ঢাকা

পাখির বাড়ি জাহাঙ্গীরনগর

শীতের শুরু থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন নির্মল প্রকৃতির এ ক্যাম্পাস থেকে। সবুজ প্রকৃতির মাঝে নির্মল এক জায়গা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। গাছপালায় ঢাকা সবুজ এ ক্যাম্পাসের বুকে আছে বেশ কয়েকটি জলাশয়। বেশ কয়েকবছর ধরে এ জলাশয়গুলোকেই নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিচ্ছে শীতের অতিথি পাখিরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি ২২টির মতো জলাশয় আছে। এর মধ্যে পাখির আনাগোনা বেশি প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও পেছনের দুটি জলাশয়, জাহানারা ইমাম হল, প্রীতীলতা হল এবং আল বেরুনী হল সংলগ্ন জলাশয়ে। সবগুলো জলাশয়ে আছে লাল শাপলা। দিনের প্রথমভাগে শাপলারা ফুটন্ত থাকে। লাল শাপলার এ গালিচার মাঝে অতিথি পাখিদের আনাগোনাও ভালো লাগবে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের জলাশয়ে হাঁসপাখি ‘পাতি সরালি’র প্রাধান্যই বেশি। এছাড়া মাঝে মাঝে দেখা মিলবে ছোট পানকৌড়ি, ধলাবুক ডাহুক কিংবা পাতি পানমুরগির। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলাশয়গুলোতে পাখির সংখ্যা ও প্রজাতি সাধারণত বেড়ে থাকে।

পাখি দেখতে যেয়ে জাঙ্গাঙ্গীরনগরের কিছু বিষয়ের প্রতি নজর রাখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক্ষ ক্যাম্পাস এলাকাটিকে পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই সেখানকার কর্তৃপক্ষের নিয়ম কানুন মেনে চলা জররি। কর্তৃপক্ষের দেওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে থেকে পাখি দেখুন। ক্যাম্পাসে নিরবতা বজায় রেখে চলুন, গাড়ির হর্ন বাজাবেন না। পাখিরা বিরক্ত হয় এমন কোনো আচরণ থেকে বিতর থাকুন।

কখন যাবেন

মূলত অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বরের প্রথম দিকেই অতিথি পাখিরা বাংলাদেশে আসে। আবার মার্চের শেষ দিকে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়। ক্যাম্পাসে পাখি দেখার সবচেয়ে ভালো সময় শীতের সকাল এবং বিকেল। তাই খুব সকালে গিয়ে সারাদিন কাটাতে পারেন ক্যাম্পাসে। দুপুরে খেয়ে নিতে পারেন ক্যাম্পাসের বটতলাখ্যাত বিভিন্ন রোঁস্তোরায়। খুব কম দামে হরেক পদের ভর্তা দিয়ে দুপুরের খাবার সারতে পারবেন।

জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটি যাওয়ার উপায়

ঢাকার গুলিস্তান, ফার্মগেইট, কল্যাণপুর কিংবা গাবতলী থেকে নবীনগর, মানিকগঞ্জগামী যে কোনো বাসে চড়ে সহজেই নেমে যেতে পারবেন ক্যাম্পাসের সামনে। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার জন্য সহজ বাহন রিকশা।

Leave a Comment
Share