বেলতার

আপনার দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন শিলিগুড়ি থেকে মাত্র দু ঘণ্টার দূরত্বে কার্শিয়াংয়ের কাছেই অবস্থিত অফবিট ডেস্টিনেশন বেলতার (Beltar) থেকে। এটি কার্শিয়াংয়ের একটা ছোট্ট গ্রাম হলেও এখানে কার্শিয়াংয়ের মতো লোকের অতোটা ভিড় নেই। বেশ ফাঁকা ফাঁকা। এখানে আসলে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে, প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায়। আরও আছে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ শোভা। সময় বুঝে আসতে পারলে বেলতার থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ ভিউ আপনার চোখকে যে আরাম দিবে তা অন্য আর দশটা জায়গা থেকে পাওয়া অনেকটাই দুষ্কর।

বেলতার এর চারদিকেই চা বাগান। পাশেই রয়েছে কুলকুল করে বয়ে চলা বেলতার নদী। নদীর কলকল শব্দ কানে আসবে সারাক্ষন। চাইলে ছিপ নিয়ে নদীতে মাছ ধরা যেতে পারে অথবা পাহাড়ি নদীতে স্নান। সকালে কুয়াশা জড়ানো চায়ের বাগানে ঘোরাফেরা। দুপুরে নদীতে স্নান সেরে নদীর টাটকা মাছ দিয়ে লাঞ্চ। রাতে বনফায়ার আর কাবাবের সাথে রাতের আকাশের তারা গোনা। কেমন হবে ভাবুন তো? এসব কিছুই বেলেতারে পেয়ে যাবেন। মহারানী পাহাড় আর মার্গারেট হোপ চা বাগান ঘিরে রেখেছে এই গ্রামকে। সারাক্ষণ মেঘের আনাগোনা, পাখির ডাক আপনার মন ভোলাবে।

বেলতার এ সাইটসিইং

বেলতার গ্রামে ঘুরে দেখার মতো জায়গা আছে প্রচুর কিন্তু স্পেসিফিক কোনও টুরিস্ট পয়েন্ট এখানে এখনও গড়ে ঊঠেনি। কেবল প্রকৃতিকে ভালোবাসলেই যেতে পারেন এখানে। তবে চাইলে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন কার্শিয়াংয়ের ঝুলন্ত ক্যাফে মার্গারেট ডেক, ভুতের দেখা পেতে যেতে পারেন ডাওহিল। এছাড়াও আছে হনুমান টক, ঈগলস ক্রেগ, গিড্ডা পাহাড় প্রভৃতি।

এক্টিভিটি কি করবেন?

এখানে আপনি চাইলে ছোটখাটো ট্রেকিং, ফিশিং বা সাইকেলিং করতে পারেন।

বেলতার যাওয়ার উপায়

শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতে কার্শিয়াং পৌছে সেখান থেকে একটা গাড়ি নিয়ে বেলটার পৌছতে পারেন। কার্শিয়াং থেকে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। হোমস্টেতে থাকলে আগেই তাদের জানিয়ে রাখলে গাড়ি পাঠিয়ে দিবেন তারা।

কোথায় থাকবেন

বেলতারে থাকার জন্য রয়েছে GTA এর অধীনস্থ বেলতার রিসোর্ট। এখানে রয়েছে মোট ৭টি কটেজ, যার মধ্যে ৬টি ডবল বেডের ও একটি ডরমিটরি। রিসোর্টটি পাহাড়ের ঠিক পাদদেশে পরপর সাজানো ছোট্ট ছোট্ট ঘর নিয়ে গড়া। সামনে সুইমিং পুল। এই রিসোর্টটির প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হল একটা বিশালাকার সুইমিং পুল, যা আপনার মন কাড়তে বাধ্য এবং এই সুইমিং পুলকে ঘিরেই রয়েছে থাকার কটেজগুলো।

বেলতার গ্রামের এই রিসর্টটি আপাতত চালাচ্ছে জিটিএ। বুকিং করতে চাইলে আপনাকে ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বা ফোন করে বুকিং করতে পারবেন।

Leave a Comment
Share