নেপাল ট্যুর প্ল্যান

তিন রাতের ট্যুর প্ল্যান নেপাল ভ্রমণের জন্যে আদর্শ প্ল্যান হতে পারে।

প্রথম দিনঃ

ঢাকা থেকে কেবল বাংলাদেশ বিমান ঢাকা-কাঠমাণ্ডু যায়। সপ্তাহে চার দিন। প্রথম দিন যতটা সম্ভব কাঠমাণ্ডু দেখুন। কাঠমাণ্ডুতে দেখুন কুমারীঘর, ষোড়শ শতাব্দীর তৈরি রাজলক্ষী নরসিংহ মল্লের প্রাসাদ। দেখুন বসন্তপুর দরবার স্কয়ার, স্বয়ম্ভুনাথ, বড়া নীলকণ্ঠ, শিবপুরী পাহাড়, হনুমান ধোঁকা। কাছেই মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে নেপালের প্রাচীন শহর পাটান। সম্রাট অশোকের আমলের মন্দির দেখতে পাবেন এখানে। নানা রকম মুখরোচক খাবার আর শপিং করার জন্য থামেল বিখ্যাত।

দ্বিতীয় দিনঃ

সকালেই বাসে বা ট্যাক্সিতে কাঠমাণ্ডু থেকে পোখারা রওনা করুন। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ১০টি পর্বতের মধ্যে তিনটি এই শহরের মাত্র ৩০ মাইল দূরত্বের মধ্যে-ধৌলাগিরি, অন্নপূর্ণা ১ এবং মানাসলু। হাতে চার বা পাঁচ দিন সময় থাকলে লুম্বিনী, চিতওয়ান, ভক্তপুর, জনকপুর ইত্যাদিও দেখতে পারবেন।

তৃতীয় দিনঃ

পোখারা থেকে সকালের বাসে ফিরে আসুন নাগরকোট। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের জন্য নাগরকোট সেরা। হিমালয়ের মোট ১৩টি পর্বত রেঞ্জের মধ্যে আটটিই নাগরকোট থেকে দেখা যায়। দেখুন, চারপাশের তুষারাবৃত পর্বতমালা।

চতুর্থ দিনঃ

সকালে চলে আসুন কাঠমাণ্ডুতে। প্লেন ছাড়ে বিকেল ৩টার দিকে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারেন।

কোথায় থাকবেনঃ

নেপালে থাকার জন্যে আছে প্রচুর মাঝারি ও সাধারণ মানের হোটেল। কাঠমান্ডুতে মাল্লা, রয়্যাল সিঙ্গি, ইয়াক অ্যান্ড ইয়েতির মতো দামি হোটেল থেকে শুরু করে মারশিয়াঙ্গদি, কাঠমাণ্ডু ইকোসহ আরো সাধারণ মানের হোটেল আছে। পোখারায় পাঁচতারা হোটেল ফিশটেইল লজ থেকে শুরু করে ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট, হোটেল ল্যান্ডমার্ক, হোটেল কান্তিপুর, হোটেল থার্ড পোলসহ আরো নানা মাঝারি ও সাধারণ মানের হোটেল আছে। নাগরকোটে ক্লাব হিমালয়ার মতো পাঁচ তারা মানের হোটেল থেকে শুরু করে ফোর্ট রিসোর্ট, হোটেল প্যারাডাইস ইন, স্পেস মাউন্টেনসহ নানা মাঝারি ও সাধারণ মানের হোটেল আছে।

খরচঃ

নেপালের কাঠমাণ্ডু, পোখারা আর নাগরকোটে চলনসই হোটেলে থেকে তিন বেলা খাওয়া, যাতায়াতসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়বে।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ expenseguidenepalplantourtravel