ফেওয়া লেকে ঘোরাঘুরি জন্য রেখেছিলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে ১৫০রুপি দিয়ে নাস্তা করে ফেওয়া লেকে চলে যাই। ৫জন ১১৬০ রুপি দিয়ে ২ঘন্টার জন্য একটা বোট ভাড়া করি। ২ঘন্টা লেকে ঘুরে হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে হালাল রেস্টুরেন্টে ৩০০রুপি দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই। তারপর ১৫০রুপি ঘন্টা হিসেবে সাইকেল ভাড়া করে ১ঘন্টা ঘুরে হোটেলে ফিরে আসি।রাতে আবার সেই হালাল রেস্টুরেন্টে ৩০০রুপি দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিই। হোটেলে এসে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে পরের দিন বিকেলের কাঁকরভিটার বাসের টিকিট কেটে রাখি পার হেড ১৩০০রুপি দিয়ে। হোটেল ভাড়া ৩০০রুপি।

৬ষ্ঠ দিনের খরচঃ ১৫০ + ২৩২ + ৩০০ + ১৫০ + ৩০০ + ১৩০০ + ৩০০=২৭৩২রুপি/২০৪৯ টাকা।

পোখরাতে প্যারাগ্লাইডিং

৭ম দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে ৮০রুপি দিয়ে নাস্তা করে নিই। আগের দিন সাইকেল চালিয়ে মন ভরেনি+বিকেল পর্যন্ত সময় আছে,তাই ২জন ২টা সাইকেল ভাড়া নিই ১৫০রুপি।সাইকেল চালিয়ে প্যারাগ্লাইডিং ল্যান্ড মাঠে চলে গেলাম।গরীব ট্রাভেলার বলে প্যারাগ্লাইডিং করতে পারলাম না,কারন নতুন বছরকে সামনে রেখে সবকিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে। যাইহোক পাগলের সুখ মনে মনে ভেবে নিলাম।দুপুরে হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে ২২০রুপি দিয়ে ভেজ থালি খেয়ে নিই।তারপর গুগল ম্যাপ ধরে হাঁটতে হাঁটতে বাস স্টান্ডে রওনা হলাম,১.৫কিলো হেটে অবশ্য লোকাল বাসে উঠেছিলাম ১৫রুপি।বিকেল ৩ঃ৩০ টায় কাকারভিটার উদ্দেশ্যে বাস রওনা হই।বাসের মধ্যে নাস্তার জন্য মুড়ি+চানাচুর,কমলা ১০০রুপি কিনে নিই।বাস রাতে কয়েকবার বিরতি দেয়,রাতে চাওমিন+ডিম ১৪০রুপি দিয়ে খাই।

৭ম দিনের খরচঃ ৮০ + ১৫০ + ২২০ + ১৫ + ১০০ + ১৪০ = ৭০৫রুপি/৫২৯ টাকা।

৮ম দিনঃ সকালে কাঁকরভিটা নেমে ১২০রুপি দিয়ে নাস্তা করি।তারপর নেপাল ইমিগ্রেশন+রানিগঞ্জ ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে লোকাল বাসে ৩০রুপি দিয়ে শিলিগুড়ি চলে আসি।৩জন পার হেড ৩০০ রুপি দিয়ে একটা রুম নিয়ে নিই। হোটেলে ফ্রেশ হয়ে ভেনাস মোড়ে “পাকিজা” মুসলিম রেস্টুরেন্টে যেয়ে ১৪৫ রুপি দিয়ে গরুর মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই।তারপর টুকটাক কেনাকাটা করে রাতে পাকিজা রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি খাই ১০০টাকা দিয়ে।রাতে হোটেলে ফিরে জম্পেশ ঘুম দিই।

৮ম দিনের খরচঃ ১২০ + ৩০ + ৩০০ + ১৪৫ + ১০০ = ৬৯৫রুপি/৮৪৮ টাকা।

৯ম দিনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে ৭০ রুপি দিয়ে গরুর কলিজা+রুটি খাই।তারপর অটো ভাড়া করে শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে যায় ৩০রুপি দিয়ে।বাসে ৭০রুপি দিয়ে চেংরাবান্দার উদ্দেশ্যে রওনা হই।বাস থেকে নেমে ৩০রুপি অটো ভাড়া দিয়ে বর্ডারে চলে আসি। দুইপাশের ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বিকেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই মাত্র ৭০টাকা দিয়ে।তারপর বিকেল ৫টার বাসে ৬৫০টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। রাতে হাইওয়ে হোটেলে ৫০টাকা দিয়ে রুটি-সবজি খেয়ে নিই।

৯ম দিনের খরচঃ ৭০ + ৩০ + ৭০ + ৬৫০ + ৫০ = ৯০৮ টাকা।

টোটাল খরচঃ ৮০০ + ১৬৭১ + ১০৫০ + ১৮৯০ + ১৩১৩ + ৭৫০ + ২০৪৯ + ৫২৯ + ৮৪৮ + ৯০৮ = ১১৮০৮ টাকা।

এর বাইরে এক্সট্রা খরচঃ বিডি বর্ডার ১০০ + ভারতের বর্ডার ১২০ + রানিগঞ্জ বর্ডার ২৪০ + কাঁকরভিটা বর্ডার ১৫০, আসার সময় ভারত বর্ডার ১২০ + বিডি বর্ডার ১০০ = ৮৩০ টাকা।
ভারতের ভিসা খরচঃ ৮৪০ টাকা।
ট্রাভেল ট্যাক্সঃ ৫০০ টাকা।

পিচ প্যাগোডা থেকে ভিউ

সবশেষে জনপ্রতি মোট খরচঃ ১১৮০৮ + ৮৩০ + ৮৪০ + ৫০০ = ১৩৯৭৮ টাকা (ভিসা+ট্রাভেল ট্যাক্স সহ)
(হিসেবের যেখানে রুপির থেকে টাকার মান বেশি, সেটা নেপালী রুপি আর যেখানে রুপির থেকে টাকার মান কম, সেটা ভারতীয় রুপির হিসাব)

নেপাল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

  • পাসপোর্ট (অবশ্যই নুন্যতম ৬মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
  • পাসপোর্টের ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি ১কপি।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • পেশাগত প্রমানপত্রের কপি(ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি,চাকুরীজীবি হলে ছুটির প্রমানপত্র)।
  • নেপালে হোটেল বুকিংয়ের কপি।
  • বাই রোডে গেলে ঢাকা-বুড়িমারি যাওয়া আসার টিকিটের ফটোকপি।
  • ভিসা আবেদন ফরম অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে হাতে পুরন করতে পারেন, অথবা অ্যাম্বাসী গেট থেকে নিয়েও পুরন করে জমা দিতে পারেন।
  • বছরের ১ম বার নেপালের ভিসা করতে কোন টাকা লাগে না। একই বছরে ২য় বার গেলে টাকা লাগে।

ভারতের ট্রানজিট ভিসার কাগজপত্রঃ

  • অনলাইনে পুরন করা আবেদন ফরম ২×২ ছবিসহ।
  • পাসপোর্টের ফটোকপি।
  • পেশাগত প্রমানপত্র।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার এন্ডোজমেন্ট।
  • বাসস্থানের যে কোন বিলের কপি।
  • নেপালের হোটেল বুকিং এর কপি।
  • ঢাকা-বুড়িমারি যাওয়া আসার টিকিটের ফটোকপি।
  • নেপালের ভিসার ফটোকপি।।

সতর্কতা

  • ঢাকা থেকে কাঠমুন্ডু পৌছাতে প্রায় ৩৬ ঘন্টা, কাঠমুন্ডু থেকে পোখারা যেতে ৭ ঘন্টা সময় লাগে। পর্যাপ্ত মনোবল এবং এনার্জি না থাকলে সড়কপথে না যাওয়াটা ভালো।
  • কাঠমুন্ডু আমার তেমন ভালো লাগে নি। ঢাকার মতই হই-চই কিন্তু পোখারা একদম নিরব, সাজানো-গোছানো, পরিষ্কার শহর।
  • দয়া করে ঘুরতে যেয়ে পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না। মনে রাখবেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।
  • সফরকালে নামাজ আদায় করতে ভুলবেন না। দিনে সফরে থাকলে রাতে সারাদিনের নামাজ একসাথে কসর পরুন, তবুও নামাজ ছাড়বেন না।পারলে সেখানকার মসজিদে কিছু দান করে আসবেন।
Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ by roadnepalpokharatransit