কোপাকাবানা বিচ

ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সৈকতটি ইংরেজি নববর্ষ বরণের জন্য বিখ্যাত। এ সৈকতে ১ জানুয়ারি লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। চার কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এ সৈকত লাইফগার্ডের ২ নম্বর ওয়াচ টাওয়ার থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে এক নম্বর টাওয়ারে। এখানে কয়েকটি ঐতিহাসিক দুর্গ আছে। এর মধ্যে সৈকতের দক্ষিণ প্রান্তের ফোর্ট কোপাকাবানা নামের দুর্গটি তৈরি হয়েছিল ১৯১৪ সালে। আর উত্তর প্রান্তের ফোর্ট ডুগিউ ডি ক্যাসিয়াস তৈরি হয়েছিল ১৭৭৯ সালে। এ সৈকত তথা এ এলাকার নাম কিন্তু আগে কোপাকাবানা (Copacabana) ছিল না। ১৮শ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এর নাম ছিল সাকোপিনাপা। বলিভিয়ার দেবী কোপাকাবানার আকৃতিতে ১৮৯২ সালে মূর্তি ও গির্জা নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে এই শহরের নাম হয়ে যায় কোপাকাবানা।

এ ছাড়া কোপাকাবানা সী বীচ ফিফা বিচ ফুটবল বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ভেন্যু হিসাবে নির্ধারিত। এই বিচ এর আছে নুডিস্ট বিচের (Nudist Beach) মুকুট ও। রিওর স্থানীয়রা এই সমুদ্রসৈকতটিকে বলে ‘কারিওকাস’। চার কিলোমিটার লম্বা এই সৈকতে সব সময়ই ফুটবল বা ভলিবল খেলা চলতেই থাকে। মানুষও সময় কাটাতে এই সৈকতে আসে। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে খাবার বিক্রি করে। তাই সব সময় মানুষের ভিড়ে জমজমাট থাকে এই সমুদ্রসৈকত। সৈকতের শেষ প্রান্তে রয়েছে একটি সামরিক জাদুঘর।

কোপাকাবানার সাইকেল-চালকদের নিরাপদ রাখতে সাইকেল লেন রয়েছে। রিওতে বাইসাইকেল ভাড়া করার প্রায় ৬০টি নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে যেখান থেকে সারাদিনের জন্য সাইকেল ভাড়া করে আপনি সি বীচ এবং শহরের ইতিহাস সমৃদ্ধ জায়গাগুলোতে বেশ আরাম করেই ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

রিও ডি জেনিরো শহরে আরও একটি সৈকত রয়েছে – ইপানিমা।

কেনাকাটা

সুপার লোফ পর্বতমালার ছোট ছোট অনুকরণ কেনার পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতের ধারে শহরের দক্ষ কারিগরদের তৈরি জিনিষ নিয়ে বসা বাজার, দোকান বা বালুর উপরে বসে থাকা বিক্রেতাদের পণ্যগুলো ঘুরে ঘুরে দেখুন। এগুলো বেশ জনপ্রিয় এবং নানা আকার ও নকশায় বিক্রি হয় – যেমন কোপাকাবানা সৈকতের বিখ্যাত হাঁটাপথ, ব্রাজিলের জাতীয় পতাকা এবং যিশুখ্রিস্টের মূর্তি পর্যটকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে।

কোথায় থাকবেন

রিও ডি জেনিরোর পর্যটন দপ্তর সূত্রমতে, বর্তমানে ৬৩টি হোটেল এবং ১০টি হোস্টেল রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বাড়ছে। অনলাইনে বিভিন্ন বুকিং ওয়েবসাইট থেকে বুক দিয়ে চলে যেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

Leave a Comment
Share