চট্টগ্রাম

চালন্দা গিরিপথ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ন চালন্দা গিরিপথ (Chalanda Giripath) যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭’শ ৫৩ একর আয়তনের মধ্যেই অবস্থিত। এডভাঞ্চার আর ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের ভ্রমণভাণ্ডারে এখন নতুন নাম চালন্দা গিরিপথ। তাইতো প্রতিদিনই দলবদ্ধ হয়ে নানান দল পাড়ি জমাচ্ছে এই নৈসর্গিক গিরিপথের দিকে।

চালন্দা গিরিপথের পাহাড়ের গাঁ বেয়ে পানি নামার কারনে কোথাও ভেজা, কোথাও শুকনো। গিরিপথের ভেতরে ঢুকতেই শরীরটা কেমন যেন হিমশীতল হয়ে উঠবে। দুই পাহাড়ের মধ্যে হাত ও পায়ের সমন্বয়ে এগিয়ে যেতে হয়। দুই পাশে পাহাড়ের খাঁজ। কোথাও পাহাড়ের খাড়া ঢাল বেয়ে যেন নেমেছে রোদ। খাঁজে খাঁজে রোদের বর্ণিল চিত্র। কোথাও কুয়াশার মতো আবছা আঁধার। তবে এসবের ভেতরেও কানে আসবে পাখির কিচিরমিচির। গিরিপথে প্রায় আধ কিলোমিটার ঝুঁকিহীনভাবে এগিয়ে যাওয়া যাবে। আরেকটু ভেতরের দিকে যেতেই মনে হতে পারে একটা ভূতুড়ে পরিবেশে এসে পড়েছেন। পথচলাও কঠিন হয়ে উঠবে। ক্রমেই বাড়বে ঝুঁকি। একটু অসতর্ক হলে ঘটতে পারে বড় রকমের বিপদ। তাই চলতে হবে বেশ সাবধানে।

যাওয়ার উপায়

চট্টগ্রামের বটতলী ষ্টেশন/ষোলশহর ষ্টেশন হতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ট্রেনে করে চলে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ভার্সিটির ষ্টেশন হতে অল্প একটু হাটলেই জিরো পয়েন্টে। জিরো পয়েন্ট হতে টমটম করে কলার ঝুপড়ি চলে যান। ভাড়া পড়বে ৫টাকা। ঝুপড়ির পিছনের রাস্তা ধরে নির্বিঘ্নে হাঁটা শুরু করুন ১ ঘন্টার জন্য। কলার ঝুপড়ি হতে ৬/৮ মিনিট হাঁটার পরই পাবেন পানির ছড়া। পানির ছড়া ধরে সোজা হাঁটতে থাকুন গিরিপথ এর উদ্দেশ্যে।

সাবধানতা

কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করে যাওয়া প্রয়োজন। যেহেতু পুরো টাই পানি পথে ট্রেকিং তাই প্রথমেই জুতার ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। খালি পায়ে ট্রেকিং করবেন না, বন্য কাঁটা আছে। সাথে খাবার পানি এবং কিছু শুকনো খাবার রাখা ভালো। আর ভূল করেও অন্যদের মত খাবার শেষে ময়লা বা পানির বোতল ফেলে আসবেন না।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ chalandachittagongcugiripath