কাশ্মীর ভ্রমন – খরচের হিসাব!!

কাশ্মীর ভ্রমণের পরে অনেকেই কিভাবে যাবো, কোথায় থাকবো, ওখানে ভাড়া কেমন পড়বে, ট্যাক্সি ভাড়া, খাবার খরচ নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন যার সব কিছুর উত্তর এই পোস্টে পাবেন। সকল ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের যদি ক্ষীণ উপকারে আসে সেইসব ভাবনা থেকেই এই লেখাটা লিখতে উদ্বুদ্ধ হওয়া।

তো ভূমিকা তো অনেক হল, এবার আসল জায়গায় যাবার চেষ্টা করি।

খরচ আর কি? খুব বেশী কিন্তু নয়। শুধু মাত্র নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু পরামর্শ দেয়া একদম নিজের মত করে। এর বেশী কিছু নয়। বড় ধরনের কোন ভ্রমণ ইচ্ছা থাকলে, অনেক দিনের লম্বা কোন ট্যুরের কথা ভেবে থাকলে একটি সঠিক পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই।

এক্ষেত্রে যে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল –

  • কবে যাবো?
  • কবে ফিরবো?
  • কোথায় যাবো?
  • কজন যাবো?
  • কতদিন ঘুরে বেড়াবো?

এই ব্যাপার গুলো ক্লিয়ার হলেই অনেক ঝামেলা আর খরচ কমে যেতে পারে। তবে এবার আমাদের কাশ্মীর ট্যুরের খরচের খাতাটা খুলি কি বলেন?

কলকাতা-দিল্লী

ঢাকা থেকে কলকাতা যাবার বাস বা ট্রেন এর টিকেট ফিক্সড থাকবে জানতাম তাই এই টিকেটটা আমরা সবার শেষে করেছিলাম। সেই ১৯০০/= টাকা। রয়েল এর হুন্দাই এসি। অনেকেরই হয়তো চোখে ভুল দেখতে পারেন যে ২০০০/= টাকায় ভারত ভ্রমণকারী কিভাবে ১৯০০/= কলকাতার এসি বাসের টিকেট কাটে?

আসলে কয়েকটি পরিবার একত্রে মিলে যাওয়া আর যেহেতু প্রথমবার সবাই মিলে প্লেনে যাওয়া, তাই শুরুটাও ভালোই করলাম নন এসি ঘামে চিটকে হয়ে যাওয়া বাসে না গিয়ে।

কলকাতা থেকে দিল্লি প্লেনের টিকেট করেছিলাম দুইমাস আগে ৩১০০ রুপী করে প্রতি টিকেট। যদিও যেতে চেয়েছিলাম ট্রেনে জম্মু পর্যন্ত, কিন্তু নানা কারনে কলকাতায় গিয়ে ট্রেনের টিকেট কাটার সময় বের করতে না পারায় অবশেষে প্লেনের টিকেট কাটতে হয়েছিল। কলকাতাতে একদিন থেকে হোটেল ভাড়া, খাওয়া, ট্যাক্সি ভাড়া দেবার কোন ইচ্ছা ছিলনা বলে। তবে এই পরিকল্পনাটা ভালোই ছিল। যদিও পূর্বে প্লেন আর এয়ারপোর্ট সম্বন্ধে ধারনা না থাকায় খাবার কেনাকাটা করতে একটু না, বেশ বেশীই খরচ হয়ে গিয়েছিল!

আর এর চেয়েও কম দামে দিল্লী থেকে শ্রীনগর এর প্লেন টিকেট পেয়েও কাটিনি তখন কেননা বাকিটুকু ট্রেনে যাবো বলে। দিল্লী থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকেট পর্যন্ত কেটে রেখেছিলাম ১৫০০ টাকায়। কিন্তু যাবার ঠিক আগে আগে, ৭/৮ দিন হবে হয়তো, দিল্লীর গরমে থাকবেনা কেউ এই কারন দেখিয়ে দিল্লী-জম্মু ট্রেন টিকেট ফেরত দিয়ে প্লেন টিকেট করাতে প্রায় ৫৮০০/= টাকা করে লেগেছিল প্লেন টিকেটেই! যা কলকাতা-দিল্লী প্লেন টিকেটের প্রায় দিগুণ!!

শ্রীনগর

পরিবার নিয়ে প্রথমবার কাশ্মীর গিয়ে কেউ হোটেল আর গাড়ি খোঁজার মত বিড়ম্বনায় পরতে চায় না দেখে অনলাইনে হাইজবোট আর গাড়ি বুক করে কিছুটা ধরা খেয়েছিলাম। ১৬০০ রুপীতে ডাবল রুম নিয়ে আর সারাদিনের জন্য ১৪ সিটের গাড়ি ভাড়া করে৩৩০০ রুপী করে! যদিও এই একই হাউজ বোট পরে ১০০০ রুপীতেই রুম দিতে রাজি ছিলো! আর আগে গাড়ি ঠিক না করে এয়ারপোর্ট এ নেমে করলেও খুব বেশী হলে ৮০০ থেকে ১০০০ এ গাড়ি পেয়ে যেতাম ডাল লেক যাবার জন্য। কারন সবাই ক্লান্ত থাকায় ওই দিনের গাড়ির টাকাটা নষ্টই হয়েছে, তেমন কোথাও না ঘুরে।

হাউজ বোটের খাবারের বেশ দাম। জন প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ রুপী! যেটা ভারতের অন্যান্য যায়গায় ১২০/১৫০ রুপী।

অথচ ওই দিনই, পরের দিন গুলোর জন্য চমৎকার হোটেল পেয়েছিলাম মাত্র ১০০০ রুপীতে বিশাল ডাবল রুম, সকল প্রয়োজনীয় সুবিধাসহই। তাও একেবারে ডাল লেকের সাথে লাগোয়া, অসাধারণ ডাল লেকের ভিউসহ। হোটেলও ছিল ডাল ভিউ নামেই। গেট-৭ এর সাথে লাগোয়া।

শালিমার বাগ

এক মুঘল দোকানে রাতের খাবার খেয়েছিলাম মাটন বিরিয়ানি। ওহ ৫ জনের জন্য দুটি বিরিয়ানি যথেষ্টর চেয়েও বেশী কিছু ছিল। দাম পরেছিল ৮৪০ রুপী। তবে, মান, স্বাদ, পরিমান আর পরিবেশের কাছে এই দাম যথেষ্ট সহনীয় ছিল।

শ্রীনগরের অন্যান্য যায়গায় ২০০ রুপীর মত লাগে জন প্রতি প্রতি বেলার খাবারে।
শ্রীনগর শহর, ডাল লেক, এর আশেপাশে প্রায় ৫/৬ টি মুঘল বাগান দেখার জন্য সারাদিনের জন্য ২২০০-২৫০০ (৪-৬ জনের) বা ৩০০০-৩৩০০ (৮-১২+ জনের) রুপী দিয়ে গাড়ি ভাড়া (একদিনের জন্য) করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। শুধু মাত্র পরীমহল ও চসেমশাহী দেখার জন্য গাড়ি প্রয়োজন। সময়, সাহস আর হাটার অভ্যেস থাকলে বাকি বাগান গুলো হেঁটে হেঁটেই দেখা সম্ভব ও বেশী ভালো, আমার মতে।

তবে হ্যা, হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হলে কিন্তু ফেসবুকে ছবি দিয়ে হাজার হাজার লাইক পাবার মত ছবি আপনি নাও পেতে পারেন। তাই মেকাপ ঠিক রেখে, চুলের বাঁধন পরিপাটি রেখে, খোঁপায় ফুল গুঁজে, আর গালে-নাকে ঘামের বিন্দু না জমিয়ে ফ্রেস ছবি তুলতে চাইলে আপনার জন্য গাড়ির কোন বিকল্প নেই। যারা কম খরচে বেশী ঘুরতে চান, এই হেঁটে দেখার পরামর্শ তাদের জন্য!!

গুলমার্গ

পুরো কাশ্মীরে এতো এতো বাটপার, ছেঁচড়া আর ঠগবাজ আপনি আর কোথাও খুজে পাবেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। গাড়ি গিয়ে থামতেই আপনাকে ঘিরে ধরবে ঘোড়া নেবার জন্য। বলবে ঘোড়া ছাড়া বিকল্প নেই। ওদিকে যাওয়া যায়না, যেতে দেয়না, সরকারি নিয়ম। অনেক নয়-ছয় পনেরো বোঝাবে আপনাকে। কোন কিছুতে কান দেবার কোন দরকার নেই। তবে হ্যা ঘোড়ায় চড়ার খুব খায়েস জাগলে দামাদামি করে ২০০-৩০০ এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন। অথচ বলবে যে সরকারি রেট ১০০০/১২০০/১৫০০ বলে আপনাকে ঘাবড়ে দিয়ে ব্লাকমেইল করবে।

দুই ফেস এর গণ্ডোলা রাইডে ১৬০০ রুপী জন প্রতি দেয়ার মত আহাম্মকি আর অপচয় অন্য কোনটায় আছে বলে আমার মনে হয় না। আমার মতে পুরোপুরি একটা ফালতু খচর। আপনাকে বরফের লোভ দেখাবে, স্কি, স্লেজিং, স্নো বাইকের রোমাঞ্চের লোভ দেখাবে। উপরে নিয়ে গিয়ে পোশাকের বাধ্য-বাধকতা দেখিয়ে আরও হাজার হাজার রুপীও খসিয়ে নিতে পারে নিমিষেই।

আমার মতে এই পথে পা না বাড়িয়ে, গুলমার্গ এর সবুজ ঘাসের মখমলে বসে থাকুন, গড়ান, একটা বেলা ধীরে ধীরে হেঁটে হেঁটে পুরো গুলমার্গ দেখুন। সময় কাটবে দারুন। মন ভরে যাবে ভীষণ, আর পয়সা বেচে যাবার আনন্দে কাশ্মীরে আর একদিন বেশী থেকে যান। পরে আমাকে বাহবা দিয়েন ফিরে এসে!!

কারন এখানে যেসব রোমাঞ্চের লোভ আপনাকে ওরা দেখাবে তার চেয়ে অনেক বেশী রোমাঞ্চ আপনি পাবেন সোনমার্গ যেতে, গিয়ে আর যোজিলা পাস গিয়ে। অনেক কম খরচে, অনেক নিরাপদে আর অনেক বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশে।

সোনমার্গ

সোনমার্গ পর্যন্ত কোন আলাদা খরচ নেই। তবে এখান থেকে যোজিলা পাস যেতে আলাদা গাড়ি নিতে হয়। এটাই নিয়ম, তবে এই গাড়ি নিয়ে নানা রকম বাহানা আছে, ভাড়ার ব্যাপারে। ৭০০০/১০০০০ চাইবে আপনাকে নিয়ে যেতে আর আসতে। আপনি অবশ্যই দামাদামি করে নেবেন। যেমন আমরা যোজিলা পাস গিয়েছিলাম ১০ জনের গাড়িতে করে ৫৫০০ রুপীতে। যেটা আমাদের কাছে ৭৫০০ রুপী চেয়েছিল। এটাও নাকি সরকারি রেট ছিল, কিন্তু কমলো কিভাবে কে জানে!!

এই পথের গল্প আছে আলাদা করে। তবে যোজিলা পাসে গিয়েও পাবেন ঘোড়া, স্লেজিং, স্নো বাইক সবকিছুই দামাদামি করে নিন। যেমন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে স্লেজিং করেছিলাম নিজে নিজে মাত্র ১০০ রুপীতে! যেটা আমার কাছে ৪০০ চেয়েছিল দুইজনের জন্য। আমি শুধু একটু ঝুকি নিয়ে রোমাঞ্চ করেছি মাত্র। নিজে নিজেই বরফের উপর থেকে কাঠের বাহনে দুজনে বসে কোন গাইড ছাড়াই নেমে এসেছি ভীষণ দ্রুততায়! তবে এটার জন্য ভীষণ দুঃসাহসী হতেই হবে।

সোনমার্গ

এখানে খাবারের দাম তুলনা মুলক বেশ কম। তবে সোনমার্গে সময় থাকলে একদিন বা রাতে থেকে যেতে পারেন। পয়সা উশুল হয়ে যাবে আমি নিশ্চিত। তবে থাকার খরচটা বেশ বেশী। ২০০০/২৫০০ রুপীর নিচে কোন কটেজ খুজে পাইনি। যে গুলো পছন্দ হয়েছিল তার দাম ৭০০০ রুপী এক রাতের জন্য!! আর এখানকার ভেড়ার মাংসের স্পেশাল রান্না সাথ জবের রুটি না খেলেই নয় কিন্তু! দাম মনে হয় রুটিসহ ১৭০ রুপী ছিল।

পেহেলগাম

এটা একটা পাগল করা যায়গা। এখানে সকল রকম পাগল করা প্রকৃতির পাশাপাশি অবাক করেছিল মাত্র ৮০০ রুপীতে স্বর্গীয় একটা কটেজে ডাবল রুম পেয়ে! স্বর্গ প্যালেসে। যেটা অন লাইনেই ২২০০ রুপী দেখেছিলাম!! এখানে খাবারের খরচ প্রায় একই রকম কিন্তুওদেরকে বললে কি খাবেন, কজন খাবেন? বাজার করে রান্না করে দিলে খরচ অনেকটা কম পরে।

যেমন আমরা ১০ জনের জন্য এক কেজি মুরগীর মাংস রান্নাসহ দাম নেবে ৬০০ রুপী, ভাত ৬০ টাকা করে, অনেক দাম ভাতের। পানি আর ডাল নিলে খরচ আর একটু বাড়বে। তবে যে পরিমান ঝোল দেয় তাতে আর ডালের দরকার হয় না।

মোটামুটি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় ৯-১০ জনের খাবার হয়ে যায়, ওভাবে বললে আর বাজার করে রান্না করে দিলে মাংসের পরিমান বলে দিয়ে। কিন্তু একা একা মিল নিয়ে খেতে গেলে জনপ্রতি ২৫০ রুপীর কমে হবেনা।

পেহেলগাম এ বাইরের স্পট গুলোতে ঘুরতে যাবার আলাদা খরচ সোনমার্গের মতই, তবে এখানে নতুন একটা ভণ্ডামি আছে। সেটা হল দুই স্পট ১৪৫০ রুপী গাড়ি। আরুভ্যালী আর বেতাব ভ্যালী। চার স্পট ১৮০০ রুপী। এমন করে স্পট হিসেবে গাড়ির ভাড়া নির্ধারণ করে ওরা। তবে একটা শর্ত দিয়ে দেয়। সেটা হল যে স্পটে যাবেন আপনার জন্য সময় বেঁধে দেয় এক ঘণ্টা মাত্র ওই স্পটে আপনার জন্য বরাদ্দ সময়! এর বেশী হলেই অতিরিক্ত ৩০০ রুপী দিতে হবে প্রতি ঘণ্টার জন্য!!

আপনি-আমি এখানেই আসল বাঁশটা খেয়ে থাকি! কারন এক একটা স্পট এতো এতো আর এতোটাই মুগ্ধ করে চুম্বকের মত টেনে ধরবে আপনাকে, যে এক ঘণ্টা কেন, এক বেলাতে নয়, এমনকি এখানে কেন একবারে চলে এলেন না সেই আফসোস এ পুড়বেন! সুতরাং এমন যায়গায় এক ঘণ্টায় কি করবেন বলুন?

মিনি সুইজারল্যান্ড

যেমন অসহ্য সুখের আরু ভ্যালী!! এটা নিয়ে আলাদা গল্প আছে, বলবো পরে।
ঠিক বেতাব ভ্যালীর একই রকম অবস্থা। শুধু ছবি তোলার জন্য গেলে উল্টো মেজাজ খারাপ হবে, কেন একটা বেলা বা একটা দিন এখানে থাকা হলনা সেই আক্ষেপে।

তারপর রয়েছে ঘোড়ায় চড়ে, মিনি সুইজারল্যান্ড যাত্রা পাইনের ঘন অরণ্যর মধ্য দিয়ে। সে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা, তবে হতে হবে অনেক সাহসী আর বেপারোয়া উপভোগ করতে এই রাইড। এখানেও সরকারি রেট ১৪০০/১২০০/১০০০ নানা রকম কথা বলে। আমরা মাত্র ৫০০ টাকায় উপভোগ করেছিলাম ৩/৪ ঘণ্টার ঘোড়ার রোমাঞ্চকর এক রাইড পাইনের ঘন অরণ্য, পাথুরে পাহাড় আর ঝর্ণা পেরিয়ে গিয়ে এক সবুজ ভ্যালীতে।

এভাবে মোট ৭ দিন ছিলাম কাশ্মীরে, একদিন ছিলাম দিল্লীতে আর যাওয়া-আসা ৪ দিন, মোট ১২ দিনের ভ্রমণের খেরো খাতা।

দিল্লী

প্লেন লেট আর আবহাওয়া খারাপ থাকায় ট্রেন মিস করেছিলাম, যে কারনে দিল্লীতে একদিন ছিলাম ৯০০ রুপীর এসি ডাবল রুমে। বেশ ভালো ছিল রুম, হোটেল আর সার্ভিসও। সাথে পরদিন গিয়েছিলাম ইন্দিয়া গেট দেখতে আর একটু দিল্লীর অলিগলি, ট্যাক্সি ভাড়া করে ১৫০ রুপী আর ফেরার সময় ১০০ রুপী দিয়ে। কেএফসিতে খেয়ে।

ঘরে ফেরা

ফিরতে পারেন একই ভাবে। আগে থেকে প্লেন টিকেট যদি করে রাখেন অন্তত দুই বা তিনমাস আগে তবে ৫০০০ থেকে ৬০০০ রুপীতেই চলে আসতে পারবেন শ্রীনগর থেকে কলকাতা। অথবা শ্রীনগর থেকে দিল্লী এরপর ট্রেনের অন্য রকম অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে প্লেন এর সাথে ৬/১২ ঘণ্টা গ্যাপ রেখে কেটে রাখতে পারেন ট্রেনের টিকেট। নইলে প্লেন লেট হলে ট্রেন ছেড়ে দিলে ২৮০০ রুপীর টিকেট কাটতে হতে পারে ৪২০০ রুপী দিয়েও!! তবে সেক্ষেত্রে সাথে অনেক টাকা বা তেমন ব্যাবস্থা থাকতে হবে নিরাপত্তার জন্য আর পরিবারের সুরক্ষার জন্য।

মনে রাখবেন বিপদে পরলে আপনি শুধু একা! আপনার আশেপাশে তেমন কাউকে পাবেন না। তাই নিজের, পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে যে পরিমান বাজেট আর খরচ করতে যাচ্ছেন বলে ধরে নিয়েছেন, ঠিক সেই পরিমান না হলেও কিছুটা কম-বেশী টাকা সাথে রাখবেন যে কোন বিপদের কথা মাথায় রেখে। খরচ না হলে সেই টাকা তো আপনার কাছেই থাকবে। ফিরে এসে কাজে লাগাবেন বা ব্যাংক এ রেখে দেবেন, কিন্তু খরচ হয়নি বলে ফিরে না এসেই আগে থেকে খরচ করবেন না, যেটা বাড়তি নিরাপত্তার জন্য নিয়েছিলেন! খবরদার।

তো বাকি হিসেবটা এবার আপনারাই করে নিন নিজ থেকে, একটু কষ্ট করে!

মোট কত হল জনপ্রতি? সম্ভবত ৩০,০০০ এর মত বা এর আশেপাশে, একটু কম বেশী হতে পারে। তবে এই ভ্রমণটাই যদি আপনি আরও তিনদিন সময় হাতে বেশী নিয়ে আর প্লেনের পরিবর্তে কলকাতা-জম্মু ট্রেনে করতে পারেন যাওয়া-আসা তবে অন্তত ৫-১০ হাজার টাকা কমে শেষ করতে পারবেন নিশ্চিত ভাবেই।

আমাদের সব টিকেট প্রায় দুই মাস আগেই করে রেখেছিলাম।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ by airexpensesguidelines