চট্রগ্রাম শহরে যে কয়টি সুন্দর বীচ আছে তার মধ্যে সৌন্দর্যয়ের দিক দিয়ে যদি তুলনা করা যায় তাহলে খেজুরতলা অন্যতম। আপনি যদি একবার যান তাহলেই বুঝতে পারবেন কেন এটি সুন্দর? সত্যিকারের সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে খুব ভোরবেলা/পড়ন্ত বিকেলে। বিকেলের দিকে বীচের সৌন্দর্য দেখার মতো! সহজেই কম খরচে যাতায়াতযোগ্য খেজুরতলা বীচ (Khejurtola Sea Beach) এ আপনি একই সাথে পতেংগা এবং নেভালের পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। বাধের পাথরে বসে আড্ডা দিতে পারেন কিংবা সবুজ ঘাস-বিছানো তীর ধরে হাটতে হাটতে উপভোগ করতে পারেন আশেপাশের জেলেপাড়ার জনজীবন। আর বন্ধুরা মিলে গেলে ফুটবল নিয়ে গেলে তো কথাই নেই, সাগরপাড়েই বিশাল মাঠের মত আছে। খেলাধুলার জন্য অতি উত্তম একটা জায়গা। সন্ধ্যার পর সাগরের ঢেউয়ের সাথে বাতাসের হু-হু আওয়াজ আর সাগরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শয়ে শয়ে জেলে নৌকোর টিমটিমে আলো আর দূর সমুদ্রে স্থবির জাহাজগুলোর সোডিয়াম আলো আপনাকে দিবে অন্যরকম আবহ!
সময় নিয়ে গেলে খেজুরতলা থেকে দক্ষিণদিকে হাটতে হাটতে আধাঘন্টায় পৌছে যেতে পারেন জাইল্লাপাড়া বীচে। এখানটায় পুরা ভিন্ন আবহ! জেলেপাড়ার ব্যস্ততায় মুখর একটা জায়গা! জেলেদের কেউ জাল বুনছে,কেউবা নৌকা মেরামত,বা কেউ মাছ ধরা-বিক্রি কিংবা শুকিয়ে শুটকি বানানোয় ব্যস্ত। সেই সাথে সন্ধ্যায়/রাতে/ভোরের দিকে গেলে অল্প দামেই নিলাম থেকে কিনে নিতে পারেন তরতাজা ইলিশ চিংড়ি কিংবা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ!
চট্রগ্রাম শহরের যেকোন যায়গা থেকে ষ্টীলমিল বাজারে নেমে হাতের ডান দিক বরাবর (দক্ষিণ-পশ্চিম) যে রাস্তা গেছে সেখান থেকে অটোবাইক/রিকশা নিয়ে ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যায় খেজুরতলা বীচ।
Leave a Comment