ডুয়ার্স

ডুয়ার্স (Dooars), শিলিগুড়ি শহর থেকে সামান্য দূরেই রয়েছে এই অসাধারন এক ট্র্যাভেল ডেস্টিনেশন। ডুয়ার্স ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ভূটান সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। ডুয়ার্স পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও আসাম রাজ্যের সংলগ্ন এলাকায় এবং পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানকার বসবাসকারী মানুষজনেরা বাংলা, আসমিয়, নেপালি ভাষা বলে। ডুয়ার্স বিগত দুই দশক ধরে একটি খুব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র নামে খ্যাতি লাভ করেছে।

ছোটো বড় পাহাড়। পাহাড়ি রাস্তা এঁকে বেঁকে মিশেছে দূরের পাহাড়ে। আঁধো আলো পরিবেশ। কুশায়ার কারণে স্পষ্ট করে সবকিছু দেখা যায় না। তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে শাল, সেগুন গাছ। এখানে-ওখানে দু-একটা ঘরবাড়ি। সবকিছু মিলিয়ে ডুয়ার্সের পরিবেশ নিঝুম, নিরিবিলি। অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ডুয়ার্স অন্যতম বেড়াতে যাওয়ার ঠিকানা। ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক রূপ বারবার জায়গা করে নেয় সাহিত্যে। সমরেশ মজুমদারের “কালবেলা” নিশ্চয় অনেকে পড়ে থাকবেন। চারদিকে সবুজে ঢাকা পাহাড়। ঠান্ডা মনোরম পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন।

Dooars কথার অর্থ দুয়ার বা দরজা। ব্রিটিশ আমলে সেখানকার নাম হয় ডুয়ার্স। প্রকৃতির সৌন্দর্য তো আছেই, তাছাড়াও সেখানে রয়েছে চাপরামারি, গজলডোবা, বক্সা টাইগার রিসার্ভ, বক্সা ফর্ট, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চেলসা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, রাজাভাতখাওয়া, বিন্দু, হাসিমারা, গোঁরবাতান, ঝালংয়ের মতো সুন্দর জায়গা। প্রথমেই ঘুরে দেখুন গোরুমারা / গরুমারা আর চাপরামারি। সেখানে রয়েছে অভয়ারণ্য। ১৯৪৯ সাল থেকে এটি অভয়ারণ্য, এর আগে অবশ্য তা শিকার করা প্রাণীদের সংরক্ষণকেন্দ্র ছিল। গোরুমারা জঙ্গলে ক্যাম্প করতে পারেন। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবে। কিছু সময় সেখানে কাটিয়ে বেরিয়ে পড়ুন ডুয়ার্সের উদ্দেশে।

ডুয়ার্স উত্তরবঙ্গে অবস্থিত একটি সুনামধন্য পর্যটন কেন্দ্র। ডুয়ার্স ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ভূটান সংলগ্ন আলাকার অবস্থিত। ডুয়ার্স পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও আসাম রাজ্যের সংলগ্ন এলাকায় এবং পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানকার বসবাসকারী মানুষজনেরা বাংলা, আসমিয়, নেপালি ভাষা বলে। ডুয়ার্স বিগত দুই দশক ধরে একটি খুব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র নামে খ্যাতি লাভ করেছে। এখানকার বিশেষ কিছু জায়গা হলো – বক্সা টাইগার রিসার্ভ, বক্সা ফোর্ট, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চেলসা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, রাজাভাতখাওয়া, বিন্দু, হাসিমারা, গোরুবাথান ইত্যাদি।

চালসা গৌরীগাঁও

লাটাগুড়ি গরুমারা তো রিসোর্টের মেলা। ৩১ নাম্বার জাতীয় সড়কের দুইধারে তো রিসোর্ট, হোটেলের মেলা। এর বাইরে যদি একটু অফবিট সবুজ খোঁজেন তাহলে ঠিকানা হলো লাটাগুড়ি গরুমারা থেকে ২০ কিমি আগে (মালবাজারের দিকে) চালসা। সেখান থেকে ১ কিমি উপরে গৌরীগাঁও। ছোটো এক অফবিট জনপদ। কিন্তু চারিদিকে সবুজের মেলা। সবুজের কোলেই থাকবেন আক্ষরিক অর্থে। পায়ে পায়ে ঘুরে নেবেন কিলকূট চা বাগান, হিলটপ। হিলটপ থেকে দেখবেন চাপড়ামারী ফরেস্টের উপরের অংশ এবং চালসা ভিউ পয়েন্ট থেকে প্রকৃতি।

গোরুবাথান এবং ফাগু

নিউ মাল স্টেশন থেকে নেমেই চলে যান গোরুবাথান। বাজার পেরিয়ে ২ কিমি গেলেই চারিদিকে পাহাড় এবং এক অপূর্ব নদী। নাম চেল খোলা। এটি একটি পিকনিক স্পট। পাহাড়ে ঘেরা খরস্রোতা চেল নদীর ধারে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দিন বুঝতেই পারবেন না। চেল খোলা থেকে সোজা এক কিমি গেলেই ফাগু গ্রাম। এক মনাসট্রি আছে। নাম। ফাগু মনাসট্রি। এরপর এই রাস্তা ধরেই চলে যাওয়া যায় ঝান্ডি, লাভা। সে আর আরেক সার্কিট।

ঝালং বিন্দু পারেন

লাটাগুড়ি চালসা হয়ে খুনিয়া মোড় থেকে ঘুরে আসা যাক ভুটানের সীমান্তে। ঝালং, বিন্দু, পারেন গ্রাম থেকে। ঝালং একটি অপূর্ব সুন্দর গ্রাম। ঝালং খোলা এবং রঙ্গু খোলা নিয়ে বাস। দূর থেকে দেখা যায় ভুটান। এখানে এক মনাসট্রি আছে। ঝালং দিয়েই বয়ে চলেছে জলঢাকা নদী। ঝালং খোলা এবং রঙ্গু খোলা জলঢাকা নদীতেই মিশেছে।

ঝালং থেকে যাওয়া যাক ছবির মত গ্রাম পারেন। ১২ কিমি দূরত্ব। পারেন থেকে আর একটু এগোলেই ভারতের শেষ গ্রাম বিন্দু। এরপরই ভুটান সীমান্ত। বিন্দুতে আছে জলঢাকা জলবিদ্যুৎ ব্যারেজ। ওপারেই ভুটান। অনেক সময় হেঁটেও ঘুরে আসা যায়। ভুটান থেকে ভুটানিরা হেঁটেই বাজার করতে চলে আসে।

সামসিং সুলতানাখোলা রকি আইল্যান্ড

লাটাগুড়ি গরুমারা হয়ে চালসা মোড় সেখান থেকে মেটেলি হয়ে প্রথমেই যাওয়া যাক চা বাগানের গ্রাম সামসিং। কালিমপং জেলায় সামসিং, রকি আইল্যান্ড এবং সুলতানে খোলা। চারিদিকে সবুজ চা বাগানের। মধ্যে সামসিং গ্রাম।

সামসিং পেরিয়ে মিনিট কুড়ির পথ রকি আইল্যান্ড। মূর্তি নদী এখানে বড় বড় পাথরের মধ্যে এক অপূর্ব সুন্দর মনোরম ট্যুরিস্ট স্পট তৈরী করেছে। বর্ষায় কিছুটা বিপদজনক। অন্য সময় পিকনিক এবং জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট রকি আইল্যান্ড। ঘন্টা খানেক সময় কিভাবে বেরিয়ে যাবে ধরতেই পারবেন না।

রকি আইল্যান্ড পেরিয়ে চলুন কমলালেবুর দেশ সুলতানে খোলা। ঝুলন্ত ব্রীজের জন্য সুলতানে খোলা বিখ্যাত। আর শীতকালে হাতের নাগালে কমলালেবু দেখতে/খেতে চাইলে সুলতানে খোলা আসতেই হবে। আসলে কমলা লেবু (সুনতালা) আর ছোটোনদী (খোলা) নিয়ে সুলতানেখোলা।

চেইল খোলা

রকি আইল্যান্ড ছেড়ে এবার এগিয়ে চলুন চেইল খোলার উদ্দেশ্যে। একঘন্টায় পৌঁছে যাবেন তবে রাস্তা খুব একটা ভালো নয়। যখন পৌঁছবেন মন একেবারে জুড়িয়ে যাবে। রূপে কেউ কারো থেকে কম নয়, যেন বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা। চেইল, নদীটার নাম আর খোলা মানে নদী। নদীর দুধারে সবুজ গালিচা পাতা তার পারের দুই ধারেই সবুজ পাহাড়, মাঝখান দিয়ে খিল খিল করে হাসতে হাসতে চেইল নামের দুরন্ত মেয়েটা ছুটে চলেছে। চেইল খোলার একটা রাস্তা গেছে ফাফার খেতির দিকে আর একটা ঝান্ডির দিকে।

এখানেও Homestay আছে। ভাড়া, থাকা খাওয়া নিয়ে ১০০০ থেকে ১২০০ প্রতি দিন প্রতি জন।

ডামডিম

মূর্তি থেকে ২০ কি মি রাস্তা, সময় নেবে ৪০ মিনিট, ভাড়া ১৫০০ টাকা। NH17 থেকে আট কিমি পশ্চিম ডামডিম রিসর্ট। ডামডিম হাতিদের আবাসন। শিলিগুড়ি থেকে এখানে আসতে গাড়ি ভাড়া লাগে ২৫০০ টাকা। এখানে একটাই রিসর্ট আছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম এর। প্রায় ৫০ একর জমি জুড়ে এই রিসোর্ট, চার পাশে তারকাঁটা বেড়া আর বিদুৎ বাহিত তার লাগানো, ভিতরে গোটা সাতেক কটেজ, থাকার ভাড়া ৮৫০ করে রুম, দুজন তিনজন থাকতে পারে। এখন থাকা খাওয়া দিন ও জন প্রতি ১০০০ টাকা। NJP ৫৫ কি মি গাড়িতে, সময় নেয় দেড় থেকে দু ঘণ্টা। মালবাজার স্টেশন ৮ কি মি। গাড়িতে ভাড়া পাঁচশো। রাত্রিটা যদি পূর্ণিমার রাত্রি হয়, আকাশে ছেড়া মেঘেদের ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে যদি চাঁদ দেখা যায়,তবে ডামডিম কে তার আসল রূপে পাওয়া যাবে। সারা রাত ওয়াচ টাওয়ার এ বসে নেওঁড়া নদীর পাড়ে হাতির পাল দেখা। ডামডিম চা বাগানে হরিণ দের আনাগোনা, আকাশে চাঁদের সাথে মেঘেদের হুটোপুটি আর নেওঁড়া নদীর খিল খিল হাসি, দেখে মন জুড়িয়ে যাবে। দূর থেকে ভেসে আসা মাদলের তাল, র্পূণিমার রাতে রূপালী জল-জ্যোত্‌স্নায় ধুয়ে যাওয়া ডামডিম এর চারপাশ, আপনাকে পুরোপুরি চন্দ্রাহত করেই ছাড়বে।

ডামডিম এর প্রকৃতি খুব অদ্ভুত। এখানে বছরের তিন মাস গরম থাকে তাও আবার সর্বাধিক ৩২ ডিগ্রী আর রাত্রে অনেকটাই কমে যায়। শীত কালে রাত্রে তিন চার এ নেমে যায়। বর্ষায় বৃষ্টিরা বাসা বাঁধে এখানে। বর্ষার আকর্ষণ এই শান্ত নেওঁড়া নদীর যৌবনের উপচে পড়া রূপ। আর সবুজের সমারোহ। শরতে এই রিসোর্ট সেজে ওঠে স্থল পদ্ম ফুলে। শীতের কুয়াশারা আশ্রয় খোঁজে এর চা বাগানের কোলে। ডামডিম আপনাকে দিনে ঘুম পারাবে কিন্তু রাত্রে জাগিয়ে রাখবে,এটাই তার এক বন্য ভালবাসা।

ছাওয়াফেলি

এই ছাওয়া ফেলি মানে হচ্ছে ছাওয়াল ফেলার জায়গা। পুরনো আমলে মৃত বাচ্চাদের এখানেই ফেলা হতো বিশেষ করে অবৈধ সন্তানদের। চা বাগানের শ্রমিকদের উপর কম অত্যাচার তো হয় নি সেই সাহেবি যুগে। এখানে খুব ভোরে আর বিকেলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর, ময়ূরী আসে। চা গাছের ঝোপে এদের বাসা। এখানেই এদের ঘর সংসার। ঘণ্টা দুই থাকলেই অনেক কিছু পাওয়া যাবে তবে হ্যাঁ এখানে দিনের বেলাতেও হাতির দর্শন পাওয়া যায়। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকেও দেখা যায়। পুরো রাস্তাটাই চা বাগানের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে গেছে। উচু নিচু এই পথে হঠাৎ হাতিদের দর্শন পাওয়া যায়।

কখন যাবেন

জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্ক বন্ধ থাকে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার কল্যাণপুর থেকে এসআর, শ্যামলীসহ আরো কিছু পরিবহনের বাসে বুড়িমারী যাওয়া যায়। ভাড়া ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ওপার থেকে টাটাসুমোয় লাটাগুড়ি পৌঁছতে লাগে তিন ঘণ্টা। ভাড়া তিন হাজার টাকা। শেয়ারের জিপে জনপ্রতি ভাড়া ৩৫০ টাকা। এক রাত লাটাগুড়ি তো আরেক রাত চাপরামারিতে থাকতে পারেন। লাটাগুড়ির গরুমারা জঙ্গল ক্যাম্পে থাকতে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের (জলপাইগুড়ি) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বন বিভাগের আবাসে ভাড়া এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া অনেক হোটেলও আছে। আটজনের একটি ভ্রমণদলের দুই দিনে জনপ্রতি খরচ হতে পারে ১০ হাজার টাকা।

অথবা কলকাতা থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে পারেন নিউ জলপাইগুড়ি।

কোথায় থাকবেন

চালসা এবং গরুমারার জঙ্গলে ঢোকার গেটের মাঝখানে জঙ্গল এবং বড়দিঘি চা বাগান। এর মাঝখানেই টিলাবাড়ি। সেখানেই তৈরি হয়েছে রেস্তোরাঁ, পানশালা এবং সময় কাটানোর জায়গা। এর পরেই রয়েছে পশ্চিম ডামডিম। আপালচাঁদ এবং তার ঘেরা জঙ্গলে তৈরি হয়েছে কেন্দ্রটি। দুই শয্যার সুন্দর আটটি কটেজ, রেস্তোরাঁ এবং বন্যপ্রাণীদের দেখার জন্য তৈরি হয়েছে ওয়াচটাওয়ারও। একই ভাবে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মালবাজার ও চালসার মাঝে সাথকিয়া কেন্দ্রটি। পাশেই রয়েছে নেওড়া এবং সাথকিয়া নদী। মেটেলির ছোট ছোট পাহাড়। এখানে রেস্তোরাঁ, শৌচাগার, ফুডকোর্ট, শিশুদের জন্য পার্কও থাকছে। একই ব্যবস্থা করা হয়েছে নদী, চা বাগান ঘেরা ইনডং এ। চালসা এবং মেটেলির মধ্যে কেন্দ্রটি তৈরি রয়েছে। এ ছাড়া চালসা লাগোয়া মঙ্গলবাড়িতে তৈরি হয়েছে ছ’টি দুই শয্যার কটেজ, একটি আট শয্যার ডরমেটরি। রেস্তোরাঁ ছাড়াও থাকছে নানান সুযোগ সুবিধা।

আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন বেশ কিছু হোম স্টে তৈরি হয়েছে সরকারি উদ্যোগে এবং এর নাম দিয়েছে ব্লু হোম স্টে। আলিপুরদুয়ার জেলা পর্যটন দপ্তরই বিষয়গুলির দেখভাল করেছে। তৈরি হয়েছে ১২টি হোম স্টে। চারটি চিলাপাতায়, চারটি টোটোপাড়ায়। কুমারগ্রাম ও ফালাকাটায় রয়েছে দুটি করে হোম স্টে।

খাবারের খোঁজ

লাটাগুড়ির চমচম না খেয়ে ফিরবেনই না। এক একটা চমচম ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি। পেল্লাই সাইজের। ১৫০/-, ২০০/-, ৩০০/- টাকা পিস। আসলে এটাই (চমচম) লাটাগুড়ির বিখ্যাত। এছাড়া ছোটো নর্মাল সাইজের ক্যাডবেরী চমচমও পাওয়া যায়। ভয়ানক রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। খেলে আপনার ভালো লাগবেই। এছাড়া খেতে পারেন লাটাগুড়ির লাংচা।

বর্ষায় উত্তরবঙ্গ যাবেন আর বোরোলি মাছ খাবেন না তাই কখনো হয়? উত্তরের তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, কালজানি নদীর রূপালী ফসল হলো বোরোলি মাছ। ইলিশ মাছের মতো দামী। ৭০০-৮০০ টাকা কেজি। একবার খেলে স্বাদ সারাজীবন মনে থাকবে। বর্ষার ডুয়ার্স ভ্রমণে বোরোলি মাছ না খেলে জানবেন আপনার ভ্রমণ অসম্পূর্ন রয়ে গেলো। তবে সাবধান চালানী কমদামী বোরোলি মাছও (৩০০ টাকা কেজি) পাওয়া যায়। এরস্বাদ তুলনামূলক কম।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ dooarsindiajalpaiguri