ল্যাঙকাউয়ি

ল্যাঙকাউয়ি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপ। মালয়েশিয়ান পর্যটন বোর্ড এই সুন্দর ও রহস্যময় দ্বীপের সুরক্ষা ও পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় করার কাজে সর্বদা ব্যস্ত। ২০০৭ সাল থেকে ইউনেস্কো ল্যাঙকাউয়িকে বিশ্ব জিও পার্ক হিসেবে বিবেচনা করে আসছে অন্যান্য তিনটি জিও পার্ক ম্যাচিংক্যাং ক্যামব্রিয়ান জিওফরেস্ট পার্ক, কিলিম জিওফরেস্ট পার্ক এবং পুলাও তাসিক দাইয়াং বান্টিং এর সাথে সাথে। মালয় উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকুলে অবস্থিত ল্যাংকাউয়ি ১০৪টি লোকবসতিহীন দ্বীপ দ্বারা বেষ্টিত। এর বিখ্যাত ভূ-দৃশ্য ও স্থাপত্য আন্না ও দি কিং চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করেছে।

ল্যাংকাউয়ি (Langkawi) হলো প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের আদর্শ স্থান। মেরিন পার্কে একটা দিন কাটানো অথবা এক রাউন্ড গলফ খেলার জন্য গলফ মাঠে যাওয়া অথবা বোট ভাড়া করে অকৃত্রিম কোরাল রীফ দেখতে বেরিয়ে পড়ার জন্য ল্যাঙকাউয়ি অসাধারন একটা জায়গা।

পালাউ মেরিন পার্ক

পালাউ মেরিন পার্ক ল্যাংকাউয়ির ৩০ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে, মালয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকুলে অবস্থিত । এই সুরক্ষিত মেরিন পার্কে মনুষ্যবিহীন জেড গ্রীন দ্বীপ রয়েছে সেসাথে রয়েছে পুলাউ পাইয়ার দ্বীপ যা সর্ববৃহত। এখানে ভাসমান প্লাটফর্মের পানির নীচের চেম্বার থেকে না ভিজেও পানির নীচের জগত দেখা যায়। স্কুবা ডাইভারদের জন্য এই পার্কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডাইভিং স্পট রয়েছে। দৃশ্যমানতা বছরের বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করে বিধায় ডাইভিং সামগ্রী ভালভাবে দেখে নেয়া উচিত। পার্কের মধ্যে থাকবার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্ত্ত পর্যটকগন এটাকে কখনো কোন সমস্যা বলে মনে করেন না কেননা ল্যাংকাউয়ি এখান থেকে মাত্র এক ঘন্টার নৌপথ।

দাতান লাং

ঈগল স্কোয়ার নামেও খ্যাত এই স্থান ল্যাংকাউয়ি যাওয়ার পথে প্রধান ভূচিহ্ন এবং যারা ফেরীতে আসবেন তাদেরকে প্রথমেই স্বাগত জানাবে দাতান লাং।

তামান বুইয়া ল্যাংকাউয়ি

এটা কুবাং বাদাক শহরে অবস্থিত একটি কুমির খামার। এখানে এক হাজার বিভিন্ন জাতের মালয়েশিয়ান ও অন্যান্য দেশের কুমির রয়েছে।

ল্যাঙকাউয়ি পাখি স্বর্গ

স্বর্গের মধ্যে স্বর্গ! এই পার্ক হাজারো প্রকৃতির পাখির প্রাকৃতিক বাসস্থান হিসেবে তৈরী করা হয়েছে।

কুয়াহ মল

এটা ল্যাংকাউয়ির সর্ববৃহত খুচরা দোকানপাট ও সুপার মার্কেট সমৃদ্ধ শপিং মল না হলেও এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক এটিএম মেশিন যা ব্যবহার করে আপনি নিজ দেশের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা তুলতে পারবেন।

কিভাবে যাবেন

ল্যাঙকাউয়ি যাওয়ার জন্য পেনাং, কুয়ালালামপুর, পারলিস, সাতুন এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ড থেকে দ্রুত গতিসম্পন্ন ফেরী চলাচল করে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা যেমন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং ফায়ারফ্লাই এয়ারলাইন্স ল্যাঙকাউয়ি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে নিয়মিত চলাচল করে।

স্থানীয় যানবাহন ব্যবস্থা

প্রচুর রেন্টাল কার ও ট্যাক্সি ল্যাঙকাউয়ি ভ্রমণের জন্য থাকলেও সুন্দর দৃশ্যাবলী উপভোগের জন্য মোটর সাইকেল অথবা সাইকেল ভাড়া করা সবচেয়ে ভাল। মোটর সাইকেল ভ্রমণে হেলমেট নেয়ার কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

Leave a Comment
Share
ট্যাগঃ geogloballangkawimalaysiapark