চট্টগ্রাম

সোনাইছড়ি ট্রেইল

সোনাইছড়ি ট্রেইল (Sonaichhari Trail) চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই পাহাড় রেঞ্জ এর হাদি ফকিরহাট বাজার এলাকায় অবস্থিত যা ডে ট্রিপের জন্যে আদর্শ একটি জায়গা। এই ট্রেইল বারৈয়াঢালা অভয়ারণ্যের আওতাভুক্ত। বৈচিত্র্যময় এই ট্রেইল পুরোমাত্রায় বুনো এবং পাথুরে! বর্ষায় এর দূর্গমতা বেড়ে যায় অনেক বেশি। তিন্দুর মত বড় বড় পাথর, বাদুজ্জাকুমের ভয়াবহতা টেনে নিয়ে যায় অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের। বৃষ্টি বা বর্ষায় বেশ পিচ্ছিল হয়ে যায় পাথরের বড় বড় বোল্ডারগুলো। খাড়া পাহাড়, পিচ্ছিল ঝিরি পথ, বাদুড় ভর্তি বাদুইজ্জাখুম এবং ট্রেইলের শেষ মাথায় সোনাইছড়ি ঝর্না পাবেন এই ট্রেইলে। চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে সুন্দর ট্রেইল এটাই যার দৈর্ঘ্য ২৮ কিলোমিটার। এই ট্রেইলের বাদুইজ্জাখুম বা বাঁদুরে কুম এক সংকীর্ণ অথচ বিস্তৃত গভীর কুম, যার দুপাশের পাথুরে দেয়াল খাড়া ১০০-১৫০ ফুট উচু! উপরের গাছপালা ঠিকরে আলো তেমন আসেনা, ভেতরে হাজার হাজার বাঁদুরের ডানা ঝাপ্টানো আর কিচকিচ চিৎকারে কান পাতা দেয়! আর সেইরকম বাজে গন্ধ সৃষ্টি করে রেখেছে ভয়াবহ এক ভুতুরে আবহ!

সোনাইছড়ি কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে উঠে হাদি ফকিরহাট বাজারে নেমে যেতে হবে। এছাড়া ট্রেনে চড়ে সীতাকুণ্ড নেমে হাদি ফকিরহাট আসা যায়। সেখান থেকে হাদি ফকিরহাট জামে মসজিদ এর গলি ধরে হেঁটে অথবা সিএনজি নিয়ে বড়-পাথর যেতে হবে। সেখান থেকেই ট্রেইল শুরু। হাদি ফকিরহাট গ্রাম শেষে পাহাড়ের শুরু থেকে সোনাইছড়ি ট্রেইল এর শেষ পর্যন্ত সময় লাগবে পারে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এক দিনেই এই এলাকা ঘুরে দেখা সম্ভব।

কোথায় থাকবেন

এই ভ্রমণ একদিনের তাই থাকার দরকার পড়বে না তবু নিতান্তই রাতে থাকতে চাইলে মীরসরাই বা সীতাকুন্ডে নিন্মমানের হোটেল পাবেন। সীতাকুণ্ড বাজার গেলে সেখানে হোটেল সাইমুন আছে। ভালো হোটেলে থাকতে চাইলে চট্টগ্রাম চলে যেতে হবে।

সোনাইছড়ি ভ্রমনে সাথে যা নিতে হবে

  • ছোট ব্যাকপ্যাক
  • অতিরিক্ত ১ সেট ড্রেস
  • ভালো গ্রীপ করে এমন বেল্টসহ জুতা (চামড়ার জুতা, কনভার্স, কেইডস পরে যাওয়া উচিত না)
  • থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট
  • গামছা
  • ক্যাপ
  • পানির বোতল
Leave a Comment
Share