লেহ – লাদাখ ট্যুর প্ল্যান

ভিসা প্রসেসিংঃ প্রথমেই ভিসা করে নিতে হবে। আর লেহ লাদাখ ভ্রমণের চিন্তা করলে আপনাকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাই রোড কিংবা বাই এয়ারে ভিসা করানোটাই সবথেকে উত্তম।

ভিসা ঝামেলা শেষে এবার প্ল্যান সাজানোর পালা। চলুন প্ল্যানটা সাজানো যাকঃ

প্রথম দিনঃ রাতের বাসে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। বাই এয়ারে যেতে চাইলে সরাসরি দিল্লী। টাকার সমস্যা না থাকলে আমি বলবো সরাসরি দিল্লীর প্লেন ধরাটাই উত্তম। আর যদি চরম ইকোনমিকাল ট্যুর দিতে চান তাহলে বাসে কলকাতা।

দ্বিতীয় দিনঃ কলকাতা পৌঁছে বিকেলের ট্রেনে নিউ দিল্লী। আর মধ্যম টাইপের ট্যুর হলে সময় বাঁচাতে পারেন কলকাতা থেকে দিল্লীর প্লেন ধরতে পারেন। ভারতে ইনারকান্ট্রি প্লেন ফেয়ার একটু রিজনাবল।

তৃতীয় দিনঃ নিউ দিল্লি থেকে বিমানে সকালে লে পৌঁছে সারাদিন বিশ্রাম। রাত্রিবাস লে।

চতুর্থ দিনঃ লে লোকাল ট্যুর – শে প্রাসাদ, থিকসে, হেমিস, স্টাকনা ও সেমো মনাস্ট্রি, শান্তিস্তুপ, লে প্রাসাদ, সরকারি হস্তশিল্পালয় ইত্যাদি। রাত্রিবাস লে।

পঞ্চম দিনঃ লে থেকে প্যাংগং সো – পথে চাংলা, স্পাংমিক ও চেমরে মনাস্ট্রি ঘুরে লে-তে ফিরে আসা। রাত্রিবাস লে।

ষষ্ঠ দিনঃ খারদুংলা, সুমুর গ্রাম, পানামিক উষ্ণ প্রস্রবণ, সুমুর ও দেসকিট মনাস্ট্রি ঘুরে হুন্ডার-এ পৌঁছানো। রাত্রিবাস হুন্ডারে।

সপ্তম দিনঃ নুব্রা উপত্যকায় ক্যামেল সাফারি। লে-তে ফিরে রাত কাটানো।

অষ্টম দিনঃ লে – সো-মোরিরি – পথে পড়বে স্তোক, মাথ, উপসি, রুমসে, তাং-লাং-লা, দেবরিং ও সোকার। রাত্রিবাস সো-মোরিরির পাড়ে কোরজোক গ্রামে।

নবম দিনঃ সুমদো, মাহে ব্রিজ, রুমসে, উপসি হয়ে লে-তে ফেরা। রাত্রিবাস লে।

দশম দিনঃ গুরুদ্বার পাথর সাহিব, ম্যাগনেটিক হিল, সঙ্গম নিমু, আলচি, লিকির, খালসে পেরিয়ে আর্যগ্রাম দা। রাত্রিবাস খালসে।

একাদশ দিনঃ ফাটুলা, নামিকালা, মুনল্যান্ড, লামায়ুরু, মুলবেক, কার্গিল, শঙ্কু ঘুরে পানিখের পৌঁছানো। রাত্রিবাস পানিখের।

দ্বাদশ দিনঃ সুরু উপত্যকা ভ্রমণ। নানা-কান পিক, পেনজি লা, দারাং দ্রুং গ্লেসিয়ার, রাং দুম, সানি গোম্ফা ঘুরে পাদুম পৌঁছানো। রাত্রিবাস পাদুমে।

ত্রয়োদশ দিনঃ পাদুম উপত্যকা, জাঁসকার উপত্যকা, সুরু উপত্যকা ঘুরে কার্গিল পৌঁছানো। রাত্রিবাস কার্গিলে।

চতুর্দশ দিনঃ দ্রাস, জোজিলা, বালতাল, সোনমার্গ, খিরভবানী ঘুরে শ্রীনগরে পৌঁছানো। রাত্রিবাস শ্রীনগরে।

পঞ্চদশ দিনঃ শ্রীনগরে লোকাল সাইট সিয়িং – শঙ্করাচার্য মন্দির, চশমে-শাহি বাগ, পরী মহল, নিশাদ বাগ, শালিমার বাগ, হজরতবাল মসজিদ ইত্যাদি। বিকেল-সন্ধ্যা ডাল লেকে শিকারায়।

ষষ্ঠদশ দিনঃ শ্রীনগর থেকে ট্রেনে কিংবা বাই এয়ারে দিল্লী ফেরা।

নোটঃ এটা প্রায় সমগ্র লাদাখ ভ্রমণসূচী। সময় ও পকেটের অবস্থা অনুযায়ী সফর কাটছাঁট করা যেতে পারে সুবিধামত। খেয়াল রাখবেন লাদাখ যাওয়ার সেরা সময় ১৫ জুন – ১৫ সেপ্টেম্বর। মে মাসের মাঝামাঝিও এই সফর করা যেতে পারে, কিন্তু অক্টোবর মাসে রওনা দিলে অধিকাংশ রাস্তাই বরফে ঢাকা পড়ে যাবে।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ ladakhlehplantour