বড়া মাঙ্গওয়া

বড়া মাঙ্গওয়া এর পাহাড়ি ঢালে কমলালেবুর বাগান আর অজস্র অর্কিড। রং বেরঙের ফুলে ঢাকা এই উপত্যকায় বসন্ত উপভোগ করতে মন্দ লাগবে না। বড়া মাঙ্গওয়া ফার্ম হাউসের বারান্দা থেকে পাহাড়ের ভিউ ভোলার নয়। কালিম্পংয়ের পশ্চিমের ছোট্ট এই গ্রাম এখনও ভ্রমণপিপাসুরা সেভাবে Explore করেন নি। ফলে জায়গাটা একটু নিরিবিলিই।

বড়া মাঙ্গওয়া থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্বে ছোটা মাঙ্গওয়া। এই ইকো-ট্যুরিস্ট স্পটে গেলে দেখতে পাবেন Terrace Cultivation। কমলা লেবুর বাগানের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার আনন্দ! যদিও শীতের শেষে ফলন কমে যায় ধীরে ধীরে। লেবু ছাড়াও নানা ধরনের অর্গ্যানিক ফার্মিং চোখে পড়বে। মরসুমি সবজি, পোলট্রি ফার্মিং, পশুখামার, যোগা এবং মার্শাল আর্ট সেন্টার সবই তৈরি হয়েছে এই ছোট্ট গ্রামে। তাকলিংয়ের প্রাচীন মনাস্ট্রিও অবশ্য দ্রষ্টব্য। বার্ডওয়াচারদের জন্যেও বড়া এবং ছোটা মাঙ্গওয়া আদর্শ জায়গা। আকাশের মুখ ভার না থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবে নিশ্চিত।

এখানে পায়ে হেঁটে ঘুরলে ছোট ছোট ট্রেক হয়ে যাবে আপনিই। হাতে দিন কয়েক সময় থাকলে আশপাশে পেশক টি-এস্টেট, তাকদা ফরেস্ট, রংলি-রংলিওট চা বাগান কিংবা তিনচুলে ঘুরে আসতে পারেন। তিস্তা আর রঙ্গিতের সংগমস্থলটা দেখতে ভুলবেন না কোনওমতেই।

কিভাবে যাবেন

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শেয়ারড জীপে কিংবা জীপ রিজার্ভ করে তিস্তা বাজার চলে যান। তিস্তা বাজার থেকে শেয়ারড জীপ খুম কম যদিও। NJP থেকে ডিরেক্ট জীপ বুক করে ঘন্টা তিনেক এর রাস্তা পেরুলেই বড়া মাঙ্গওয়া। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকেও প্রায় একই সময় লাগবে। বড়া মাঙ্গওয়া থেকে ছোটা মাঙ্গওয়ার দূরত্ব কিলোমিটার দুয়েক। যেতে আধঘণ্টা লাগবে।

কোথায় থাকবেন

বড়া মাঙ্গওয়া ফার্ম হাউস (Bara Mangwa Farmhouse) কিংবা ছোটা মাঙ্গওয়ায় দার্জিলিং ব্লসম ইকো-ট্যুরিজম কমপ্লেক্স থাকার আদর্শ জায়গা এখানে। ওয়েবসাইট থেকে আগে থেকে বুক করে রাখতে পারেন।

Leave a Comment
Share