মিরিক সাবডিভিশনের গোপালধারা টি এস্টেট (Gopaldhara Tea Estate) দার্জিলিং এর সুস্বাদু এবং সুগন্ধী চা বাগানগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে তৈরী এই বাগানের চা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চা প্রিয় মানুষের রসনাতৃপ্তি করে আসছে। সারা পৃথিবী জোড়া খ্যাতি এই চায়ের। সবুজ পাইন পথে বেয়ে চলা রাস্তা আর সৃদৃশ্য চা বাগানটি এখন টুরিস্টদেরও অন্যতম আকর্ষণ। গোপালধারা একটি ছোট্ট পাহাড়ী জনপদ। শুরুর দিকে মূলত চা শ্রমিকদের বসবাস ছিলো এই গ্রামে। ধীরে-ধীরে এই অঞ্চলের সৌন্দর্য এবং সারাবছর মনোরম আবহাওয়ার কারণে ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনা লক্ষ করে এখন অনেকগুলি হোমস্টে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় মানুষদের উষ্ণ আতিথিয়তা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন এই গোপালধারা। আকৃতিগত কারণে গোপালধারার চা বাগানটি দেখতেও অন্য বাগানগুলির থেকে আলাদা।
মূলত দার্জিলিং যাওয়ার পথে কিংবা দার্জিলিং থেকে মিরিক যাওয়ার পথে সাইটসিইং এ বেশি মানুষ এখানে আসেন। তবে একেবারে নিরিবিলিতে এবং দার্জিলিং এর ভীড় এড়িয়ে সবুজের মাঝে যারা নিশ্চিন্ত অবসর কাটাতে চান তাদের ঘুরতে যাওয়ার পরবর্তী গন্তব্য অবশ্যই গোপালধারা হতে পারে। হোমস্টেতে আধুনিক সুবিধাযুক্ত সেবা আপনার থাকাকে করে তুলবে আরও মসৃণ। টি ট্যুরিজমে এক নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে গোপালধারা ভ্রমণ, নিউ ডাইমেনশন টু রুরাল টুরিজম বলা যেতে পারে। চা বাগানের পথ ধরে দেখে নিন চা চাষ এবং চা তৈরীর বিভিন্ন প্রণালী। চায়ের ফ্যাক্টরী ভিজিট করেই এই বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়া যায়। কাছেই রয়েছে মিরিক লেক, মোনাস্ট্রি যা দিনেদিনেই ঘুরে নিতে পারেন। বোটিং করতে পারেন মিরিক লেকে। চাইলে ঘোড়ায় চড়েও ঘুরতে পারেন লেকের চারপাশ। এছাড়া টুকটাক কেনাকাটা করে নিতে পারেন মিরিক থেকে। এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন নেপালের পশুপতি বাজার থেকেও। এছাড়া দার্জিলিং, টাইগার হিল, জাপানিজ টেম্পল, বুদ্ধিস্ট মোনাস্ট্রি সবই ঘুরে আসা যায় দিনে দিনে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গোপালধারার দূরত্ব ৬৮ কিমি। গাড়ীতে সময় লাগে ঘন্টা তিনেক। গাড়ী ভাড়া আনুমানিক ৩০০০/- টাকা। চাইলে দার্জিলিং কিংবা মিরিক থেকেও যেতে পারেন।
সামিনদ্রা হোম স্টেতে থাকার ও খাওয়ার খরচ জনপ্রতি প্রতিদিন ১৫০০ রুপী। যোগাযোগ – বিকাশ গুরুং (7063380258/ 8944817515)
Leave a Comment