ওয়াংদি ফোদরং

থিম্পু থেকে ৭০ কিমি এবং পুনাখা থেকে ১৮ কিমি দূরে অবস্থিত অল্পচেনা মায়াময় পাহাড়ি জনপদ ওয়াংদি ফোদরং (Wangdue Phodrang)। প্রায় ১৩০০ মিটার উচ্চতায় উপতক্যার বুক চিরে রয়েছে ওয়াংদিতাং চু নদী। পাহাড়ের ধাপে ধাপে দেখতে পাবেন জুম চাষ। পাহাড়ের চূড়ায় দেখতে পাবেন ওয়াংদি ফোদরং Dzong। দূর থেকে দেখলে মনে হয় Dzong টি নদীর উপর ঝুলে আছে। ১৬৩৮ সালে জং টি নির্মাণ করেন রাজা হাবদ্রুং গাওয়াং নামগিয়াল যার মমি আজও সংরক্ষিত আছে পুনাখা জং এর মধ্যে। ওয়াংদিতাং চু নদীর সুন্দর ব্রীজের প্রবেশের মুখেই আপনার পারমিট দেখিয়ে নিবেন। ব্রীজ পেরিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ওয়াংদি ফোদরং এর জনপথ। এখানকার পাথর আর বাঁশের তৈরি জিনিস পত্রের বেশ কিছু দোকান চোখে পড়বে। নদীর দুই ধারেই গড়ে উঠেছে জনপথ।

ওয়াংদি ফোদরং এর জং এ প্রবেশ করতে চাইলে পারমিট দেখাতে হবে আপনাকে এবং এই পারমিট আপনাকে ম্যানেজ করতে হবে থিম্পু থেকেই। এই জং এর ছাদ থেকে পুরো জনপথ এবং নদীর একটা দারুন ভিউ পাওয়া যায় যা মিস করা ঠিক হবে না কোন ভাবেই। নদী, উপতক্যা আর সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ওয়াংদি ফোদরং এক কথায় অপূর্ব। নদীর ধারে পার্বত্য গিরিশিরার উপর বহু প্রাচীন শহর ওয়াংদি ফোদরং স্থানীয় মানুষের কাছে ওয়াংদি নামেই পরিচিত।

ট্রোংসা (Trongsa) : Wangdue Phodrang থেকে Trongsa এর দূরত্ব মোটামুটি ১২৯ কিমি। এই পথে অতিক্রম করতে হয় ভুটানের দ্বিতীয় উচ্চতম সড়কপথ পেলেলা পাস (Pelela Pass)। ঐতিহাসিক কারণে ট্রোংসা্র গুরুত্ব যথেষ্ট। ১৬৪৮ সালে তৈরী হওয়া ট্রোংসা জোং থেকে এ দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় রাজা দেশ শাসন করতেন। জোঙটি একটি ছোট পাহাড়ের উপর নির্মিত হয়েছিল এবং ধাপে ধাপে তা নেমে এসেছে বেশ কিছুটা নীচ পর্যন্ত। অবস্থানগত কারণেই শহরের সব জায়গা থেকেই এটি দৃশ্যমান।

কিভাবে যাবেন

পুনাখা থেকে কাছে হওয়ার কারনে ট্যাক্সি নিয়ে সরাসরি চলে যেতে পারেন ওয়াংদি ফোদরং। চাইলে ঠিম্পু থেকে ট্যাক্সি নিতে পারেন অথবা পুনাখা ভিজিটের সময় ট্যাক্সি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ bhutanwangdue phodrang