ভুটানে তিন রাতের পরিকল্পনাই আদর্শ। যাঁরা প্লেনে যাতায়াত করেন, তাঁদের কাছে মূল আকর্ষণ রাজধানী থিম্পু, পারো এবং পুনাখা। যাঁরা বাই রোডে যাতায়াত করেন তাঁরা সীমান্ত শহর ফুনসোলিংটাও বেড়িয়ে নেন।
প্রথম দিনঃ
বিমানে ঢাকা থেকে পারো নেমে চলে আসুন থিম্পু। হোটেলে চেক ইন করে পুনাখা যাওয়ার পারমিটের জন্য আগে আবেদন করে নিন। ভুটানে গেলে শীতের পোশাক নেবেন। থিম্পুতে দেখবেন পাহাড়ি নদী, বৌদ্ধ মন্দির, রাজপ্রাসাদ, ন্যাশনাল মেমোরিয়াল স্তুপা, বিবিএস টাওয়ার, সেক্ষেনারি ফার্মাস মার্কেট, জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ন্যাশনাল পার্ক, টাকিন চিড়িয়াখানা, ফুল আর আপেলের বাগান। থিম্পুতে থাকুন হোটেল নরলিং, টিটি, সিঙ্গে, জেই জ্যাং, তাশি ডেলেক, দ্রুক হোটেলে।
দ্বিতীয় দিনঃ
যাত্রা করুন পুনাখায়। পারমিট জোগাড়ে ঝক্কি তেমন নেই। আবেদন করার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই মিলে যায়। থিম্পু থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে পুনাখা। পুনাখায় পৌঁছে দেখবেন পাথরের ছড়াছড়ি। আছে ঝুলন্ত ব্রিজ আর ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা নদী। একদিন সময় বেশি হাতে থাকলে তাকসাং মনাস্ট্রিতে ট্রেকিং করতে পারেন।
তৃতীয় দিনঃ
পারো শহর যান। ভুটানের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পারোতে। ভুটান ভ্রমণ পারো থেকেই শুরু হবে এবং পারোতেই শেষ হবে। পারো থেকে থিম্পুর দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। এখানে দেখতে পাবেন গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। পাচু নদীর ওপর কাঠের ব্রিজটাও বিখ্যাত। এখানকার জাদুঘরেও যেতে পারেন।
ঢাকা থেকে প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি, সোম আর বুধবার ভুটানের পারো শহরে দ্রুক এয়ারওয়েজের ফ্লাইট আছে। একই দিনগুলোতে পারো থেকেও ঢাকা ফিরতি ফ্লাইট আছে। ফলে শুক্র বা শনিবার যাত্রা করে সোম বা বুধবার ফিরে আসতে পারেন। ভারতের ট্রানজিট ভিসা থাকলে কলকাতা থেকেও যাতায়াত করতে পারেন। রবিবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাতে কলকাতার এসপ্লানেড বাসস্ট্যান্ড থেকে ভুটানের সীমান্ত শহর ফুনসোলিংয়ে বাস যায়।
পারোতে ভুটান পর্যটনের হোটেল ওলাথাং, জ্যামিলিং, সামদেন চোলিং, টাইগার নেস্ট, জুরমি দোরজি এবং পুনাখায় কুয়েং, রিলাক্স ইন, ওয়েলকাম, ডামচেন রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য।
ভ্রমণের সময় সঙ্গে পানি ও শুকনো খাবার সব সময় কিছু না কিছু রাখবেন। অনেক সময় পাহাড়ি পথে খাবার কিছুই পাওয়া যায় না।
বর্ষার দুই মাস বাদে সারা বছরই ভ্রমণ করা যায়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বিভিন্ন উৎসব হয়। এ সময় নানা দেশ থেকে পর্যটকরা আসে।
ভুটানে তিন দিনের ট্যুরে থাকা, খাওয়া, প্লেনভাড়াসহ ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ পড়বে।
Leave a Comment