বাংলাদেশীদের জন্যে ভারতের ভিসায় পোর্ট রেস্ট্রিকশন থাকায় পর্যটকদের কাছে জিনিসটা বেশ গোলক ধাধার মতো। আদার ব্যাপারীর কাছে যত ধরনের প্রশ্ন আসে তার অনেকটা থাকে এই পোর্ট সম্পর্কিত। তাছাড়া কিছু মিডিয়ার কাটতি বাড়ানোর জন্যে বেশ রসিয়ে রসিয়ে হেডলাইন করাও সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা কারন।
হরিদাসপুর (বেনাপোল স্থলবন্দর), গেদে (দর্শনা রেলবন্দর) ও ২৪ টি বিমানবন্দর বাংলাদেশীদের জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আপনার ভিসাতে যে পোর্ট দেওয়া থাকুক না কেন ভিসা প্রদর্শন সাপেক্ষে এইসব বন্দর দিয়ে যাওয়া আসা করতে পারবেন। তবে শুধু যাদের পোর্ট (হরিদাসপুর/ বাই এয়ার বা হরিদাসপুর / বাই ট্রেন) আছে তারা ও শুধু উল্লেখিত ৩ পোর্ট দিয়ে যাওয়া আসা করতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত পোর্টের যে পোর্টে ভিসা থাকুক না কেন আপনি হরিদাসপুর/ গেদে/ বিমানে ও যেতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে ভিসাতে যে পোর্ট সেটা দিয়ে ঢুকে হরিদাসপুর/ গেদে/ বিমানে ফেরত আসতে পারবেন। আবার চাইলে তার বিপরীত ও করতে পারবেন।
না, আপনি শুধুমাত্র হরিদাসপুর/ গেদে (বাই ট্রেন) বা বাই এয়ারে যেতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোন পোর্ট দিয়ে যেতে পারবেন না আবার আসতে ও পারবেন না।
না, এটা শুধুমাত্র যারা বাই ট্রেনে যাবেন তাদের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। যারা পায়ে হেটে বা গাড়িতে যাইতে ইচ্ছুক তাদের ওই পোর্টের জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে।
হুম, শ্যামলী এর অফারের সাথে পোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কোন সম্পর্ক নাই। শ্যামলীর অফার চালু থাকলে নিতে পারবেন।
শ্যামলীর ভিসাটা ওয়ানটাইম প্যাকেজ ও চুক্তিভিত্তিক ভিসা। এটা আপনি শ্যামলী বাসের তত্ত্ববধানে যাবেন, প্যাকেজ এর নির্দিষ্ট জায়গা ঘুরে তারাই আপনাকে নিয়ে আসবে।
হ্যাঁ, ভিসা থাকা অবস্থায়ও নতুন ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারবেন। পূর্বের ভিসায় অন্তত একবার ভ্রমণ করলেই নতুন ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
না সেটা পারা যাবে না। যদিও তারা দর্শনা গেদের সম্মিলিত পোস্ট উল্লেখ করলে ও ভিসা সেন্টার থেকে জানানো হয় শুধুমাত্র বাই ট্রেনে দর্শনা-গেদে দিয়ে যাওয়া যাবে। ভারত সরকার বাই রোড় হরিদাসপুর / বাই ট্রেন দর্শনা-গেদে / বাই এয়ার এর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
না, যাওয়া যাবে না। ডাউকি পোর্টে নিষেধাজ্ঞা আছে এখন ও। ডাউকি দিয়ে যেতে হলে ডাউকি এর ভিসা লাগবে। তবে আপনি বোনাস হিসেবে চাইলে হরিদাসপুর দিয়ে বাই বাসে কলকাতা যেতে পারবেন।
Leave a Comment