রিভিউ : ২ দিনের সীতাকুন্ড ও মিরসরাই ট্যুর

ভ্রমন স্থান

১ম দিন : চন্দ্রনাথ পাহাড় + গুলিয়াখালী বীচ + মহামায়া লেকে ক্যাম্পিং
২য় দিন : মহামায়াতে কায়াকিং + সোনাইছড়ি ট্রেইল

যারা রিলাক্স ট্যুরের থেকে এডভেঞ্চার ট্যুর বেশি পছন্দ করেন তাদের লিষ্টে বান্দরবানের পরেই যে নামগুলো আসে তা হচ্ছে সীতাকুন্ড ও মিরসরাই। কারন সিতাকুন্ড, মিরসরাই এরকম জায়গা যেখানে আপনি পাহাড়, সমুদ্র, ঝর্না একসাথে পাবেন এবং খুব স্বল্প খরচে অনেক গুলো স্পট ঘুরা সম্ভব। তাই এবার ২১ ফেব্রোয়ারির বন্ধে প্ল্যান করালাম সীতাকুন্ড ও মিরসরাই যাওয়ার। আমরা ছিলাম ৭ জন। যেহেতু প্রথম দিন (২১শে ফ্রেবোয়ারি) সকালে চন্দ্রনাথে উঠব এবং ওই দিন রাত্রেই মহামায়া লেকে ক্যাম্পিং করব তাই ২০ তারিখ বিকালেই রওনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম যাতে সিতাকুন্ড যেয়ে রাত্রে ঘুমাতে পারি। ট্যুরের প্রায় ১০ দিন পূর্বেই মহামায়া ইকোপার্কের শামীম ভাইকে এডভান্স করলাম এক রাত ক্যাম্পিং করার জন্য। প্রথম দিন রাত্রে থাকার জন্য গেষ্ট হাউজেও বুকিং দিয়ে রাখলাম। ট্যুরের প্রায় ১ সপ্তাহ পূর্বে যখন ফেনীর মহিপালের টিকিট কাটতে কমলাপুর স্টারলাইন কাউন্টারে গেলাম তখন জানতে পারলাম ২০ তারিখের সব টিকিট শেষ। এনা কাউন্টার থেকে বলল প্রতি ১০-১৫ মিনিট পর পর গাড়ী থাকায় তাদের কোন অগ্রীম টিকিট বিক্রি হয় না। তাই যাওয়ার দিন টিকিট কাটার সিন্ধান্ত হল।

প্রথম দিন

বিকাল ৪ টার দিকে যখন কমলাপুরে ফেনীর বাস কাউন্টারে গেলাম তখন কাউন্টারগুলোতে টিকিটের জন্য মারামারি চলছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সরাসরি চট্টগ্রামের বাসে সীতাকুন্ড নামব কিন্তু কমলাপুর থেকে সায়দাবাদ পর্যন্ত সব কাউন্টারে তখন একই গান বাজছিল ”টিকিট নাই”। সিদ্ধান্ত নিলাম সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে লোকালে যাওয়ার। অনেক খোজাখুজির পর এক দালালের মাধ্যমে চিটাগাংগামী লোকাল বাসের টিকিট পাই। ভাড়া জনপ্রতি ৬০০ টাকা। বাসটি টার্মিনালের এত ভিতরে ছিল যে দালাল ছাড়া এ বাসের খোজ পাওয়া অসম্ভব। বাস ছাড়তে ছাড়তে সন্ধ্যা ৭ টা বেজে গেল। বাসের কোয়ালিটি নিয়ে শুধু একটি কথাই বলব, যাত্রা শুরুর প্রায় ১ ঘন্টা পর আমাদের মধ্যে একজনের সিটের পিছনের অংশ ভেঙ্গে পিছনের যাত্রীর গায়ের উপর পড়ে। বাস র্টামিনালের জ্যাম, দাউদকান্দি ব্রীজের জ্যাম সব পার হয়ে যখন সিতাকুন্ড পৌছলাম তখন প্রায় রাত ১.৩০। সবাই গেষ্ট হাউজে উঠে ঘুমিয়ে পড়লাম।

দ্বিতীয় দিন

চন্দ্রনাথ পাহাড়

ভোর ৫ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে সবাই ৬ টার মধ্যে বের হয়ে গেলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। সিতাকুন্ড বাজারের সৌদিয়া হোটেলে সকালের নাস্তা করলাম। সেখানে পরিচয় হল সৌদিয়া হোটেলের ম্যানেজারের সাথে। তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম – তাদের আবাসিক হোটেলের রুম গুলোর ভাড়া সম্পর্কে যেটা খুব একটা বেশি না। তাদের এসি রুম গুলোর ভাড়াও কম। নাস্তা শেষে সি.এন.জি নিলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়ের নীচে যাওয়ার জন্য। যাত্রা পথে বিস্কুট ও স্যালাইন কিনে নিলাম এবং সবার সাথে ছিল একটা করে পানির বোতল। ২০ টাকা (ট্রেকিং শেষে লাঠি ফেরৎ দিলে ১০ টাকা দিয়ে দিবে) দিয়ে লাঠি নিয়ে যখন ট্রেকিং শুরু করলাম তখন বাজে মাত্র ৭.০০ টা। মাত্র ১.২০ মিনিট লাগল আমাদের এ খাড়া পাহাড়টির চূড়ায় পৌছাতে। খুব দ্রুত হাটার কারনে কষ্টও হয়েছিল বেশি। গত বছরের আগষ্ট মাসে একবার চন্দ্রনাথে উঠেছিলাম কিন্তু সেবার মেঘ দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল, দূরের পাহাড় গুলো দেখতে পাইনি। তাই এবার চন্দ্রনাথে উঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল চূড়ায় বসে দূরের সারি সারি পাহাড় দেখা। কিন্তু হতাশ হলাম কারন চূড়ায় উঠে যা দেখতে পেলাম তা অনেকটা কুয়াশার মত মেঘ। মেঘের ভিউ টাও অনেক দারুন ছিল। ঐ সময়ের পরিবেশটা লিখে বা ছবি দেখিয়ে বুঝানো সম্ভব না। না গেলে কখনোই বুঝবেন না চন্দ্রনাথের চূড়া থেকে মেঘ / সারি সারি পাহাড় দেখতে কতটা সুন্দর। কিছুক্ষন পর মেঘের মধ্যে দিয়ে দেখা মিলল বিরুপাক্ষ মন্দিরের চূড়া। যেটা নিঃসন্দেহে এ ট্যুরের শ্রেষ্ঠ ভিউ। চন্দ্রনাথের চূড়ায় প্রায় ১ ঘন্টার মত সময় কাটালাম। অনেক অনেক ছবি তুলার পর যখন ভীড় বাড়তে শুরু করল তখন আমরা ফিরার পথ ধরলাম।

৪০ মিনিটের মধ্যে আমরা চন্দ্রনাথের নীচে নেমে গুলিয়াখালির জন্য সি.এন.জি ঠিক করলাম। ভাড়া ঠিক হয়েছিল আপ-ডাউন ৩৫০ টাকা। গুলিয়াখালী যখন পৌছলাম তখন ঘড়িতে মাত্র ১১.০০। তখন সমূদ্রের পানি বীচ থেকে অনেকটা দূরে ছিল এবং জোয়ার তখন শুরু হয়েছিল। জোয়ারের পানি ঢুকতে ঢুকতে প্রায় ১.০০ বেজে যাবে তাই এতক্ষন অপেক্ষা না করে হালকা নাস্তা সেরে আমরা গেষ্টহাউজে ফিরে যাই। যারা গুলিয়াখালী যাবেন অবশ্যই জোয়ার ভাটার সময়টা জেনে যাবেন। কারন ভাটার সময় এ জায়গায় গেলে আপনি জায়গাটির সৌন্দর্য্যের অর্ধেকটাও পাবেন না। গেষ্ট হাউজে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ি মহামায়া লেকের উদ্দেশ্যে। সিতাকুন্ড বাজারের সৌদিয়া হোটেল থেকেই দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।

গুলিয়াখালী বীচ

সিতাকুন্ড বাজার থেকে লেগুনা নিয়ে প্রায় ৩.০০ টার মধ্যে মহামায়া ইকোপার্কে পৌছে যাই। মহামায়া পার্ক সীতাকুন্ডে আমার অন্যতম ফেভারিট একটা জায়গা। গত আগষ্টে যখন বউকে নিয়ে কায়াকিং করেছিলাম তখন থেকেই জায়গাটির প্রতি ভালবাসার সৃষ্টি হয়। এবার ভিতরে ঢুকার পর ২১ এ ফেব্রোয়ারি উপলক্ষে প্রচন্ড ভীড় দেখে কিছুটা বিরক্ত হই কিন্তু আস্তে আস্তে যখন সন্ধ্যা হতে লাগল এবং ভীড় কমতে শুরু করল, মহামায়া লেক তার আসল রুপে ফিরে এল। দায়িত্বে থাকা লোকদের যখন বললাম আমরা ক্যাম্পিং করার জন্যে এসেছি তখন তারা সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যেই আমাদের ৭ জনের জন্য ২ টি তাবু বুঝিয়ে দিল। সৌভাগ্য ক্রমে সেদিন পূর্নিমা রাত হওয়ায় লেকের পাশে বসে থেকেই অনেকটা সময় পার করে দেই। গল্প, আড্ডার মাঝে রাতের খাবারের সময় হয়ে গেল। রাত্রের খাবার, বারবিকিউ ও সকালের নাস্তা ক্যাম্পিংয়ের ৬০০ টাকার মধ্যেই অর্ন্তভুক্ত ছিল। প্যাকেজে ভাত দেওয়ার কথা থাকলেও ওইদিন আমাদের বিরিয়ানি দেয়া হল। হঠাৎ বিরিয়ানি পেয়ে কতটা খুশি হয়েছিলাম তা একমাত্র বিরিয়ানি লাভারসরাই বুঝতে পারবেন। সারাদিন ঘুরা ঘুরি করে সবাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম তা্ই খাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে গেলাম। রাত্র প্রায় ১২.০০ টার দিকে আমাদের ডাকা হল বারবিকিউ এর জন্য। ঘুম ঘুম চোখে যে বারবিকিউ খেলাম সেটার স্বাদ আজীবন মনে থাকবে।

তৃতীয় দিন

সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে নেমে গেলাম কায়াকিং করতে। আমরা চার জন ৩০.০০ মিনিট কায়াকিং করলাম। ৭.৩০ এর মধ্যে আমাদের সকালের নাস্তা দেওয়া হল। নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম সোনাইছড়ি ট্রেইলের উদ্দেশ্যে। মহামায়া লেকে আমরা খুব দারুন সময় কাটাই। ক্যাম্পিং – এর দায়িত্বে থাকা ভাইয়ারা সবাই অনেক হেল্পফুল ছিল। ঠাকুরদিঘীর বাজার থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই পৌছে গেলাম হাদি ফকিরের হাটে। এখান থেকে গাইড ও সি.এন.জি নিয়ে ট্রেইলের শুরুতে চলে গেলাম। তারপর শুরু হল হাটা পথ। সোনাইছড়ি ট্রেইলে আসার কারন ছিল এ ট্রেইলটিতে বর্ষাকালে প্রচুর পানি থাকে তাই এ সময়টাই পারফেক্ট এবং এ ট্রেইলে আপনি কিছুটা বান্দরবানের ফ্লেভার পাবেন। গাইডকে সামনে দিয়ে কিছুদূর হাটার পর দেখা পেলাম ঝিরিপথ ও বড় বড় পাথরের। এই ট্রেইলের পুরোটাতেই আপনি ছোট বড় অনেক পাথরের দেখা পাবেন যা আপনাকে বান্দরবানের কথা মনে করিয়ে দিবে। আস্তে আস্তে যত সামনে এগোতে থাকলাম মনে হচ্ছিল অন্যরকম এক দুনিয়ায় ঢুকে যাচ্ছি। কিছু কিছু জায়গা পার হতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বড় বড় পাথর পার হয়ে একটা সময় আমরা ট্রেইলের শেষ মাথায় ঝর্নার কাছে পৌছে যাই। ঝর্নায় পানি খুবই কম ছিল কিন্তু তারপরও আমরা গোসল করি। ঝর্নার পাশে কিছু সময় কাটিয়ে আমরা অন্যএকটি পাহাড়ি পথ ধরে হাদি ফকিরের হাট ফিরে আসি। তখন মাত্র ১.৩০ বাজে। সেখান থেকে একটা লোকাল বাসে চড়ে আমরা ফেনী যাই এবং ফেনীতে দুপুরের খাবার খাই। ফেরার সময় এনা বাসের টিকিট কাটি এবং মাত্র ৩ ঘন্টায় ঢাকা চলে আসি।

মহামায়াতে কায়াকিং

খরচ

পুরো ট্যুরে আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছিল ২৫৪৫ টাকা। যাওয়ার সময় অতিরিক্ত বাস ভাড়া না লাগলে ২৩০০ টাকায় হয়ে যেত। যারা যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের জন্য খরচের একটা আনুমানিক হিসাব নিচে দিয়ে দিলাম।

  • বাস: ঢাকা – সিতাকুন্ড – নন এসি ৪৭০ টাকা
  • ঢাকা – ফেনী, মহিপাল – নন এসি ২৭০, এসি – ৩৫০ (স্টারলাইন) ৪০০/৩৫০ (এনা) — কমলাপুর, সায়দাবাদ থেকে প্রতি ১৫-২০ মিনিট পর পর বাস আছে
  • ফেনি মহিপাল হতে সিতাকুন্ড বাজার – ৬০ – ৮০ টাকা
  • ট্রেন – চট্টগ্রাম মেইলে সিতাকুন্ডের ভাড়া – ১২০

সীতাকুন্ডে হোটেল

৪-৬ টি হোটেল আছে সিতাকুন্ড বাজারে (সাইমুন, সৌদিয়া, জলসা, সন্দিপ)। শুক্র, শনি বাদে গেলে এবং দামাদামি করলে ভাড়া কমে পাবেন। সবগুলো হোটেলেই খুব কাছাকাছি। ফ্রেন্ডসার্কেল গেলে এক রুমে যদি ৩/৪/৫ জন থাকেন তাহলে ভাড়া হতে পারে ৮০০-১২০০। সৌদিয়ার এসি রুমগুলো ট্রাই করে দেখবেন।

সোনাইছড়ি ট্রেইল

ক্যাম্পিং ও কায়াকিং খরচঃ

ক্যাম্পিয়ের জন্য আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছিল ৬০০ টাকা যার মধ্যে ছিল একরাত থাকার তাবু, রাতের খাবার, বারবিকিউ ও সকালের নাস্তা। হোটেলে থাকার চেয়ে ক্যাম্পিং করাটাই আমার কাছে ভাল মনে হয়েছে কারন হোটেলে একরাত থাকতে গেলেও জনপ্রতি ২৫০ – ৩০০ টাকার মত খরচ হত তার সাথে খাবার খরচ এড করলে ৫০০+ হয়। অন্যদিকে ৬০০ টাকায় ক্যাম্পিং করাটা অনেক উপভোগ্য ছিল।

  • মহামায়া লেকে এন্ট্রি টিকিট – ২০ টাকা।
  • কায়াকিং খরচ – ৩০ মিনিট – ২০০ টাকা ও ১ ঘন্টা – ৩০০ টাকা। ছাত্রদের/ছাত্রীদের জন্য কায়াকিং-এ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে।

এন্ট্রি টিকিট ও কায়াকিং খরচ ক্যাম্পিং খরচের মধ্যে অন্তভুর্ক্ত নয়।

খাবার খরচ

  • সকালের নাস্তা – ৩০-৪০ টাকা
  • দুপুরের খাবার – ৬০ – ১০০ টাকা
  • রাত্রের খাবার – ৬০ – ১০০ টাকা
  • সারাদিনের জন্য টুকিটাকি নাস্তা – ৫০ – ৬০ টাকা।

অভ্যন্তরীন যাতায়াত

  • সিতাকুন্ড বাজার থেকে চন্দ্রনাথ – জনপ্রতি ১৫ টাকা (সি.এন.জি)
  • চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে গুলিয়াখালি – আপ, ডাউন – ৩৫০ টাকা (সি.এন.জি)
  • সিতাকুন্ড বাজার থেকে ঠাকুরদিঘীর বাজার – জনপ্রতি – ৪০ (লেগুনা)
  • ঠাকুর দিঘীর বাজার হতে মহামায়া গেট – জনপ্রতি ১৫ (সি.এন.জি)
  • ঠাকুরদিঘীর বাজার হতে হাদী ফকিরের হাট – জনপ্রতি – ২০ (লেগুনা)
  • হাদী ফকিরের হাট হতে সোনাইছড়ি ট্রেইলের শুরু – জনপ্রতি ১৫ টাকা (সি.এন.জি)
  • হাদী ফকিরের হাট হতে ফেনী – জনপ্রতি – ৪০ টাকা (বাস)

সোনাইছড়ির গাইড – ৫০০ টাকা (বকশিস সহ)

এবার আপনি আপনার রুট প্ল্যন, খাওয়ার ধরন, ঢাকা থেকে যাতায়াতের মাধ্যম অনুয়ায়ী খরচ হিসাব করে নিন। চট্টগ্রাম মেইলে যাতায়াত করলে সেইম ট্যুর ১৫০০-১৭০০ টাকার মধ্য়ে হয়ে যাবে।

বিঃদ্রঃ

  • গুলিয়াখালী যাওয়ারে পূর্বে অবশ্যই জোয়ার ভাটার সময় জেনে যাবেন।
  • চন্দ্রনাথ, সোনাইছাড়ি, খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া ইত্যাদি স্পটগুলি ট্রেকিং করার জন্য গুলিস্থান থেকে পিয়ারসন অথবা পেগাসাসের ট্রেকিং জুতা কিনে নিতে পারেন। দাম পড়বে ১৩০/১৪০ টাকা।
  • শুক্রবার, শনিবার বাদে যাওয়ার প্লান করুন। কম দামে হোটেল পাবেন। শুক্রবার প্রচুর ট্রাভেলার চন্দ্রনাথে ভ্রমনে যায় তাই এই দিনটিতে না যাওয়াই ভাল।
  • ৫/৬ জনের গ্রুপ পারফেক্ট কারন সেখানে প্রায় সব জায়গাতে যাওয়ার জন্য আপনাকে সিএনজি নিতে হবে।
  • এক রাত থাকার প্ল্যান থাকলে মহামায়াতে ক্যাম্পিং করার চেষ্টা করবেন। ক্যাম্পিং করলে অবশ্যই রাত ১.০০/২.০০ টা পর্যন্ত জেগে থাকার প্রিপারেশন রাখবেন।
Leave a Comment
Share