লোলেগাঁও আসলে একটি ছোট ল্যাপচা গ্রাম যার জনসংখ্যা ৫০০০ এর কাছাকাছি। লোলেগাঁও, কালিম্পং থেকে মাত্র ৫৫ কিলো, শিলিগুড়ি থেকে ১২৪ কিলো এবং লাভা থেকে ২৪ কিলো দূরত্বে অবস্থিত। যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্যে মেঘে ঢাকা পাইন বনে ঘেরা এই গ্রামটি অনেক লোভনীয় একটি স্থান। কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্যে এটি একটি আদর্শ জায়গা। লোলেগাঁও শব্দের লোকাল অর্থ সুখী গ্রাম। এই গ্রামের সব থেকে বড় আকর্ষন হলো ক্যানপি ওয়াক। মেঘাচ্ছন্ন পাইন বনের মধ্য দিয়ে ৭৫ মিটার লম্বা এই ক্যানপটি ভ্রমণকারীদের খুব করে টানে। এছাড়া মনেস্ট্রী, সানরাইজ পয়েন্ট, সানসেট পয়েন্ট ছাড়াও বেশ কিছু দর্শনীয়স্থান আছে।
আসলে বর্ষার সময়টা ছাড়া যেকোন সময় লোলেগাঁও (Lolegaon) ভ্রমণ করা যায়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর, এই চারটি বর্ষা মাস এড়িয়ে চলাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
ঢাকা থেকে বাসে শিলিগুড়ি। কলকাতা থেকে বাসে কিংবা ট্রেনে এনজেপি অথবা বিমানে বাগডোগরা পৌঁছে গাড়ি নিয়ে লোলেগাঁও। শিলিগুড়ি এর জনসন টার্মিনাল থেকে জিপে করে যেতে হবে কালিম্পঙ। ভাড়া একশ বিশ রুপি। রিজার্ভ জিপ ২৫০০ রুপিতে পাওয়া যাবে। কালিম্পং থেকে লোলেগাঁও জীপে কিংবা বাসে যেতে পারবেন। অথবা শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি জীপে করে লোলেগাঁও যাওয়া যায়।
এছাড়া বুড়িমারী বর্ডার থেকে সরাসরি জীপ নিয়ে চলে যেতে পারেন লোলেগাঁও কিংবা নিউ মাল জাংশন। নিউ মাল জাংশন কিংবা মালবাজার থেকে জীপ নিয়ে লোলেগাঁও চলে যাওয়া যায়।
কলকাতা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে নিউ মাল জাংশন নেমে ওখান থেকে জীপে করে লোলেগাঁও যেতে পারবেন।
লোলেগাঁওয়ে হোটেলের সংখ্যা কম। বন উন্নয়ন নিগমের কটেজ ও কিছু সংখ্যক বেসরকারি হোটেল রয়েছে। আছে হোম স্টে-র ব্যবস্থা। লাভায় অনেক হোটেল। তা ছাড়া বন দফতরের রিসোর্ট রয়েছে।
ব্লু পাইন রিট্রিট (Blue Pine Retreat) হোটেলে আছে ৮টি কটেজ, প্রত্যকটির সাথে ছোট বারান্দা আছে। ভাড়া পড়েবে ১৮০০ রুপীর মত, সাথে ১০% সার্ভিস চার্জ। এছাড়া রুমের ভাড়া পড়বে ১২০০ রুপির মত।
সানরাইজ হোটেল (Sunrise Hotel) এ ডাবল বেড এবং ফোর বেডের রুম আছে। ডাবল বেডের কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ এর রুমের ভাড়া পড়বে ১১৫০ রুপীর মত, ফরেস্ট ভিউ এর ডাবল রুমের ভাড়া পড়বে ৯৫০ রুপীর মত। এছাড়া ফোর বেডের রুমের ভাড়া পড়বে ১৪০০ রুপী।
Leave a Comment