কর্মব্যস্ত জীবনে একটু যে ঘুরব সেই উপায় খুব কম। তাও যা শনিবার, রবিবার। আমার মতো প্রচুর মানুষ আছেন আমি জানি। আমাদের শহর কলকাতায় কিন্তু ঘোরার জায়গার অভাব নেই। আসলে আমাদের city of joy এতটাই সুন্দর যে সপ্তাহান্তে refreshment এর অভাব হবে না। কি ভাবছেন? সেই তো এক গাড়ির জ্যাম, কোলাহল কোথায় আর ঘুরবেন? তাহলে শুনুন।
রবিবার সকালে উঠে চলে যান হাতিবাগান। গ্যালিফ স্ট্রীট। পোষ্যদের মার্কেট। আমি নিজে আমার বাড়ির মাছগুলোকে এখান থেকে এনে ছেড়ে দি অ্যাকোরিয়ামে। আর ছোট ছোট কুকুর ছানার দুষ্টুমি আপনার মন ভালো করবেই। হাতিবাগান মানে এক্কেবারে নর্থ কোলকাতা। জলখাবার সেরে নিন কচুরি আর তরকারি দিয়ে। তারপর ট্রামে উঠে পড়ুন, চলে আসুন কলেজ স্ট্রীট।
কফিহাউস ততক্ষণে খুলে গেছে। একখান খবরের কাগজ নিয়ে ঢুকে পড়ুন। কফি আর অনিওন পকোড়া নিয়ে সময় কাটান কিছুক্ষণ। চলে আসুন কলেজ স্কোয়্যারে। একটা চক্কর দিন। এখানে খুব সুন্দর ফুলের চাষ হয় ঠিক যেখানে পুজোর প্যান্ডেল হয় তার পাশেই। বেড়িয়ে পড়ুন। পুঁটিরাম এর মিষ্টি সাঁটিয়ে দিন কয়েক পিস। তারপর আবার ট্রামে উঠে চলে আসুন ধর্মতলা।
স্মরনীকায় একবার ঘুরে নিন। ভালো লাগবে। বেরিয়ে একবার নিউ মার্কেট ঢুঁ মেরে নিন। কিছু পছন্দ হলে কিনেও নিতে পারেন। মানে ওই রথ দেখা কলা বেচা একসাথে। দুপুর হয়ে এল যে ঘুরতে ঘুরতে চলে যান পার্কস্ট্রিট। পছন্দ মতো কোন এক রেস্তোরায় লাঞ্চটা সেরে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন হেঁটে ময়দান এর দিকে। ময়দান থেকে ভিক্টোরিয়া খুব সুন্দর লাগে। সময় থাকলে একবার ভিক্টোরিয়া ঢুকে পড়তে পারেন।অবশ্যই কতক্ষণ খোলা দেখে যাবেন।
পাশে ক্যাথিড্রাল এও যেতে পারেন তাও সময় দেখে। এবার বাস ধরুন বা নিজের পছন্দের ট্যাক্সি বা ক্যাব ধরে চলে আসুন ঢাকুরিয়া। ঢাকুরিয়া আসবেন অথচ দক্ষিণাপনে আড্ডা দেবেন না তা হয়? ঘন্টা খানেক আড্ডা দিতেই কেটে যায় এখানে। বেরিয়ে সেই বিখ্যাত ফুচকা আর আলুর দম খেতে ভুলবেন না।
রাত হয়ে আসবে আপনার এইটুকু ঘুরতেই। এবার বাড়ি ফেরার পালা। এটা খুবই সামান্য আরো কত কী দেখার আছে। তার জন্যে আরেক দিন বেরোতে হবে যে। আপাতত এইটুকুই। আমিও বেরিয়ে পড়েছিলাম একদিন এভাবে। ছবি তোলার নেশায়। ভাবলাম নিজের শহরটাকেই একবার উপভোগ করি।
Leave a Comment