লুং ফের ভা সাইতার (Lung Pher Va Saitar) বান্দরবানে অবস্থিত একটি বিশাল ঝর্ণার নাম। এই ঝর্ণায় যাওয়ার ট্রেইল তুলনামুলকভাবে কঠিন। এখন পর্যন্ত হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন মানুষের পা পড়েছে এই ঝর্ণায়। থিংদৌলতে পাড়া থেকে ‘তার পি’ ফলসও দেখে আসতে পারবেন একইসাথে। তবে মনে রাখবেন অনেক বিপদজনক ট্রেইল এটা।
বান্দারবান – রুমা – বগালেক – কেওক্রাডং – থাইকং পাড়া – থিংদৌলতে পাড়া – সিলোপি পাড়া – লুং ফের ভা সাইতার।
অথবা
বান্দারবান – রুমা – বগালেক – কেওক্রাডাং – পাসিং পাড়া – সুংসাং পাড়া – ডাবল ফলস – তারপি সাইতার – থিং দৌলতে পাড়া – সিলোপি পাড়া – লুং ফের ভা সাইতার।
এই রুটে যেসব পাড়া, ঝর্ণা, লেক এবং পাহাড় পাওয়া যাবে –
লুং ফের ভা সাইতার ঝর্ণা এর আসল সৌন্দর্য্য দেখার সময় হল বর্ষা কালে।
প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ছেড়ে যায়। যেমন শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিন – এর যেকোনো একটি বাসে চড়ে আপনি বান্দরবানের যেতে পারেন। রাত ১০ টায় অথবা সাড়ে ১১টার দিকে কলাবাগান, সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে এসব বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নন এসি বাসে জন প্রতি ভাড়া ৫৫০ টাকা। এসি ৯৫০ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দারবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়। এসব বাসে জনপ্রতি ২২০টাকা ভাড়া রাখা হয়।
এবার আপনাকে বান্দরবন হতে চান্দের গাড়ীতে করে যেতে হবে রুমা। রুমা বাজারে থাকার জন্য কিছু হোটেল আছে, তবে দিনের মধ্যেই বগালেক চলে যাওয়া উচিত, রুমা বাজারে অবশ্যই বিকাল ৪ টার মধ্যে পৌছাতে হবে, ৪ টার পরে সেনাবাহিনী আর নতুন কোন চান্দের গাড়ি বগা লেক এর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার অনুমতি দেয় না।
বান্দরাবন থেকে রুমা উপজেলা সদরে যেতে খরচ হবে জন প্রতি ৮০/- অথবা পুরো জীপ ভাড়া করলে ২২০০-২৫০০/- আর রুমা থেকে বগালেক যেতে জনপ্রতি ৮০-১০০/- অথবা পুরো জীপ ভাড়া করলে ২২০০-২৫০০/- পর্যন্ত। বগা লেকে রাত্রি যাপন শেষে রওনা দিন কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। এর পরে একে একে থাইকং পাড়া, থিংদৌলতে পাড়া, সিলোপি পাড়া এবং সবশেষে লুং ফের ভা সাইতার ঝর্ণা।
বগা লেক এ রেষ্ট হাউজ রিজার্ভেশন-এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন (লারাম বম-০১৫৫২৩৭৬৫৫১)। তবে নেটওয়ার্ক স্বল্পতার কারনে বেশীরভাগ সময়ই নাম্বাটিতে সংযোগ করানো যায় না। এখানে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের একটি অত্যাধুনিক রেস্ট হাউজ নির্মাণাধীন রয়েছে। কিছূ দিনের মধ্যেই হয়তো সেখানে রাত্রিযাপন করার সুযোগ ঘটবে পযর্টকদের। এ ছাড়া পাড়া গুলোতে আদিবাসীদের ঘরে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
Leave a Comment