বাংলাদেশের বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়ায় অবস্থিত শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত (Shuvo Sondha Sea Beach) প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতটি পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় অবস্থিত। সৈকতটির মুক্ত বাতাস, বিশাল সমুদ্র এবং ঝাউবনের সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর। তৎকালীন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ এবং স্থানীয় পর্যটকপ্রেমী গণমাধ্যমকর্মীদের প্রচেষ্টায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বদরুদ্দোজা শুভর নামে এই সৈকতের নামকরণ করা হয়। তালতলী উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সৈকতটি এখন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে আলাদা।
শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানোর জন্য সড়ক এবং নৌপথের সুবিধা রয়েছে।
বরগুনা শহরে বিভিন্ন রেস্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। উল্লেখযোগ্য রেস্ট হাউজগুলোর মধ্যে রয়েছে:
সাধারণ মানের হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল তাজবিন (0448-62503), হোটেল আলম (0448-62234), হোটেল মৌমিতা (0448-62842), হোটেল ফাল্গুনী (0448-62733) এবং বসুন্ধরা উল্লেখযোগ্য। তবে ভালো মানের হোটেলের জন্য বরিশাল সদরে যাওয়া লাগতে পারে।
স্থানীয় হোটেলগুলোতে নদী ও সমুদ্রের তাজা মাছ দিয়ে ভাতসহ স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। এখানে স্বল্প খরচে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।
সৈকতটি এখনো সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। ফলে ট্যুরিস্ট পুলিশের অনুপস্থিতি রাতে সৈকতটিকে কিছুটা অনিরাপদ করে তোলে।
শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির এক অপার দান। সমুদ্র, ঝাউ বন, সূর্যাস্তের সৌন্দর্য এবং স্থানীয় খাবারের অভিজ্ঞতা পর্যটকদের জন্য স্মরণীয় করে তোলে। যদি আপনি প্রকৃতির নৈসর্গিক শোভা উপভোগ করতে চান, তবে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত আপনার জন্য সঠিক জায়গা।
Leave a Comment