পালং খিয়াং (Palong Khiyang) ঝর্ণাটি বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত। তবে দুর্গমতার কারণে খুব বেশী পর্যটক সেখানে পৌঁছাতে পারে নি। তৈনখালের পাথুরে রাস্তা দিয়ে, কখনো-বা উঁচু পাহাড় ডিঙ্গিয়ে পালং খিয়াং ঝর্ণায় যেতে হয়। তবে ঝর্ণায় যাওয়ার পথে টোয়াইন খালের যে নৈসর্গিক রূপ তাও পর্যটকগণের নিকট আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দু।
তৈনখালের বাঁকে বাঁকে নাতিদীর্ঘ পাহাড় চূঁড়ায় মুরুং, ত্রিপুরা, মার্মাদের খড়েছাওয়া ঘর, ছয়াভরা শান্ত গ্রাম্য পথ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝিরি-ঝর্ণা, পরিচিত পাখির কাকলী- এসব যেন মর্তের পৃথিবীতে এক স্বপ্নরাজ্য! শহুরে রঙিন জনপদ এর চেয়ে কোন অংশে মূল্যবান নয়। পালং খিয়াং এর রূপ দেখতে যাওয়ার আগে পাড়ি দিতে হয় তৈনখালের পাথুরে দীর্ঘপথ। বড় চমৎকার এ পথ, যেন পরীর রাজ্য। তৈনখাল খরস্রোতা মাতামুহুরীর একটি উপনদী।
এ খালের দু’পাশজুড়ে ঘন অরণ্যের লতাবিতানে সারা বছরজুড়েই থাকে বন্যপুষ্পের মেলা। খালের দুইপাশেই কিছুদুর পরপর ছোটখাট ঝর্ণাধারা বয়ে চলেছে। শোনা যায় গাছের ডালে ডালে নানা রঙের পাখির কিচির মিছির শব্দ। কিন্তু সব শব্দকে ছাড়িয়ে নিজের অস্তিত্বকে তিনটি পানি স্রোতের কুলুকুল ধ্বনীতে জানান দিচ্ছে পালং খিয়াং ঝর্ণা। এ বুনো ঝর্ণার প্রকৃতিক রূপে যেকোন পর্যটক মুগ্ধ হন।
রুট-১ঃ আলীকদম>পানবাজার>আমতলী নদী ঘাট। নৌকাযোগে তৈনখাল দিয়ে দোছরি বাজার। এরপর তৈনখাল দিয়ে হেঁটে থাঙ্কুয়াইন ঝর্ণা>হাজরাম পাড়া>পালংখিয়াং ঝর্ণা।
রুট-২ঃ এরপর আলীকদম-থানচি সড়কের ১৩ কিঃ মিঃ। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে দোছরি বাজার>থাঙ্কুয়াইন ঝর্ণা>হাজরাম পাড়া>পালংখিয়াং ঝর্ণা। হাজিরাম পাড়া থেকে এ ঝর্ণায় যেতে ৩-৪ ঘন্টা হাঁটতে হয়।
লেখা: মমতাজ উদ্দিন আহমদ।
Leave a Comment