মুন্সিগঞ্জ

মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়নগঞ্জ পার হওয়ার পর এক কিলোমিটারের মধ্যে রাস্তার ডান পাশে (ঢাকা থেকে গেলে) ৩০ বিঘা জমির উপর ফুল ফল বৃক্ষশোভিত এক অন্যন্য বিনোদন কেন্দ্র মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট। মেঘনা ব্রিজ পার হওয়ার পরই দেখা পাবেন রাস্তার পাশে। প্রথমে দেখতে পাবেন কয়েকটি হাতি, বাঘ ও হরিণ এর ভাস্কর্য তারপর প্রধান ফটক। এর প্রবেশ পথেই আপনাকে একটি ডাইনোসর এর ভাস্কর্য স্বাগত জানাবে ও তার সাথে লেখা ফলকে পরিবেশ বিষয়ক বার্তা দেবে। প্রবেশ পথ পেরিয়ে শান্ত ছিমছাম পরিবেশ। চারপাশের বাতাসে পাখির কলতান। গ্রামের মতোই সবুজ শ্যামল অপরূপ মায়াবী। কুটিরগুলো দেখতে অনেকটা নেপালি ঢঙের। গ্রামের মায়া ছেড়ে যাদের জীবন কর্মচঞ্চল শহরের গণ্ডিতে আটকা, তারা চাইলে রাতে আরাম কেদারায় বসে চাঁদনী দেখতে দেখতে ফিরে যেতে পারেন হারিয়ে যাওয়া কোনো শৈশব স্মৃতিতে। বিনোদন ও অবকাশ যাপনের জন্য রাজধানীর কাছেই মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় এ ভ্রমণতীর্থ মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট (Meghna Village Holiday Resort)

প্রবেশ মুখে ও অভ্যন্তরে দেখা মিলবে শিশুদের উপভোগ্য হাতির পাল, যুদ্ধরত ষাঁড়, ভল্লুক, বিশাল ডাইনোসর, বাঘ, হরিণ, সাপ-বেজির লড়াই, রাজহংসী, বাচ্চাসহ জিরাফের ভাস্কর্য, রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানাও। চিত্রা হরিণ, বানর, লজ্জাবতী হনুমান, কালিম পাখি, খরগোশ, কোয়েল পাখি ও কুমির কী নেই এখানে।

বিনোদন ও অবকাশযাপনে পরিপূর্ণ আনন্দ পেতে আগতদের জন্য রয়েছে ফটোগ্রাফি, চিকিত্সা, লন্ড্রি, সুভ্যেনির শপ, নিজস্ব গাড়ি, বাংলা ও চাইনিজ খাবার, পিকনিক, বারবিকিউ ডিনারের ব্যবস্থা। শরীরটাকে একটু ঝালাই করে নিতে এর রয়েছে সুবিশাল দুটি খেলার মাঠ। তাই ব্যাট বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে পারবেন নির্দ্বিধায়। যারা মাছ ধরতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে মাছ ধরার ব্যবস্থাও। এমনকি নিজের ধরা মাছও তত্ক্ষণাত্ ঝলসে নিয়ে উদরপূর্তির সুযোগও আছে।

বিনোদনের নানা আয়োজনে ঠাসা এই রিসোর্টটিতে রয়েছে পেন্ডুলাম পাইরেট শিপ, প্যাডেল বোট, নাগরদোলা, মেরিগো রাউন্ড, সাইকেল চালনা, ব্যাটারী কার ও মিকি মাউস বাইক। এগুলো ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা ফি এর বিনিময়ে। এছাড়া এখানে সংরক্ষিত কুমির, মিনি ছিড়িয়াখানার পাখি ও জীবজন্তু দেখা আর বিশেষ সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ গান দেখার জন্য কোনো ফি দিতে হয় না। তাদের রয়েছে নিজস্ব জামদানী তাঁত ও সবজি ক্ষেত। যেকেউ চাইলে এগুলো কিনতেও পারেন আবার ঘুরে দেখতে পারেন। প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখার জন্য কোনো ফি নেই।

অন্যান্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে রয়েছে ১০টি এসি/ নন এসি কটেজ। কটেজগুলোর সামনে ফুলশোভিত বাগান। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরা ও মেইলিস ডাইনিং, রয়েছে খেলার মাঠ এবং মাছ ধরার জন্য দুটো পুকুর।

মেঘনা ভিলেজ রিসোর্ট এর নতুন সংযোজন ৩ডি সিনেপ্লেক্স যার ধারন ক্ষমতা ২০ জন। টিকেটের দাম মাত্র ৩০ টাকা।

মেঘনা ভিলেজ এর খুব কাছেই আছে সোনারগাঁ জাদুঘর, তাজমহল, কুমিল্লার কোটবাড়ী।

রিসোর্ট ভাড়া ও অন্যান্য

  • কর্পোরেট হাউজ রিজার্ভ পিকনিক (২টি নন এসি কটেজ ও পিকনিক জোন সহ) ঃ ৪৫,০০০ টাকা
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভ পিকনিক (২টি নন এসি কটেজ ও পিকনিক জোন সহ) ঃ ৩৫,০০০ টাকা
  • বার-বি-কিউ (৪০ জন পর্যন্ত) ঃ ৬০,০০০ টাকা
  • পুকুরে মাছ শিকার ঃ ১কেজি রুই- ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া- ৫০ টাকা প্রতিটি।
  • পুকুরপাড়ে মাছের বার-বি-কিউ ঃ ২৫ টাকা
  • নন-হলিডে ডিসকাউন্ট ঃ ২৫%
  • রিসোর্টে থাকার জন্য শিশুসহ ৫ জনের প্যাকেজ ৮,০০০ টাকা ।।

টিকেট মূল্য

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে ৫০ টাকা এবং বাচ্চাদের জন্যে ১০ টাকা।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে যেতে হবে কাঁচপুর ব্রিজ। সেখান থেকে সোজা সোনারগাঁ হয়ে মেঘনা ব্রিজ। মেঘনা ব্রীজ পার হয়ে বালুকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাম দিকের পথ ধরে ১ কিলোমিটার এগুলেই মেঘনা ভিলেজ রিসোর্ট এর দেখা মিলবে। এছাড়া আপনি চাইলে রিসোর্টের নিজস্ব গাড়িতে করেও রিসোর্টে যেতে পারবেন। সেজন্য ১,৫০০+ টাকা খরচ পড়বে।

বুকিং এর জন্যে যোগাযোগ

অগ্রিম বুকিং করতে চাইলে – ০১৭১২২০৩৩৩৬। বিস্তারিত তথ্যের জন্য – ০১৭১৮৪৭১৯৬১, ০১৮১৭ ১০৪১২৬।
ঢাকা থেকে বুকিং দিতে চাইলে: সুইট – ৫১২এ, লেভেল ৫, ইব্রাহিম ম্যানশন, ১১ পুরানা পল্টন, ঢাকা। ফোন: ০২-৯৫৭০৭৮২, ০১৫৫২-৩০৮৮৪৯, ০১৫৫২-৩৩৩৫৬৩, ০১৭১৮৪৭১৯৬১ (রিসোর্ট)

Leave a Comment
Share