ধনিয়াচক মসজিদ (Dhoniachak Masjid) বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ। এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে অবস্থিত যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৬ কি.মি. দূরে অবস্থিত। ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছিল তৎকালীন গৌড় রাজ্যের রাজধানী ছিল। তখন এ অঞ্চলটিতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয় যার মধ্যে একটি হলো এই ধুনিচক/ধনিয়াচক মসজিদ।
কথিত আছে, এই এলাকাটিতে এক সময় সুতা/তুলার ব্যবসায়ীরা বাস করত, বাংলা ভাষায় যাদের বলা হতো ধুনি। আর পরবর্তীতে এই ধুনি শব্দটি থেকেই ধুনিচক বা ধনিয়াচক মসজিদটির নামকরণ করা হয়। তবে বর্তমানে মসজিদটি আম বাগানের ভিতরে অবস্থিত। মসজিদে যাওয়ার কোন রাস্তা না থাকায় অনেকদূর হেটে যেতে হয়। তবে বৃষ্টি না থাকলে স্থানীয় ভ্যান নিয়ে যাওয়া যায়।
ধনিয়াচক মসজিদের প্রকৃত নির্মাণকাল বা নির্মাতার নাম জানা যায়নি। তবে মুন্সীগঞ্জের বাবা আদম মসজিদের (১৪৮৩ খ্রি.) সঙ্গে স্থাপত্যিক ও আলংকারিক মিল থাকায়, স্থাপত্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি সম্ভবত ১৫ শতকের শেষের দিকে ইলিয়াস শাহী আমলে নির্মিত। সে হিসেবে মসজিদটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন।
মসজিদটিতে গম্বুজের সংখ্যা ৬টি। আর উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ২টি করে মোট ৪টি দরজা রয়েছে প্রবেশের জন্য, যদিও সেগুলো বন্ধ। আর পূর্বদিকে রয়েছে ৩টি প্রবেশপথ যার মধ্যে মাঝের দরজাটি সবচেয়ে বড়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগন্জ উপজেলায় এই মসজিদটি ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। দেখতে পারেন ছোট সোনা মসজিদ, খনিয়াদিঘী মসজিদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে ধনিয়াচক মসজিদটির দুরত্ব প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ থেকে এর দুরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। সোনামসজিদ থেকে স্থলবন্দর যাওয়ার পথে বালিয়াদিঘির দক্ষিণ পূর্বপাশ দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে মসজিটিতে যাওয়া যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে থাকার খুব ভালো হোটেল নেই, তবে একটি থ্রি স্টার মানের হোটেল গড়ে উঠেছে (স্কাই ভিউ ইন – 01955668899)। এছাড়া মোটামুটি মানের কিছু হোটেল আছে। এর মধ্যে হোটেল স্বপ্নপুরী (০৭৮১-৫৬২৫০), হোটেল আল নাহিদ (০১৭১৩-৩৭৬৯০২) ইত্যাদি অন্যতম। ভাড়া পড়বে প্রতি রাত আনুমানিক ২০০ থেকে ১০০০ টাকা।
Leave a Comment